সাহিত্যে রেনেসাঁর প্রভাব আলোচনা করো

সাহিত্যে রেনেসাঁর প্রভাব আলোচনা করো

সাহিত্যে রেনেসাঁর প্রভাব আলোচনা করো
সাহিত্যে রেনেসাঁর প্রভাব আলোচনা করো

নবজাগরণের মুক্ত হাওয়া জীবনের যে দিকগুলিকে সর্বাধিক আন্দোলিত করেছিল, তাদের মধ্যে অন্যতম হল সাহিত্য, শিল্প ও বিজ্ঞান। বস্তুত পঞ্চদশ শতকের পরবর্তীকালে আধুনিক সাহিত্য ও শিল্পরসের উদ্ভব ঘটেছে। ইতিপূর্বে মধ্যযুগে সাহিত্য ও শিল্পচর্চা ছিল ধর্মভিত্তিক। নবজাগরণ মানবতাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতার বার্তা বহন করে আনে। ফলে সাধারণ সুখ-দুঃখ, আশা-আকাঙ্ক্ষা ইত্যাদি সাহিত্যের প্রধান বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়। পাশাপাশি গাছ-পালা, পশু-পাখি, নদী-পাহাড়, চন্দ্র-সূর্যের মতো প্রাকৃতিক বিষয়বস্তুও সাহিত্য ও শিল্পের অঙ্গনকে পরিপুষ্ট করে। চার্চের নিয়ন্ত্রণ মুক্ত ধর্মনিরপেক্ষ ও মানবতাবাদী সাহিত্য রচনাই হল এই যুগের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

মধ্যযুগে ল্যাটিন ছিল সাহিত্যের মাধ্যম, কিন্তু মানবতাবাদী তথা জীবনমুখী সাহিত্যচর্চার প্রধান মাধ্যম ছিল গ্রিক ও ল্যাটিন ভাষা। ক্রমশ ল্যাটিন ভাষার পরিবর্তে স্থানীয় ও কথ্য ভাষায় সাহিত্য রচনা শুরু হয়। রেনেসাঁ সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতা করেন রাজা, পোপ, অভিজাতগণ এবং নগররাষ্ট্রগুলি। ইটালির উর্বর ভূমিতে সাহিত্য যে নবজীবন লাভ করে, তা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে ইউরোপের অন্যান্য দেশে। আরও পরে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে অনুভূত হয় তার প্রাণস্পন্দন। সব দেশের নিজস্ব মাতৃভাষা তৈরি হয়, মুদ্রণযন্ত্রের দ্রুত বিস্তার সাহিত্য সৃষ্টিতে অনুঘটকের কাজ করে। জন্ম হয় আধুনিক ইউরোপীয় সাহিত্যের।

ইটালি

(1) দান্তে আলিগিয়েরি (১২৬৫ ১৩২১ খ্রি.)

মধ্যযুগীয় ইটালির একজন বিশিষ্ট কবি ছিলেন দান্তে আলিগিয়েরি (Dante Alighieri)। ল্যাটিন ভাষায় সাহিত্য রচনা করলেও তিনি মাতৃভাষা টাসকান (Tuscan)-এ লেখার পক্ষপাতী ছিলেন। এই টাসকান থেকেই আধুনিক ইতালীয় ভাষার উৎপত্তি। দান্তের অমর সৃষ্টিগুলির মধ্যে অন্যতম হল ডিভাইন কমেডি (Divine Comedy), যাকে ইতালীয় ভাষার শ্রেষ্ঠ কাব্য বলে অভিহিত করা হয়। এই কাব্যে মধ্যযুগীয় জীবনযাপনের সমালোচনা, প্রেম, ভালোবাসা, প্রাকৃতিক ঘটনা, স্বদেশপ্রীতি এবং স্বাধীন ও ঐক্যবদ্ধ ইটালির আকাঙ্ক্ষা ফুটে উঠেছে।

এ ছাড়াও তিনি রচনা করেন- ইনফারনো (Inferno), পারগেটরি (Purgatory) এবং প্যারাডাইস (Paradise)। সমকালীন ইটালির রাজনৈতিক অস্থিরতা দান্তে মেনে নিতে পারেননি। তিনিও অ্যারিস্টটলের মতোই বিশ্বাস করতেন যে, Reason বা যুক্তি হল মানুষের সবচেয়ে বড়ো শক্তি এবং সেই শক্তির প্রয়োগের জন্য দরকার শান্তি ও শৃঙ্খলা। আধুনিক ইতালীয় ভাষা ও সাহিত্যচর্চাকে নতুন গতি প্রদান করেন বলে দান্তে-কে ইতালীয় ভাষার জনক নামে অভিনন্দিত করা হয়।

(2) ফ্রান্সিস পেত্রার্ক (১৩০৪-১৩৭৪ খ্রি.)

