পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো
পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির কয়েকটি বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়, সেগুলি হল-
(1) নির্বাচনমূলক
এটি মূলত নির্বাচনমূলক প্রক্রিয়া।
(2) প্রাপ্ত তথ্য বিশুদ্ধ
এই পদ্ধতির মাধ্যমে বিশুদ্ধ তথ্যসংগ্রহ করা সম্ভবপর।
(3) সামাজিক আচরণ সম্পর্কিত জ্ঞান আহরণ
পর্যবেক্ষণের সাহায্যে সামাজিক আচরণ সম্পর্কিত জ্ঞান অর্জন করা যায়।
(4) ব্যক্তিনির্ভর তথ্য
এই পদ্ধতিতে তথ্যের সঙ্গে পর্যবেক্ষণকারীর নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি, মনোভাব ইত্যাদি যুক্ত থাকে।
(5) বাস্তবমুখী উদ্দেশ্য বিদ্যমান
পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির একটি নির্দিষ্ট বাস্তবমুখী উদ্দেশ্য বিদ্যমান।
(6) তথ্য এবং কারণের অনুসন্ধান
উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে তথ্যের অনুসন্ধান করা হয় এবং এর কারণও অনুসন্ধান করা হয়।
(7) নিয়মতান্ত্রিক প্রত্যক্ষ
পর্যবেক্ষণ হল কোনো বিষয়কে নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রত্যক্ষ করা।
(৪) নিরীক্ষণ, পরীক্ষণ ও পরিমাপনে সাহায্য প্রদান
প্রত্যক্ষ করার বিষয়টি অনেকসময় নিরীক্ষণ, পরীক্ষণ বা পরিমাপনের চরিত্র লাভ করতে পারে।
(9) তথ্যসংগ্রহ ও রেকর্ড
পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে যে বিষয়টি প্রত্যক্ষ করা হয়-সে সম্পর্কে তথ্যসংগ্রহ ও রেকর্ড করতে পারে।
(10) উদ্দেশ্যমূলক
পর্যবেক্ষণ উদ্দেশ্যমূলক, তবে কিছু পর্যবেক্ষণ গবেষক অবচেতনভাবে করে থাকে। কিন্তু বিজ্ঞানভিত্তিক পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে উদ্দেশ্যমূলক হওয়া অপরিহার্য।
(11) আচরণের তাৎক্ষণিকরূপ রেকর্ড
এই পদ্ধতির মাধ্যমে মানব আচরণের তাৎক্ষণিক রূপ রেকর্ড করা যায়।
(12) নিরক্ষর মানুষদের থেকে তথ্য গ্রহণে সুবিধা
অশিক্ষিত ও অক্ষরজ্ঞানহীন মানুষদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা সহজ হয়।
(13) শিশু এবং প্রাণীর জন্য অপরিহার্য
শিশু এবং প্রাণী হলে সেখানে গবেষকের পর্যবেক্ষণ ছাড়া অন্য কোনো পথ থাকে না।
(14) ইন্দ্রিয়জাত অভিজ্ঞতা নির্ভর
এটি ইন্দ্রিয়জাত অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে।
আরও পড়ুন –
১। অনুসন্ধান পদ্ধতি কী? মনোবৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান পদ্ধতির লক্ষ্যগুলি কী কী?