টমাস হবসের রাষ্ট্রচিন্তা সম্পর্কে আলোচনা করো

টমাস হবসের রাষ্ট্রচিন্তা সম্পর্কে আলোচনা করো

টমাস হবসের রাষ্ট্রচিন্তা সম্পর্কে আলোচনা করো
টমাস হবসের রাষ্ট্রচিন্তা সম্পর্কে আলোচনা করো

টমাস হবস তাঁর রাষ্ট্রতত্ত্বে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রথম প্রকৃত বস্তুতান্ত্রিক স্বরূপ উদ্‌ঘাটন করেছেন।

প্রকৃতির রাজ্য ও রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা

মানুষ কেন রাষ্ট্রীয় সমাজে বসবাস করে, কেন সে সার্বভৌম শক্তির অনুগত থাকে- এইসব প্রশ্নের উত্তর পেতে হবস একটি যৌক্তিক নির্মাণ, এক পদ্ধতিগত অনুকল্পের (A logical construct, a methodological hypothesis) দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁর এই অনুকল্পটি হল প্রকৃতির রাজ্য (State of Nature) I

প্রকৃতির রাজ্য ও নৈরাজ্য

হবস বলেছেন, রাষ্ট্রগঠনের আগে মানুষ প্রাক্-সামাজিক এক প্রকৃতির রাজ্যে বসবাস করত। এখানে সামাজিক জীবনের প্রতি মানুষের ঝোঁক ছিল না। এরূপ প্রাক্-সামাজিক অবস্থায় চরিত্রগতভাবে মানুষ ছিল স্বাধীন, হিংস্র, আত্মকেন্দ্রিক, ক্ষমতালিঙ্গু ও স্বেচ্ছাচারী। কোনও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বা কোনও নিয়ন্ত্রণ সেই সময় ছিল না। প্রাকৃতিক মানুষ ঈশ্বর-সন্ধানী নয়, সে ছিল ক্ষমতা-সন্ধানী (Natural man, Not a God-seeker; but a power-seeker.)। তারা একে অপরকে নিজেদের শত্রু বলে মনে করত।

অভিন্ন বাসনা পরিতৃপ্তির জন্য নির্দয় প্রতিযোগিতা, একে অপরকে ক্ষমতায় ছাপিয়ে যাওয়ার ভয় এবং সর্বোপরি ক্ষমতা বৃদ্ধির অদম্য আকাঙ্ক্ষার দরুন মানুষে মানুষে তীব্র বিরোধ ও হানাহানি শুরু হয়। এই অবস্থাকেই হবস ‘প্রত্যেকের সঙ্গে প্রত্যেকের লড়াই’ (War of every man against every man) বলে উল্লেখ করেছেন। এই নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতিতে মানুষের জীবনের কোনও নিরাপত্তা ছিল না। এই রাজ্যে শিল্প-সংস্কৃতি-কলা-ব্যাবসাবাণিজ্য কোনও কিছুরই উন্নতি হওয়া সম্ভব ছিল না। ছিল কেবল পারস্পরিক অবিশ্বাস, শত্রুতা ও হানাহানি। মানুষের জীবন ছিল নিঃসঙ্গ, দরিদ্র, ঘৃণ্য, পাশবিক ও স্বল্পায়ু।

রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা

প্রকৃতির রাজ্যের নৈরাজ্য থেকে মানুষ তার স্বাভাবিক বিচারবুদ্ধি ও আত্মরক্ষার প্রাকৃতিক নিয়মেই বেরিয়ে আসার চেষ্টা করে। প্রকৃতির রাজ্যের মানুষ নিজেদের নিরাপত্তা ও স্থায়ী শান্তির জন্য এক সামাজিক চুক্তির মাধ্যমে নিজেদের সমস্ত ক্ষমতা ও স্বাধীনতা এক সর্বশক্তিমান ব্যক্তি বা ব্যক্তিসংসদের হাতে অর্পণ করে দেয়। বিনিময়ে সেই ব্যক্তি বা ব্যক্তিসংসদ মানুষের নিরাপত্তা, শান্তি ও জীবনের সুরক্ষার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এইভাবে প্রকৃতির রাজ্যের অবসান ঘটে ও সৃষ্টি হয় চূড়ান্ত ক্ষমতাসম্পন্ন সার্বভৌম রাষ্ট্রের।

