একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিস্টার দর্শন বিষয়ে মোট 40 নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে। এই 40 নম্বরের মধ্যে নিরপেক্ষ ন্যায় – মূর্তি, সংস্থান ও বৈধতা বিচার অধ্যায় থেকে মোট 6 নম্বর আসবে। আজকের এই প্রশ্নোত্তর পর্বে একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিষ্টার দর্শন পরীক্ষার জন্য মূর্তি, সংস্থান ও বৈধতা বিচার অধ্যায় থেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তরসহ তুলে ধরা হল।
নিরপেক্ষ ন্যায়ের বৈধতা বিচার করো

বিভূতিভূষণ লেখক নন, যেহেতু তিনি শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় নন এবং শরদিন্দু বন্দোপাধ্যায় একজন লেখক।
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় হন লেখক (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।
বিভূতিভূষণ নন শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় (E) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
বিভূতিভূষণ নন লেখক (E) – সিদ্ধান্ত।
দোষ: অবৈধ সাধ্যদোষ।
প্রথম সংস্থান
বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায়ের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে- যে পদ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য হয়নি, সে পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হতে পারে না। কিন্তু এখানে সাধ্যপদ ‘লেখক’ প্রধান আশ্রয়বাক্যের A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচনে বিধেয় পদ ব্যাপ্য নয়। অথচ ওই পদটি সিদ্ধান্তে E বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। কারণ, E বচনে উভয় পদ ব্যাপ্য। ফলে যুক্তিটিতে অবৈধ সাধ্যদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অন্তর্গত এবং AEE একটি অশুদ্ধ মূর্তি।
কোনো অন্য গ্রহের প্রাণী জীবিত নয়, কোনো জীবিত ব্যক্তিই মৃত নয়, সুতরাং কোনো মৃত ব্যক্তি অন্য গ্রহের নয়।
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
কোনো অন্য গ্রহের প্রাণী নয়। জীবিত ব্যক্তি (E) প্রধান আশ্রয়বাক্য।
কোনো জীবিত ব্যক্তি নয় মৃত ব্যক্তি (E) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
কোনো মৃত ব্যক্তি নয় অন্য গ্রহের প্রাণী (E) – সিদ্ধান্ত।
চতুর্থ সংস্থান
দোষ: নঞর্থক আশ্রয়বাক্যজনিত দোষ।
বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ ন্যায় অনুমানের নিয়মে বলা হয়েছে- দুটি নঞর্থক সাশ্রয়বাক্য থেকে কোনো বৈধ সিদ্ধান্ত পাওয়া যায় না। কিন্তু এক্ষেত্রে প্রধান আশ্রয়বাক্য ও অপ্রধান আশ্রয়বাক্য উভয়ই নঞর্থক বচন অর্থাৎ E বচন। ফলে ক্তিটিতে নঞর্থক আশ্রয়বাক্যজনিত দোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং যুক্তিটি চতুর্থ সংস্থানের অন্তর্গত এবং EEE একটি অশুদ্ধ মূর্তি।
যেহেতু কোনো বৈকল্পিক ন্যায় সাপেক্ষ ন্যায়ের মতো নিরপেক্ষ নয়, সেহেতু তা কখনোই সাপেক্ষ ন্যায় নয়।
যুক্তিটি একটি সংক্ষিপ্ত ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। এক্ষেত্রে প্রধান আশ্রয়বাক্যটি উহ্য আছে। সেই আশ্রয়বাক্যটি হল ‘কোনো সাপেক্ষ ন্যায় নয় নিরপেক্ষ ন্যায়’। এই আশ্রয়বাক্যটি যুক্ত করলে সম্পূর্ণ ন্যায় আকারটি হবে-
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
কোনো সাপেক্ষ ন্যায় নয় নিরপেক্ষ ন্যায় (E) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।
কোনো বৈকল্পিক ন্যায় নয় নিরপেক্ষ ন্যায় (E) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
কোনো বৈকল্পিক ন্যায় নয় সাপেক্ষ ন্যায় (E) – সিদ্ধান্ত।
দোষ: নঞর্থক আশ্রয়বাক্যজনিত দোষ।
বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের নিয়মে বলা হয়েছে- দুটি নঞর্থক আশ্রয়বাক্য থেকে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায় না। যুক্তিটির প্রধান আশ্রয়বাক্য ও অপ্রধান আশ্রয়বাক্য উভয়ই E বচন। অর্থাৎ উভয় আশ্রয়বাক্য নঞর্থক। সেইজন্য যুক্তিটি নঞর্থক আশ্রয়বাক্যজনিত দোষে দুষ্ট। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি দ্বিতীয় সংস্থানের অন্তর্গত EEE একটি অশুদ্ধ মূর্তি।
কোনো মাছ পাখি নয় কারণ মাছেরা সরীসৃপ নয় এবং কোনো সরীসৃপ পাখি নয়।
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
কোনো সরীসৃপ নয় পাখি (E) প্রধান আশ্রয়বাক্য।
কোনো মাছ নয় সরীসৃপ (E) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
কোনো মাছ নয় । মাছ নয় পাখি (E)- সিদ্ধান্ত।
দোষ: নঞর্থক আশ্রয়বাক্যজনিত দোষ।
প্রথম সংস্থান
বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায়ের নিয়মে বলা হয়েছে- দুটি নঞর্থক আশ্রয়বাক্য থেকে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায় না। যুক্তিটির প্রধান আশ্রয়বাক্য ও অপ্রধান আশ্রয়বাক্য উভয়ই E বচন। অর্থাৎ উভয় আশ্রয়বাক্য নঞর্থক। সেইজন্য যুক্তিটি নঞর্থক আশ্রয়বাক্যজনিত দোষে দুষ্ট। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অন্তর্গত এবং EEE একটি অশুদ্ধ মূর্তি।
সব চকচকে বস্তু সোনা নয়, হিরে সোনা নয়। সুতরাং হিরে চকচক করে না।
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
কোনো কোনো চকচর্কে বস্তু নয় সোনা (O) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।
হিরে নয় সোনা (E) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
হিরে নয় চকচকে বস্তু (E) – সিদ্ধান্ত।
দ্বিতীয় সংস্থান
দোষ: নঞর্থক আশ্রয়বাক্যজনিত দোষ।
বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায়ের নিয়মে বলা হয়েছে- দুটি নঞর্থক আশ্রয়বাক্য থেকে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায় না। যুক্তিটির প্রধান আশ্রয়বাক্য O ও অপ্রধান আশ্রয়বাক্য E বচন। অর্থাৎ উভয় আশ্রয়বাক্য নঞর্থক। সেইজন্য যুক্তিটি নঞর্থক আশ্রয়বাক্যজনিত দোষে দুষ্ট। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি দ্বিতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং OEE একটি অশুদ্ধ মূর্তি।
মানুষ পূর্ণ নয় এবং মানুষ ঈশ্বর নয়। কাজেই ঈশ্বর পূর্ণ নয়।
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
কোনো মানুষ নয় পূর্ণ (E)- প্রধান আশ্রয়বাক্য।
কোনো মানুষ নয় P ঈশ্বর (E) অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
ঈশ্বর নয় পূর্ণ (E) – সিদ্ধান্ত।
দোষ: নঞর্থক আশ্রয়বাক্যজনিত দোষ।
তৃতীয় সংস্থান
বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায়ের নিয়মে বলা হয়েছে- দুটি নঞর্থক আশ্রয়বাক্য থেকে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায় না। যুক্তিটির প্রধান আশ্রয়বাক্য ও অপ্রধান আশ্রয়বাক্য উভয়ই E বচন। অর্থাৎ উভয় আশ্রয়বাক্য নঞর্থক। সেইজন্য যুক্তিটি নঞর্থক আশ্রয়বাক্যজনিত দোষে দুষ্ট। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি তৃতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং EEE একটি অশুদ্ধ মূর্তি।
এটি অবশ্যই মেলট্রেন, কারণ এটি এখানে থামে না।
যুক্তিটি সংক্ষিপ্ত ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। এখানে প্রধান আশ্রয়বাক্যটি উহ্য আছে। সেটি হল ‘কোনো মেলট্রেন নয় এমন ট্রেন যা এখানে থামে’। এই আশ্রয়বাক্যটি সংযুক্ত করলে সম্পূর্ণ ন্যায়বাক্যটি হবে –
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
কোনো মেলট্রেন নয় এমন ট্রেন যা এখানে থামে (E) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।
এটি নয় এমন ট্রেন যা এখানে থামে (E) অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
এটি হয় মেলট্রেন (A)-সিদ্ধান্ত
দ্বিতীয় সংস্থান
দোষ: নঞর্থক আশ্রয়বাক্যজনিত দোষ।
বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায়ের নিয়মে বলা হয়েছে- দুটি নঞর্থক আশ্রয়বাক্য থেকে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায় না। যুক্তিটির প্রধান আশ্রয়বাক্য ও অপ্রধান আশ্রয়বাক্য উভয়ই E বচন। অর্থাৎ উভয় আশ্রয়বাক্য নঞর্থক। সেইজন্য যুক্তিটি নঞর্থক আশ্রয়বাক্যজনিত দোষে দুষ্ট। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি দ্বিতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং EEA একটি অশুদ্ধ মূর্তি।
শব্দ দেখা যায় না। বর্ণ শব্দ না। সুতরাং বর্ণ দেখা যায় না।
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
শব্দ নয় প্রত্যক্ষযোগ্য (E) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।
বর্ণ নয় শব্দ (E)-অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
বর্ণ নয় প্রত্যক্ষযোগ্য (E) – সিদ্ধান্ত।
দোষ: নঞর্থক আশ্রয়বাক্যজনিত দোষ।
প্রথম সংস্থান
বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের নিয়মে বলা হয়েছে- দুটি নঞর্থক আশ্রয়বাক্য থেকে কোনো বৈধ সিদ্ধান্ত পাওয়া যায় না। কিন্তু এক্ষেত্রে প্রধান আশ্রয়বাক্য ও অপ্রধান আশ্রয়বাক্য উভয়ই নঞর্থক বচন অর্থাৎ E বচন। ফলে যুক্তিটিতে নঞর্থক আশ্রয়বাক্যজনিত দোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অন্তর্গত এবং EEE একটি অশুদ্ধ মূর্তি।