ফ্রান্সিস পেত্রার্ক (Francis Petrarch) হলেন ইতালীয় রেনেসাঁ-র প্রথম মানবতাবাদী (The first humanist in the Renaissance)। লর্ড ব্রাইস (Lord bryce)-এর মতে, পেত্রার্ক রেনেসাঁর মধ্যে মানবতাবাদের সূচনা করেন। ইতালীয় মনীষীদের মধ্যে তিনিই প্রথম গ্রিক ও ল্যাটিন সাহিত্য-সংস্কৃতির মূল্য বুঝতে পেরে জনসাধারণের কাছে তা প্রচারে ব্রতী হন। পেত্রার্ক হোমার (Homer)-এর ইলিয়াড (IIliad) এবং ওডিসি (Odyssey)-র ল্যাটিন অনুবাদ করেন। প্রেমিকা লরা (Laura)-র উদ্দেশে লেখা তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থের নাম সনেটস্ টু লরা (Sonnets to Laura)। তাঁর কবিতায় ছিল প্রচণ্ড আবেগ, অনুভূতি, সৌন্দর্যবোধ, অন্তর্নিহিত প্রেম ও ভালোবাসা।

পেত্রার্কের অপর একটি কাব্যগ্রন্থের নাম ট্রায়ান্স (Triumphs)। প্রথমে মাতৃভাষা টাসকানে লিখলেও পরবর্তীতে তিনি ল্যাটিনে লিখতে শুরু করেন। যদিও ল্যাটিন ভাষায় লেখা তাঁর অসমাপ্ত মহাকাব্য আফ্রিকা (Africa) বুদ্ধিজীবীদের প্রশংসা লাভ করেনি। পেত্রার্ক খ্যাতিলাভ করেন তাঁর পত্রাবলির জন্য- এগুলির মধ্যে রোমের বিখ্যাত বাগ্মী সিসেরো-র পত্রাবলী বিখ্যাত। তাঁর চিন্তাধারার বৈশিষ্ট্যই ছিল আধুনিকতার বিকাশের জন্য অতীতের গভীর চেতনা। জীবনমুখী সাহিত্যে পেত্রার্কের অবদানের কথা স্মরণ করে ঐতিহাসিক উইল ডুরান্ট তাঁকে নবজাগরণের জনক (Father of Renaissance) বলে অভিহিত করেছেন।

(3) জিওভানি বোকাচ্চিও (১৩১৩-১৩৭৫ খ্রি.)

ইটালির অপর এক মানবতাবাদী পণ্ডিত ছিলেন জিওভানি বোকাচ্চিও (Giovanni Boccaccio) | পেত্রার্কের সমসাময়িক এবং তাঁর বন্ধুস্থানীয় বোকাচ্চিও অনেক কবিতা লিখেছিলেন। গদ্যসাহিত্যের ক্ষেত্রেও তিনি নতুনত্ব আনেন। ১৩৪৮ খ্রিস্টাব্দে বিধ্বংসী প্লেগের পটভূমিতে লেখা তাঁর প্রসিদ্ধ কাব্যগ্রন্থ ডেকামেরন (Decameron) ইতালীয়   গদ্যসাহিত্যের একটি উৎকৃষ্ট নিদর্শন। এই গ্রন্থে বোকাচ্চিও ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের মাধ্যমে মধ্যযুগীয় নানা আচার-অনুষ্ঠান ও সংস্কারগুলিকে তীব্রভাবে আক্রমণ করেন। তাঁর সাহিত্যে মানবিক শক্তির জয়গান ধ্বনিত হয়। তিনি ইতালীয় গদ্যসাহিত্যের জনক নামেও পরিচিত।

(4) কলুচ্চিও সালুতাতি (১৩৩২-১৪০৬ খ্রি.)

কলুচ্চিও সালুতাতি (Coluccio Salutati) ছিলেন ইটালির মানবতাবাদী নোটারি এবং ফ্লোরেন্সে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক রূপান্তরের অন্যতম একজন নেতা। তিনি একধরনের ভক্তিবাদী খ্রিস্ট ধর্মে বিশ্বাসী ছিলেন। তা সত্ত্বেও তিনি এক নতুন জীবনদর্শনের কথা বলেন। সালুতাতি মনে করতেন যে, মানুষ আপন উদ্যোগে একটি সুখী ও সফল জীবন গড়ে তুলতে সক্ষম। জীবনে সাফল্যলাভের সঙ্গে ধর্মবিশ্বাসের কোনও সংঘাত নেই বলেই তিনি প্রচার করেন। একে বলা হয় নবজাগরণ পর্বের নতুন জীবনমুখী নীতিবোধ।