সামাজিক চুক্তি

হবসের তত্ত্বে রাষ্ট্রগঠনের পন্থা হিসেবে উঠে এসেছে সামাজিক চুক্তির প্রসঙ্গটি। বস্তুতপক্ষে, মানুষ প্রকৃতির রাজ্যের বিশৃঙ্খল ও অরাজক অবস্থা থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার জন্য পরস্পরের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির দরুন সৃষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিসংসদ, তথা সার্বভৌম শক্তির হাতে মানুষ সর্বোচ্চ ক্ষমতা এবং অকুণ্ঠ আনুগত্য সমর্পণ করে। হবসের মতে, এই সামাজিক চুক্তি Jus Naturale অর্থাৎ, স্বাধীনতার রাজ্য (নিজের খুশি ও ক্ষমতা অনুযায়ী চলার পরিবেশ) থেকে মানুষকে পৌঁছে দেয় Lex Naturalis অর্থাৎ, আইনের রাজ্যে বা যুক্তি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত নিয়মের রাজ্যে। এই চুক্তির কতগুলি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল- 

  • হবস বর্ণিত সামাজিক চুক্তি কোনও শাসক-শাসিতের চুক্তি ছিল না। কারণ, সব মানুষ পরস্পর মিলিত হয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। 
  • চুক্তি স্বাক্ষরকারী প্রজাদের জন্য চুক্তির শর্ত মান্য করা ছিল বাধ্যতামূলক। কিন্তু সার্বভৌম শক্তি চুক্তির অংশীদার নয়, বরং চুক্তি দ্বারা সৃষ্ট এক সত্তা। তাই তার জন্য চুক্তি মেনে চলা বাধ্যতামূলক নয়। 
  • হবসের ব্যাখ্যায় সার্বভৌম শক্তি চুক্তির ঊর্ধ্বে, তাই তার বিরোধিতা করা বা চুক্তিভঙ্গের অপরাধে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না। 
  • আত্মরক্ষা ব্যতীত সকল অধিকার জনগণ সার্বভৌমের হাতে তুলে দেওয়ায়, জনগণের পক্ষে চুক্তি অমান্য করার অধিকার ছিল না। প্রজারা বিদ্রোহ করলে বা কুশাসনের অভিযোগে রাজার পদচ্যুতি ঘটালে চুক্তির শর্ত লঙ্ঘিত হবে এবং মানুষকে আবার প্রকৃতির রাজ্যের দুর্বিষহ পরিবেশে ফিরে যেতে হবে।

রাষ্ট্রের প্রকৃতি

মানুষের মধ্যে চুক্তির দরুন, বহু মানুষের একক সত্তা মিলিত হওয়ার মধ্য দিয়েই গড়ে ওঠে রাষ্ট্র বা কমনওয়েলথ, যাকে হবস বলেছেন Leviathan বা রাষ্ট্রদানব। এই রাষ্ট্র প্রকৃতিসৃষ্ট স্বাভাবিক দেহ নয়, মানব কর্তৃক সৃষ্ট একটি কৃত্রিম মানুষ, তথা একক ব্যক্তিত্ব। হবস বলেন যে, এই রাষ্ট্রদানব তথা অতিকায় সর্বশক্তিমান দানব হল ভিন্ন ভিন্ন মানুষের এক যান্ত্রিক সংযুক্তি। ক্ষমতা হল এই কৃত্রিম দেহের প্রাণ, রাজা হলেন এই প্রাণশক্তির প্রতীক রাষ্ট্রদেহের মস্তিষ্ক, দেহের জীবন ও গতির পরিচালক।

হবসের মতে, রাষ্ট্র মানুষের অর্জিত প্রতিষ্ঠান, কারণ ভীতি ও আতঙ্কের পরিবেশ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য মানুষকে এই প্রতিষ্ঠান অর্জন করতে হয়। সেইসঙ্গে এই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত, কারণ নিজেদের ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে, আনুগত্য অর্পণ করে মানুষ নিঃশর্ত ক্ষমতা প্রদান করে একে টিকিয়ে রাখে। হবস কথিত রাষ্ট্রের ক্ষমতা ব্যাপক ও কর্তৃত্ব অবাধ, যা সকলপ্রকার আইনকানুনের ঊর্ধ্বে এবং এর কোনোরকম বণ্টন করা সম্ভব নয়। এই রাষ্ট্রকে যিনি পরিচালনা করেন, তিনিই হলেন সার্বভৌম শক্তি।

