একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিস্টার দর্শন বিষয়ে মোট 40 নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে। এই 40 নম্বরের মধ্যে নিরপেক্ষ ন্যায় – মূর্তি, সংস্থান ও বৈধতা বিচার অধ্যায় থেকে মোট 6 নম্বর আসবে। আজকের এই প্রশ্নোত্তর পর্বে একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিষ্টার দর্শন পরীক্ষার জন্য মূর্তি, সংস্থান ও বৈধতা বিচার অধ্যায় থেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তরসহ তুলে ধরা হল।
নিরপেক্ষ ন্যায়ের সংস্থান ও মূর্তি

তুমি স্নাতক নও, সুতরাং তুমি এ পদের প্রার্থী হতে পারবে না।
যুক্তিটি সংক্ষিপ্ত ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। এখানে প্রধান আশ্রয়বাক্যটি উহ্য আছে। সেটি হল ‘সকল স্নাতক হয় এ পদের প্রার্থী’। এই আশ্রয়বাক্যটি সংযুক্ত করলে সম্পূর্ণ ন্যায়াকারটি হবে-
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
সকল স্নাতক হয় এ পদের প্রার্থী (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।
তুমি নও স্নাতক (E) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
তুমি নও এ পদের প্রার্থী (E) – সিদ্ধান্ত।
দোষ: অবৈধ সাধ্যদোষ।
প্রথম সংস্থান
বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে- যে পদ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য হয়নি সে পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হতে পারবে না। কিন্তু এখানে সাধ্যপদ ‘এ পদের প্রার্থী’ প্রধান আশ্রয়বাক্য A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, A বচনে বিধেয় পদ অব্যাপ্য। অথচ ওই পদ সিদ্ধান্তে E বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। কারণ, E বচনে উভয় পা ব্যাপ্য। ফলে যুক্তিটিতে অবৈধ সাধ্যদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অন্তর্গত এবং AEE একটি অশুদ্ধ মূর্তি।
মার্কসবাদীরা বিপ্লবী হয়ে থাকেন। যেহেতু তিনি মার্কসবাদী নন, কাজেই তিনি বিপ্লবী হতে পারেন না।
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
সকল মার্কসবাদী হয় বিপ্লবী (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।
তিনি নন মার্কসবাদী (E) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
তিনি নন বিপ্লবী (E) – সিদ্ধান্ত।
দোষ: অবৈধ সাধ্যদোষ।
প্রথম সংস্থান
বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে- যে পদ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য হয়নি, সে পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হতে পারবে না। কিন্তু এখানে সাধ্যপদ ‘বিপ্লবী’ প্রধান আশ্রয়বাক্য এ বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচনে বিধেয় পদ অব্যাপ্য। অথচ ওই পদ সিদ্ধান্তে E বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। কারণ, E বচনে উভয় পদ ব্যাপ্য। ফলে যুক্তিটিতে অবৈধ সাধ্যদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অন্তর্গত এবং AEE একটি অশুদ্ধ মূর্তি।
তার উন্মাদ হওয়ার আশঙ্কা নেই, কারণ সে শিক্ষিত নয় এবং সাধারণ শিক্ষিত ব্যক্তিরাই উন্মাদ হয়।
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
কোনো কোনো শিক্ষিত ব্যক্তি হয় উন্মাদ (Ⅰ) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।
সে সে নয় শিক্ষিত ব্যক্তি (E) অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
সে নয় উন্মাদ (E) – সিদ্ধান্ত।
প্রথম সংস্থান
দোষ: অবৈধ সাধ্যদোষ।
বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে- যে পদ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য হয়নি সে পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হতে পারে না। কিন্তু এখানে সাধ্যপদ ‘উন্মাদ’ প্রধান আশ্রয়বাক্য । বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, 1 বচন কোনো পদকে ব্যাপ্য করে না। অথচ ওই পদ সিদ্ধান্তে E বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। কারণ, E বচনে উভয় পদ ব্যাপ্য। ফলে যুক্তিটিতে অবৈধ সাধ্যদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অন্তর্গত এবং IEE একটি অশুদ্ধ মূর্তি।
সে পন্ডিত নয়, কেন-না তার বক্তৃতা বোঝা যায় না এবং একমাত্র পন্ডিত ব্যক্তিদের বক্তৃতাই বোঝা যায়।
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
সকল ব্যক্তি যাদের বক্তৃতা বোঝা যায় হয় পণ্ডিত (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।