(5) জিয়ান ফ্রান্সেসকো পজিও ব্রাসিওলিনি (১৩৮০-১৪৫৯ খ্রি:)

ইতালীয় পণ্ডিত পজিও ব্রাসিওলিনি (Poggio Bracciolini)-র রচনায় নতুন যুগ চেতনার প্রকাশ দেখা যায়। অন অ্যাভেরাইস (On Avarice) নামক প্রবন্ধ রচনার মাধ্যমে তিনি ঘোষণা করেন যে, বিত্তবাসনা, ধনসম্পদের আকর্ষণ মানুষের জীবনে কোনও অস্বাভাবিক বা নিন্দাযোগ্য প্রবণতা নয়। ব্যাবসাবাণিজ্যের প্রয়োজনে ঋণ দান এবং সুদ গ্রহণকে তিনি নিন্দনীয় নয় বলেই মনে করতেন। খ্রিস্টীয় অনুশাসনের এই (সুদব্যাবসা) অন্যায় কাজকে স্বীকৃতি দিয়ে পজিও বস্তুগত সত্য এবং মানুষের বাণিজ্য প্রয়াসকে উৎসাহিত করেছেন।

(6) ম্যাটিয়ো পালমিরি (১৪০৬-১৪৭৫ খ্রি.)

ফ্লোরেন্সের মানবতাবাদী ও ইতিহাসবিদ ছিলেন ম্যাটিয়ো পালমিরি (Matteo Palmieri)। তাঁর বিখ্যাত রচনা অন সিভিক লাইফ (On Civic Life; ডেলা ভিটা সিভিল, Della vita civile) নামক প্রবন্ধে তিনি শৌর্য এবং বীরত্বের প্রশংসা করেন। পালমিরি লেখেন যে, জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য মানুষকে বলশালী ও উদ্যোগী হতে হয়। নিভৃতে কেবল ঈশ্বর সাধনা করলেই জীবনের পূর্ণতা অর্জন করা যাবে না। খ্রিস্টীয় তাপসিক মূল্যবোধের জায়গায় তিনি স্থান দিয়েছিলেন জীবনমুখী নীতিবোধকে।

(7) লরেঞ্জো ভাল্লা (১৪০৭-১৪৫৭ খ্রি.)

পঞ্চদশ শতকের মানবতাবাদী আন্দোলন সম্ভবত শীর্ষবিন্দু স্পর্শ করেছিল লরেঞ্জো ভাল্লা (Lorenzo Valla)-র জীবন ও কীর্তির মধ্যে। অন প্লেজার (On Pleasure) নামক প্রবন্ধে তিনি লেখেন যে, জাগতিক সুখের আকাঙ্ক্ষা মানবজীবনের একটি অনিবার্য ধর্ম। ধর্মীয় বিধিনিষেধ দ্বারা মানুষের সুখবাসনাকে অবদমিত করা বা অবরুদ্ধ করার চেষ্টা অবাঞ্ছিত এবং অস্বাভাবিক।

(8) মার্সিলিয়ো ফিচিনো (১৪৩৩ ১৪৯৯ খ্রি.)

ফ্লোরেন্সের অধিবাসী বিশিষ্ট চিকিৎসক ও দার্শনিক মার্সিলিয়ো ফিচিনো (Marsilio Ficino) জানান যে, মানুষ অসীম শক্তির অধিকারী। মানুষের অবস্থান দিব্যজগৎ এবং জীবজগতের মধ্যস্থলে। মানুষকে সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘ আয়ুর অধিকারী হওয়ার জন্য তিনি প্রকৃতি ও মানবদেহের মধ্যে সমন্বয়সাধনের পরামর্শ দেন। ফিচিনো জাদুবিদ্যা এবং জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশ্বাস করতেন।

(9) পিকো ডেল্লা মিরানদোলা (১৪৬৩ – ১৪৯৪ খ্রি.)

ফিচিনো-র ছাত্রদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মেডিচি পরিবারের বিখ্যাত রাজপুরুষ জিওভানি পিকো ডেল্লা মিরানদোলা (Giovanni Pico della Mirandola) | ধর্ম, দর্শন, জাদুবিদ্যা, প্রাকৃতিক দর্শনের উপর লেখা তাঁর ৯০০টি থিসিসকে বলা হয় নবজাগরণের ইস্তেহার (Manifesto of the Renaissance)। এই থিসিসের ভূমিকা হিসেবে তিনি রচনা করেন বিখ্যাত ওরেশন অন দ্য ডিগনিটি অফ ম্যান (Oration on the Dignity of Man)। তাঁর মৃত্যুর পর ১৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে এটি প্রকাশিত হয়। এখানে তিনি বলেন যে, মানুষ নিজেই তার জীবনকে গড়ে তুলতে সক্ষম এবং ঈশ্বরই তাকে সেই অধিকার অর্পণ করেছেন। তাঁর মতে, আত্মশক্তি সচেতন মানুষের পক্ষে প্রকৃতিকে উপলব্ধি করা এবং নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। কারণ- মানুষ স্বয়ং ম্যাগাস (Magus) বা জাদুকরি শক্তির অধিকারী।

(10) নিকোলো ম্যাকিয়াভেলি (১৪৬৯ – ১৫২৭ খ্রি.)