সার্বভৌমিকতা

সার্বভৌমিকতা সম্পর্কে হবসের তত্ত্ব রাষ্ট্রচিন্তার জগতে তাঁকে বিশিষ্টতা দান করেছে। তিনি সার্বভৌমতা সম্পর্কে প্রথম পরিপূর্ণ তত্ত্ব উপস্থাপন করেন। যদিও সার্বভৌম ক্ষমতা যে রাষ্ট্রের আইনগত ক্ষমতা, তা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ফরাসি দার্শনিক বোদা। কিন্তু টমাস হবস রাষ্ট্রের সার্বভৌম ক্ষমতার সঙ্গে জনগণের আনুগত্যের প্রশ্নকে পূর্ণতা দিয়েছিলেন। তিনি রাষ্ট্রকে চরম ক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রথম উপস্থাপন করেন। শাসকের ক্ষমতা ও জনগণের অধিকার যে একই সার্বভৌমত্বের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, তা হবসের চিন্তা থেকে উৎসারিত হয়।

চুক্তির মাধ্যমে সার্বভৌম ক্ষমতার উদ্ভব

হবসের তত্ত্ব অনুযায়ী, চুক্তির মাধ্যমে চূড়ান্ত রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে সার্বভৌম ক্ষমতার উদ্ভব হয়েছে। তাঁর মতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা ব্যক্তিসংসদই হল সার্বভৌম শক্তি।

আইনের স্রষ্টা ও রক্ষক

হবস বলেছেন সার্বভৌম ক্ষমতা নিজেই আইনের স্রষ্টা ও রক্ষক। সার্বভৌম ক্ষমতা কখনই আইনের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়। এই ক্ষমতা নিরঙ্কুশ, অবাধ ও অসীম। সার্বভৌম কর্তৃপক্ষই সৃষ্টি করে স্বাভাবিক আইন, যা যথেচ্ছাচারিতা থেকে বের করে এনে মানুষকে সমাজজীবনের মধ্য দিয়ে প্রকৃত স্বাধীনতা ভোগ করার উপযুক্ত করে তোলে।

নৈতিকতার প্রবর্তক

অপরদিকে হবসের মতে সার্বভৌম ক্ষমতা নৈতিকতারও প্রবর্তক। প্রকৃতির রাজ্যে বিশৃঙ্খলা ও স্বেচ্ছাচারিতার পরিবেশে নৈতিকতা নির্ধারণের কোনও শক্তি ছিল না। কিন্তু রাষ্ট্রিক সমাজে সার্বভৌম শক্তি মানুষকে দিল নৈতিকতার শিক্ষা, যা চুক্তির প্রতি অনুগত থাকতে এবং সমাজজীবনে অভ্যস্ত হতে মানুষকে সাহায্য করে।

সার্বভৌম শক্তির প্রতিষ্ঠা

হবসের মতে, সার্বভৌম শক্তি দু-রকমভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়- অর্জিত সার্বভৌম, যার অর্থ হল শক্তিপ্রয়োগের দ্বারা,ভয় দেখিয়ে উচ্চতম শক্তির বশীভূত করা এবং প্রতিষ্ঠানগত সার্বভৌম বা নিজ বিশ্বাসের বশবর্তী হয়ে স্বেচ্ছায় উচ্চতর শক্তির কাছে অধিকার বা ক্ষমতা অর্পণ করা।

দায়িত্ব পালন

হবস সার্বভৌমকে চরম ও অনিয়ন্ত্রিত ক্ষমতা রূপে বর্ণনা করলেও কতকগুলি দায়িত্ব পালনের কথাও বলেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, সার্বভৌম শাসকের দায়িত্ব সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা এবং ব্যক্তিগত সম্পত্তিকে সুরক্ষিত রাখা। তবে এই অধিকার অবাধ নয়, রাষ্ট্র প্রয়োজনে এই অধিকারের উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারে।