সে নয় এমন ব্যক্তি যার বক্তৃতা বোঝা যায় (E) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
সে সে স নয় পণ্ডিত (E) – সিদ্ধান্ত।
প্রথম সংস্থান
দোষ: অবৈধ সাধ্যদোষ।
বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে- যে পদ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য হয়নি, সে পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হতে পারবে না। কিন্তু এখানে সাধ্যপদ ‘পণ্ডিত’ প্রধান আশ্রয়বাক্য A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচনে বিধেয় পদ অব্যাপ্য। অথচ ওই পদ সিদ্ধান্তে E বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। কারণ, E বচনে উভয় পদ ব্যাপ্য। ফলে যুক্তিটিতে অবৈধ সাধ্যদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অন্তর্গত এবং AEE একটি অশুদ্ধ মূর্তি।
রমা শোভা নয়, সুতরাং রমা শিক্ষিতা নয়, কেন-না শোভা শিক্ষিতা।
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
শোভা হয় শিক্ষিতা (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।
রমা নয় শোভা (E) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
রমা নয় শিক্ষিতা (E) – সিদ্ধান্ত।
দোষ: অবৈধ সাধ্যদোষ।
প্রথম সংস্থান
বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে- যে পদ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য হয়নি, সে পদ সিদ্ধান্ত ব্যাপ্য হতে পারবে না। কিন্তু এখানে সাধ্যপদ ‘শিক্ষিতা’ প্রধান আশ্রয়বাক্য A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচনে বিধেয় পদ অব্যাপ্য। অথচ ওই পদ সিদ্ধান্তে E বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। কারণ, E বচনে উভয় পদ ব্যাপ্য। ফলে যুক্তিটিতে অবৈধ সাধ্যদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অন্তর্গত এবং AEE একটি অশুদ্ধ মূর্তি।
তুমি ডাক্তার নও, ফলে তুমি এ পদের প্রার্থী হতে পারবে না।
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
সকল ডাক্তার হয় এ পদের প্রার্থী (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।
তুমি নও ডাক্তার (E) অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
তুমি নও এ পদের প্রার্থী (E) সিদ্ধান্ত
প্রথম সংস্থান
দোষ: অবৈধ সাধ্যদোষ।
বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের নিয়মে বলা হয়েছে- থোকায় আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য হয়নি, সে পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য পতে পারবে না। কিন্তু এখানে সাধ্যপদ ‘এ পদের প্রার্থী’ প্রধান আশ্রয়বাক্যের এ বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। অথচ ওই পদ সিদ্ধান্তে E বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। ফলে যুক্তিটিতে অবৈধ সাধ্যদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অন্তর্গত এবং AEE একটি অশুদ্ধ মূর্তি।
কিছু কিছু সাপ বিপদজ্জনক; কিন্তু সব সাপই সরীসৃপ। সুতরাং, কিছু সংখ্যক বিপজ্জনক প্রাণী সরীসৃপ নয়।
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
সকল সাপ হয় সরীসৃপ (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।
কোনো কোনো সাপ হয় বিপজ্জনক (I) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
কোনো কোনো বিপজ্জনক প্রাণী নয় সরীসৃপ (O) – সিদ্ধান্ত।
দোষ: অবৈধ সাধ্যদোষ।
তৃতীয় সংস্থান
বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে- যে পদ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য হয়নি সে পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হতে পারবে না। কিন্তু এখানে সাধ্যপদ ‘সরীসৃপ’ প্রধান আশ্রয়বাক্য A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচনে বিধেয় পদ ব্যাপ্য নয়। অথচ ওই পদ সিদ্ধান্তে O বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। কারণ O বচন বিধেয় পদকে ব্যাপ্য করে। ফলে যুক্তিটিতে অবৈধ সাধ্যদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি তৃতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AIO একটি অশুদ্ধ মূর্তি।
শিক্ষাই মানুষকে বুদ্ধিমান করে। কাজেই সে বুদ্ধিমান হতে পারে না। কেন-না সে শিক্ষিত নয়।
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
সকল শিক্ষিত মানুষ হয় বুদ্ধিমান (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।
সে নয় শিক্ষিত মানুষ (E) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