নিকোলো ম্যাকিয়াভেলি (Niccolo Machiavelli) ছিলেন একজন প্রখ্যাত দার্শনিক, রাজনৈতিক চিন্তাবিদ, কূটনীতিবিদ, নাট্যকার, কবি ও ঐতিহাসিক। ইতালীয় নবজাগরণের চরম বিকাশের মুহূর্তে ফ্লোরেন্স শহরে এই বহুমুখী প্রতিভার জন্ম হয়। সরকারি কর্মী হিসেবে প্রশাসনের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ পরিচয় ছিল। তাঁর লেখনীর মূল বিষয় ছিল- একটি নবজাগরণ-স্নাত রাষ্ট্রের আদর্শ শাসনব্যবস্থার স্বরূপ কী হওয়া উচিত সেই সম্পর্কিত আলোচনা। রাষ্ট্রনীতি বিষয়ক ম্যাকিয়াভেলির দুটি বিখ্যাত গ্রন্থ হল-দ্য প্রিন্স (The Prince, ১৫১৩ খ্রি.) এবং দ্য ডিসকোর্সেস (The Discourses, ১৫১৭ খ্রি.)।

তিনি আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তার জনক, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের নিউটন ইত্যাদি বিভিন্ন নামে পরিচিত হন। দ্য প্রিন্স গ্রন্থের বিষয় নবীন রাজতন্ত্র। এক্ষেত্রে ম্যাকিয়াভেলি শাসকের শক্তি, স্বৈরাচার ও কঠোর নিয়ন্ত্রণের গুরুত্ব বিষয়ে আলোচনা করেছেন। অন্যদিকে, দ্য ডিসকোর্সেস গ্রন্থের প্রধান আলোচ্য বিষয় প্রজাতান্ত্রিক সরকার। এক্ষেত্রে সরকারের নিরঙ্কুশ কর্তৃত্বের পাশাপাশি নাগরিকদের স্বতঃস্ফূর্ত আনুগত্য এবং সক্রিয় সহযোগিতাকে প্রজাতন্ত্রের ভিত্তি সুদৃঢ় করার জন্য গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

ম্যাকিয়াভেলির রাষ্ট্রভাবনার একমাত্র লক্ষ্য ছিল রাষ্ট্রের ক্ষমতা, মর্যাদা ও স্থায়িত্ব রক্ষার পথ উদ্ভাবন করা। তিনি মনে করতেন যে, প্রজাবর্গ সাধারণভাবে লোভী, কাপুরুষ, অকৃতজ্ঞ ও মিথ্যাচারী। ভালোবাসা নয়, ভয় দেখিয়েই তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। নিয়ন্ত্রণ শিথিল হলেই তারা শাসনের বাইরে চলে যাবে। তবে রাজতন্ত্রের ভিত সুদৃঢ়করণের উদ্দেশ্যে তিনি প্রজাকল্যাণের বিষয়টিতেও আলোকপাত করেছেন। ম্যাকিয়াভেলি ধর্মীয় বন্ধন থেকে রাষ্ট্রনীতিকে মুক্ত করেন।

তবে রাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে ম্যাকিয়াভেলির কঠোর অবস্থান নানাভাবে সমালোচিত হয়। চিন্তায় দ্বৈতাচার, খন্ডিত জাতীয়তাবোধ, যুগবিরোধী চিন্তা, শ্রেণিস্বার্থ রক্ষায় আগ্রহ, বলপ্রয়োগকে গুরুত্ব প্রদান ইত্যাদি দোষে দুষ্ট হলেও তাঁর অভিমত রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পথ চলা শুরুর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাকিয়াভেলির রাষ্ট্র সুসংগঠিত, সুনিয়ন্ত্রিত ও শক্তিশালী। তিনিই সর্বপ্রথম মানুষের আচরণকে ভিত্তি করে রাজনীতির ব্যাখ্যা করেছেন। নৈতিকতা বা ধর্মবিশ্বাসের পরিবর্তে মানুষের সমস্যা, মানুষের ভাবনাকে রাজনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন ম্যাকিয়াভেলি।

আরও পড়ুন – মধ্যযুগীয় ভারতের শিক্ষা প্রশ্ন উত্তর

Leave a Comment