পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির প্রকারভেদ সংক্ষেপে আলোচনা করো
প্রকৃতি অনুযায়ী পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিকে তিনটি ভাগে করা হয়। যথা- স্বাভাবিক ও কৃত্রিম পর্যবেক্ষণ, সংগঠিত ও অসংগঠিত পর্যবেক্ষণ, অংশগ্রহণকারী ও অংশগ্রহণকারী নয় এমন পর্যবেক্ষণ।
(1) স্বাভাবিক ও কৃত্রিম পর্যবেক্ষণ
যখন কোনো ব্যক্তিকে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে পর্যবেক্ষণ করা হয়, কিন্তু যাকে পর্যবেক্ষণ করা হয় সে পর্যবেক্ষণের বিষয় সম্পর্কে একেবারেই সচেতন থাকে না, তাকে স্বাভাবিক পর্যবেক্ষণ বলা হয়। যেমন-একজন শিক্ষার্থীকে পাঠরত অবস্থায় শিক্ষক পর্যবেক্ষণ করলে, শিক্ষার্থী শিক্ষকের পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে অবগত থাকে না।
যখন কোনো ব্যক্তিকে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে পর্যবেক্ষণ করা হয়, তাকে বলা হয় কৃত্রিম পর্যবেক্ষণ, যেমন-একজন শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে দেখলেন কোনো কোনো শিক্ষার্থী তখনও কথা বলছে, কেউ কেউ মাথা নীচু করে শুয়ে আছে ইত্যাদি। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা যেহেতু শিক্ষক সম্পর্কে সচেতন, তাই এটি কৃত্রিম পর্যবেক্ষণ।
(2) সংগঠিত ও অসংগঠিত পর্যবেক্ষণ
সংগঠিত পর্যবেক্ষণ হল পূর্ব নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী সুশৃঙ্খলভাবে কোনো শিক্ষার্থী বা শিক্ষার্থী দলের আচরণকে পর্যবেক্ষণ করা। এখানে পর্যবেক্ষক পরিকল্পনা অনুযায়ী শুধুমাত্র পর্যবেক্ষণ করবেন এবং লিপিবদ্ধ করবেন।
অসংগঠিত পর্যবেক্ষণে পর্যবেক্ষক দল বা শ্রেণিতে সরাসরি অংশগ্রহণ করে, তাদের সঙ্গে কিছুদিন অবস্থান করে, তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশা করে-উক্ত দল বা শ্রেণি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান অর্জন করেন।
(3) অংশগ্রহণকারী ও অংশগ্রহণকারী নয় এমন পর্যবেক্ষণ
যে পর্যবেক্ষণে কোনো দলে পর্যবেক্ষক নিজে উপস্থিত থাকে, অর্থাৎ দলের মধ্যে থেকে যখন পর্যবেক্ষক পর্যবেক্ষণে অংশগ্রহণ করে, তাকে পর্যবেক্ষকের উপস্থিতিতে পর্যবেক্ষণ বা অংশগ্রহণকারী পর্যবেক্ষণ বলা হয়। যেমন-কোনো শ্রেণির মনিটর দলের অংশ হয়ে শিক্ষার্থীদের পর্যবেক্ষণ করে।
আবার পর্যবেক্ষক যখন দলের বাইরে থেকে কোনো দলকে পর্যবেক্ষণ করেন, তখন সেই ধরনের পর্যবেক্ষণকে অংশগ্রহণকারী নয় এমন পর্যবেক্ষণ বলা হয়। যেমন-একজন পরিদর্শক যখন বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন তখন তিনি বিদ্যালয়ের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত নন।
আরও পড়ুন –
১। অনুসন্ধান পদ্ধতি কী? মনোবৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান পদ্ধতির লক্ষ্যগুলি কী কী?