Case Study পদ্ধতি কী? এর বৈশিষ্ট্য লেখো

Case Study পদ্ধতি কী? এর বৈশিষ্ট্য লেখো

কেস স্টাডি পদ্ধতি

মনোবিজ্ঞানে কেস স্টাডি বলতে একজন ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা ঘটনা সম্পর্কে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করার জন্য একটি বর্ণনামূলক গবেষণা পদ্ধতির ব্যবহার বোঝায়। ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার, প্রত্যক্ষ-পর্যবেক্ষণ, সাইকোমেট্রিক পরীক্ষা এবং সংরক্ষণাগার রেকর্ড-সহ বিভিন্ন কৌশল নিযুক্ত করা যেতে পারে। পারিবারিক বাজেট নিয়ে স্টাডি করতে গিয়ে সামাজিক গবেষণায় এই পদ্ধতিটির প্রথম প্রয়োগ করেন ফ্রেডরিক লি প্লে (Fredric Le Play)। এরপর হার্বার্ট স্পেনসার পদ্ধতিটি ব্যবহার করেন।

বৈশিষ্ট্য

কেস স্টাডি বা ঘটনা অনুধ্যান পদ্ধতির নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা তাকে স্বতন্ত্রতা দান করেছে। নিম্নে এর বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করা হল-

(1) এককের উপর গুরুত্বদান : কেস স্টাডি পদ্ধতি একটি সামাজিক এককের (Social Unit) উপর গুরুত্ব আরোপ করে এবং এর গভীরে প্রবেশ করে।

(2)  উদ্‌ঘাটনমূলক এবং অনুসন্ধানমূলক: এই পদ্ধতি উদ্‌ঘাটনমূলক এবং অনুসন্ধানমূলক।

(3) বিশ্লেষণমূলক: এই পদ্ধতি ঐতিহাসিক পদ্ধতির উপর গুরুত্ব আরোপ করে বর্তমানকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করে।

(4) সমগ্র ঘটনা সম্পর্কে অনুসন্ধান : এই পদ্ধতি দু-একটি ঘটনাবলির মাধ্যমে সমগ্র ঘটনা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করে।

(5) দীর্ঘ সময়ব্যাপী অনুসন্ধান: এই পদ্ধতি নির্বাচিত বিষয়কে নিয়ে দীর্ঘ সময়ব্যাপী অধ্যয়ন করে।

(6) কার্যকারণ সম্পর্ক নির্ণয় :  এই পদ্ধতির মাধ্যমে কার্যকারণ সম্পর্ক বিশ্লেষণ ও সাধারণীকরণ করা যায়।

(7) সমস্যাসমাধানে অধিক কার্যকরী: এই পদ্ধতি যে-কোনো সমস্যাসমাধানে অধিকতর কার্যকরী।

(8) ঘটনা অনুসন্ধানের জনপ্রিয় কৌশল: সামাজিক গবেষণার ক্ষেত্রে ঘটনা বা বিষয়ের বর্ণনা হল ঘটনা অনুসন্ধানের একটি জনপ্রিয় কৌশল।

(9) সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ: এই পদ্ধতি সম্পূর্ণ সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ হয়ে থাকে।

(10) প্রয়োগমুখী কৌশল : কোনো নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে এটি অধিকতর প্রয়োগমুখী কৌশল।

(11) নমনীয় প্রকৃতির: এটি একটি নমনীয় প্রকৃতির কৌশল।

(12) তত্ত্বনির্ভর নয়: এই পদ্ধতিতে কোনো তত্ত্বের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয় না।

আরও পড়ুন –

১। অনুসন্ধান পদ্ধতি কী? মনোবৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান পদ্ধতির লক্ষ্যগুলি কী কী?

২। অনুসন্ধানের পর্যায়গুলি আলোচনা করো।

৩। সংক্ষেপে মনোবৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান পদ্ধতিগুলি আলোচনা করো। মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধান পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা লেখো।

৪। পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।

৫। পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির প্রকারভেদ সংক্ষেপে আলোচনা করো।

৬। অংশগ্রহণকারী পর্যবেক্ষণের সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা করো।

৭। অংশগ্রহণকারী নয় পর্যবেক্ষণের সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা করো।

৮। পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিকে উন্নত করার জন্য কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন?

৯। একটি আদর্শ পর্যবেক্ষণের বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলি সম্পর্কে লেখো।

১০। পর্যবেক্ষণের তথ্য সংগ্রহকারী উপকরণগুলি (Tools of Observation) উল্লেখ করো।

১১। পর্যবেক্ষণমূলক অনুসন্ধানের গুরুত্ব সংক্ষেপে আলোচনা করো।

১২। পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধাগুলি বর্ণনা করো।

১৩। পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি কাকে বলে? পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির ব্যবহার লেখো।

১৪। পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহের কৌশলগুলি সংক্ষেপে ‘আলোচনা করো।

১৫। নিজস্ব মতামত প্রকাশের পদ্ধতি কী? নিজস্ব মতামত প্রকাশের পদ্ধতিতে তথ্যসংগ্রহের কৌশলগুলি আলোচনা করো।

১৬। সাক্ষাৎকার পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধাগুলি লেখো।

১৭। নিজস্ব মতামত প্রকাশের পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা করো।

১৮। পরীক্ষামূলক পদ্ধতি কাকে বলে? এই পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য লেখো।

১৯। পরীক্ষণের স্তরগুলি সংক্ষেপে আলোচনা করো।

২০। শিক্ষাক্ষেত্রে পরীক্ষণ পদ্ধতির একটি নমুনা দাও।

২১। পরীক্ষামূলক পদ্ধতির সুবিধাগুলি লেখো।

২২। পরীক্ষামূলক পদ্ধতির অসুবিধাগুলি লেখো।

২৩। পরীক্ষণমূলক পদ্ধতিতে শিক্ষকের ভূমিকা লেখো।

২৪। শিক্ষাক্ষেত্রে পরীক্ষণ পদ্ধতির প্রয়োগ লেখো

Leave a Comment