নাগরিক অধিকার ও চরম আনুগত্য

হবস অবাধ নাগরিক অধিকার ও স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেননি। তিনি মনে করতেন সার্বভৌম শক্তির প্রতি আনুগত্য প্রকাশ বা নিজেকে রাষ্ট্রের কাছে সমর্পণ করার মধ্যেই মানুষের প্রকৃত স্বাধীনতা নিহিত রয়েছে। তাঁর মতে, আদিম মানুষ শান্তি ও নিরাপদ জীবনের জন্য নিজেদের মধ্যে চুক্তি করে তাদের সমস্ত ক্ষমতা ও অধিকার সার্বভৌমের হাতে অর্পণ করেছে। সার্বভৌম হল চরম, অসীম ও অনিয়ন্ত্রিত ক্ষমতার অধিকারী। তাই একবার রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে ওঠার পর সাধারণ মানুষের তার বিরুদ্ধাচরণ করার বা বিরুদ্ধ মত প্রকাশ করার কোনও অধিকার থাকে না। সার্বভৌমের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার, তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার বা নতুন সার্বভৌম কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করার কোনও অধিকারও জনগণের হাতে থাকে না। সার্বভৌম কর্তৃপক্ষ সৃষ্ট আইন লঙ্ঘন করলে কর্তৃপক্ষ সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারে।

রাষ্ট্রব্যবস্থা

হবসের রাষ্ট্রচিন্তায় উঠে এসেছে বিভিন্ন রাষ্ট্রব্যবস্থা সম্পর্কিত তুলনামূলক আলোচনা। তিনি তিন ধরনের রাষ্ট্রব্যবস্থার কথা বলেছেন- রাজতন্ত্র (যেখানে একজন ব্যক্তি বা ব্যক্তিসংসদের শাসন প্রতিষ্ঠিত), অভিজাততন্ত্র (যেখানে ব্যক্তিসাধারণের পরিষদ শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত) এবং গণতন্ত্র (যেখানে জনগণ সাধারণ সভার মাধ্যমে শাসনকার্য পরিচালনা করে থাকে)।

(i) রাজতন্ত্র: হবস রাজতন্ত্রকেই শ্রেষ্ঠ শাসনব্যবস্থা হিসেবে অভিহিত করেছেন। তাঁর মতে, রাজতন্ত্রের প্রধান গুণ হল- এটি স্থিতিশীল ও সংকটকালীন পরিস্থিতিতে বিশেষ উপযোগী। এখানে ব্যক্তিস্বার্থের সঙ্গে সমষ্টি স্বার্থের সমন্বয় ঘটতে দেখা যায়। শাসকের মানসিক অস্থিরতা, শাসনের বিশৃঙ্খলা ও পক্ষপাতিত্ব, বিপ্লবের আশঙ্কা, উপদলীয় কার্যকলাপ এই ব্যবস্থায় অনুপস্থিত। এক্ষেত্রে আইনের সঠিক প্রয়োগ ঘটে এবং শাসক দায়িত্বশীল হন। পাশাপাশি বিকশিত হয় নাগরিক আনুগত্যও।

(ii) অভিজাততন্ত্র: হবস অভিজাততন্ত্রেরও বেশকিছু দুর্বলতাকে তুলে ধরেছেন। যেমন- শাসনব্যবস্থার কোন্দল ও অন্তর্ঘাতমূলক কার্যকলাপের উপস্থিতি, দেশ ও জনগণের স্বার্থের সঙ্গে সংগতি বজায় না রাখা, পক্ষপাতদুষ্ট, সংকটকালীন পরিস্থিতির অনুপযুক্ত ইত্যাদি। তাই গণতন্ত্রের মতো অভিজাততন্ত্রকেও হবস বর্জন করার পক্ষপাতী ছিলেন।

(iii) গণতন্ত্র: হবসের মতে গণতন্ত্র রাজতন্ত্রের বিকল্প হলেও গ্রহণযোগ্য নয়। এক্ষেত্রে শাসননীতি সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ যদি শাসনকর্মে সমর্থ বা অভিজ্ঞ না হয়, তবে সেই শাসনব্যবস্থা সফল হতে পারে না। এই ব্যবস্থায় বিদ্রোহ ও বিপ্লবের আশঙ্কা, অনৈক্য, উপদলীয় কার্যকলাপ, অশান্তি পরিলক্ষিত হয়। হবস মূলত এথেন্সের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার দুর্বলতা ও নিজ দেশে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সর্বনাশা পরিণতি লক্ষ করেই গণতন্ত্রকে দুর্বল ব্যবস্থা হিসেবে অভিহিত করেছেন।

আরও পড়ুন – মধ্যযুগীয় ভারতের শিক্ষা প্রশ্ন উত্তর

Leave a Comment