সে নয় বুদ্ধিমান (E) – সিদ্ধান্ত।
দোষ: অবৈধ সাধ্যদোষ।
প্রথম সংস্থান
বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে- যে পদ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য হয়নি সে পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হতে পারবে না। কিন্তু এখানে সাধ্যপদ ‘বুদ্ধিমান’ প্রধান আশ্রয়বাক্যের A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচন বিধেয়কে ব্যাপ্য করে না। অথচ ওই পদটি সিদ্ধান্তে E বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। কারণ, E বচনে উভয় পদ ব্যাপ্য ফলে যুক্তিটিতে অবৈধ সাধ্যদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অন্তর্গত AEE একটি অশুদ্ধ মূর্তি।
দর্শনযোগ্য পদার্থই বিশ্বাসযোগ্য। যেহেতু ঈশ্বরকে দেখি না, সেহেতু ঈশ্বরকে বিশ্বাস করি না।
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
সকল দর্শনযোগ্য পদার্থ হয় বিশ্বাসযোগ্য (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।
ঈশ্বর নয় দর্শনযোগ্য পদার্থ (E) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
ঈশ্বর নয় বিশ্বাসযোগ্য (E) – সিদ্ধান্ত।
দোষ: অবৈধ সাধ্যদোষ।
প্রথম সংস্থান
বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে- যে পদ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য হয়নি সে পদ সিদ্ধান্ত ব্যাপ্য হতে পারবে না। কিন্তু এখানে সাধ্যপদ ‘বিশ্বাসযোগ্য’ প্রধান আশ্রয়বাক্যে A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচনে বিধেয় পদ অব্যাপ্য। অথচ ওই পদ সিদ্ধান্তে E বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। কারণ, E বচনে উভয় পদ ব্যাপ্য। ফলে যুক্তিটিতে অবৈধ সাধ্যদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অন্তর্গত এবং AEE একটি অশুদ্ধ মূর্তি।
লুসি মানুষ থেকে ভিন্ন, কেন-না লুসি এলিজাবেথ নয়, আর এলিজাবেথ একজন মানুষ।
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
এলিজাবেথ হয় মানুষ (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।
লুসি নয় এলিজাবেথ (E) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
লুসি নয় মানুষ (E) – সিদ্ধান্ত।
দোষ: অবৈধ সাধ্যদোষ।
প্রথম সংস্থান
বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে- যে পদ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য হয়নি, সে পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হতে পারবে না। কিন্তু এখানে সাধ্যপদ ‘মানুষ’ প্রধান আশ্রয়বাক্যে A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচনে বিধেয় পদ ব্যাপ্য নয়। অথচ ওই পদটি সিদ্ধান্তে E বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। কারণ, E বচনে উভয় পদ ব্যাপ্য। ফলে যুক্তিটিতে অবৈধ সাধ্যদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অন্তর্গত এবং AEE একটি অশুদ্ধ মূর্তি।
আত্মার ধ্বংস নেই কেননা আত্মর অংশ নেই এবং যার অংশ নেই তার ধ্বংস নেই।
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
সকল অংশযুক্ত বস্তু হয় ধ্বংসশীল বস্তু (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।
আত্মা নয় অংশযুক্ত বস্তু (E) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
আত্মা নয় ধ্বংসশীল বস্তু (E) – সিদ্ধান্ত।
দোষ: অবৈধ সাধ্যদোষ।
প্রথম সংস্থান
বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে- যে পদ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য হয়নি, সে পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হতে পারবে না। কিন্তু এখানে সাধ্যপদ ‘ধ্বংসশীল বস্তু’ প্রধান আশ্রয়বাক্য A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচনে বিধেয় পদ ব্যাপ্য নয়। অথচ ওই পদ সিদ্ধান্তে E বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। কারণ, E বচনে উভয় পদ ব্যাপ্য। ফলে যুক্তিটিতে অবৈধ সাধ্যদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অন্তর্গত এবং AEE একটি অশুদ্ধ মূর্তি।
কেবলমাত্র জড়দ্রব্যেরই আকর্ষণী শক্তি আছে। আলো জড়দ্রব্য নয় কারণ এর আকর্ষণী শক্তি নেই।
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
সকল বস্তু যাদের আকর্ষণী শক্তি আছে হয় জড়দ্রব্য (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।
আলো নয় এমন বস্তু যার আকর্ষণী শক্তি আছে (E) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
আলো নয় জড়দ্রব্য (E) সিদ্ধান্ত।
প্রথম সংস্থান
দোষ: অবৈধ সাধ্যদোষ।
বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে- যে পদ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য হয়নি সে পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হতে পারবে না। কিন্তু এখানে সাধ্যপদ ‘জড়দ্রব্য’ প্রধান আশ্রয়বাক্য A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ এ বচনে বিধেয় পদ ব্যাপ্য নয়। অথচ ওই পদ সিদ্ধান্তে E বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। কারণ, E বচনে উভয় পদ ব্যাপ্য। ফলে যুক্তিটিতে অবৈধ সাধ্যদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অন্তর্গত এবং AEE একটি অশুদ্ধ মূর্তি।
আমি যা তুমি তা নও, আমি একজন মানুষ, কাজেই তুমি মানুষ নও।
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার :
আমি নই মানুষ (A) প্রধান আশ্রয়বাক্য।
আমি নই তুমি (E) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
তুমি নও মানুষ। তুমি (E) – সিদ্ধান্ত।
তৃতীয় সংস্থান
দোষ: অবৈধ সাধ্যদোষ।
বিচার : যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে— যে পদ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য হয়নি, সে পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হতে পারবে না। কিন্তু এখানে সাধ্যপদ ‘মানুষ’ প্রধান আশ্রয়বাক্যে A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচনে বিধেয় পদ ব্যাপ্য নয়। অথচ ওই পদটি সিদ্ধান্তে E বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। কারণ, E বচনে উভয় পদ ব্যাপ্য। ফলে যুক্তিটিতে অবৈধ সাধ্যদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি তৃতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AEE একটি অশুদ্ধ মূর্তি।
ধার্মিক ব্যতীত আর কেউ সুখী নয় এবং তিনি সুখী নন।
যুক্তিটি একটি সংক্ষিপ্ত ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। এক্ষেত্রে সিদ্ধান্তবাক্যটি উহ্য আছে। সেই বাক্যটি হল ‘তিনি নন ধার্মিক ব্যক্তি’। এই বাক্যটি যুক্ত করলে সম্পূর্ণ ন্যায় আকারটি হবে –
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
সকল সুখী ব্যক্তি হয় ধার্মিক ব্যক্তি (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।
তিনি নন সুখী ব্যক্তি (E) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
তিনি নন ধার্মিক ব্যক্তি (E) – সিদ্ধান্ত।
দোষ: অবৈধ সাধ্যদোষ।
প্রথম সংস্থান
বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায়ের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে- যে পদ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য হয়নি, সে পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হতে পারে না। কিন্তু এখানে সাধ্যপদ ‘ধার্মিক ব্যক্তি’ প্রধান আশ্রয়বাক্যের A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচনে বিধেয় পদ ব্যাপ্য নয়। অথচ ওই পদটি সিদ্ধান্তে E বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। কারণ, E বচনে উভয় পদ ব্যাপ্য। ফলে যুক্তিটিতে অবৈধ সাধ্যদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অন্তর্গত এবং AEE একটি অশুদ্ধ মূর্তি।
কোনো S নয় M, কেবলমাত্র P হয় M। সুতরাং, কোনো S নয় P।
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
সকল হয় (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।
কোনো নয় (E) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
কোনো নয় (E) – সিদ্ধান্ত।
প্রথম সংস্থান
দোষ: অবৈধ সাধ্যদোষ।
বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে- যে পদ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য হয়নি সে পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হতে পারবে না। কিন্তু এখানে সাধ্যপদ ‘P’ প্রধান আশ্রয়বাক্য A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ এ বচনে বিধেয় পদ অব্যাপ্য। অথচ ওই পদ সিদ্ধান্তে E বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। কারণ, E বচনে উভয় পদ ব্যাপ্য। ফলে যুক্তিটিতে অবৈধ সাধ্যদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অন্তর্গত এবং AEE একটি অশুদ্ধ মূর্তি।
আরও পড়ুন | Link |
নৈতিক প্রত্যয়সমূহ প্রশ্ন উত্তর | Click Here |
চার্বাক সুখবাদ প্রশ্ন উত্তর | Click Here |
পাশ্চাত্য নীতিবিদ্যা প্রশ্ন উত্তর | Click Here |