কোনো মানুষ কাক নয় এবং কোনো পাখি মানুষ নয় আর কাকেরা অবশ্যই পাখি।
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
কোনো পাখি নয় মানুষ (E) প্রধান আশ্রয়বাক্য।
কোনো মানুষ নয় কাক (E) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
সকল কাক হয় পাখি (A) – সিদ্ধান্ত।
চতুর্থ সংস্থান
দোষ: নঞর্থক আশ্রয়বাক্যজনিত দোষ।
বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায়ের নিয়মে বলা হয়েছে- দুটি নঞর্থক আশ্রয়বাক্য থেকে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায় না। যুক্তিটির প্রধান আশ্রয়বাক্য E ও অপ্রধান আশ্রয়বাক্য E বচন। অর্থাৎ উভয় আশ্রয়বাক্য নঞর্থক। সেইজন্য যুক্তিটি নঞর্থক আশ্রয়বাক্যজনিত দোষে দুষ্ট। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি চতুর্থ সংস্থানের অন্তর্গত এবং EEA একটি অশুদ্ধ মূর্তি।
বিড়াল কুকুর নয় এবং কুকুর বানর নয়। সুতরাং বিড়াল বানর নয়।
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
কোনো কুকুর নয় বানর (E) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।
কোনো বিড়াল নয় কুকুর (E) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
কোনো বিড়াল নয় বানর (E) – সিদ্ধান্ত।
দোষ: নঞর্থক আশ্রয়বাক্যজনিত দোষ।
প্রথম সংস্থান
বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায়ের নিয়মে বলা হয়েছে- দুটি নঞর্থক আশ্রয়বাক্য থেকে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায় না। যুক্তিটির প্রধান আশ্রয়বাক্য ও অপ্রধান আশ্রয়বাক্য উভয়ই E বচন। অর্থাৎ উভয় আশ্রয়বাক্য নঞর্থক। সেইজন্য যুক্তিটি নঞর্থক আশ্রয়বাক্যজনিত দোষে দুষ্ট। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অন্তর্গত এবং EEE একটি অশুদ্ধ মূর্তি।
রবীন্দ্রনাথ একজন দার্শনিক, কেন-না তিনি হলেন কবি আর সব কবিরাই দার্শনিক।
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
সকল কবি হয় দার্শনিক (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।
রবীন্দ্রনাথ হন কবি (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
রবীন্দ্রনাথ হন দার্শনিক (A) – সিদ্ধান্ত।
প্রথম সংস্থান
দোষ: কোনো দোষ হয়নি।
বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি বৈধ। ন্যায়ের নিয়মানুসারে হেতুপদকে অন্তত একবার ব্যাপ্য হতেই হবে। এখানে হেতুপদ ‘কবি’ প্রধান আশ্রয়বাক্য A বচনের উদ্দেশ্য স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। কারণ, এ বচনের উদ্দেশ্য পদ ব্যাপ্য। আবার ন্যায়ের নিয়ম অনুসারে যে পদ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য হয়নি সেই পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হতে পারে না। এখানে এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই যেখানে সাধ্যপদ ‘দার্শনিক’ ও পক্ষপদ ‘রবীন্দ্রনাথ’ দুটি আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য না হয়ে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয়েছে। ফলে যুক্তিটিতে কোনো নিয়ম লঙ্ঘিত হয়নি। সুতরাং, যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অন্তর্গত এবং AAA একটি শুদ্ধ মূর্তি, যার নাম BARBARA ।
কোনো কবিই অমর নয়, যেহেতু যে-কোনো কবি মানুষ এবং মানুষ অমর নয়।
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
কোনো মানুষ নয়। অমর (E) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।
সকল কবি হয় মানুষ (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
কোনো কবি নয় অমর (E) – সিদ্ধান্ত।
প্রথম সংস্থান
দোষ: কোনো দোষ হয়নি।
বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি বৈধ। কারণ, বৈধ ন্যায়ের নিয়ম অনুসারে হেতুপদ ‘মানুষ’ প্রধান আশ্রয়বাক্যের E বচনের উদ্দেশ্য স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। তা ছাড়া এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই যেখানে সাধ্যপদ ‘অমর’ ও পক্ষপদ ‘কবি’ দুটি আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য না হয়ে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয়েছে। ফলে এক্ষেত্রে ন্যায় অনুমানের কোনো নিয়ম লঙ্ঘিত হয়নি। সুতরাং, যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অন্তর্গত এবং EAE একটি শুদ্ধ মূর্তি, যার নাম CELARENT।
যেহেতু তুমি পরিশ্রমী নও, তুমি কী করে পরীক্ষায় পাস করবে? একমাত্র পরিশ্রমী ব্যক্তিরাই পরীক্ষায় পাস করতে পারে।
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
সকল ছাত্র যারা পরীক্ষায় পাস করে হয় পরিশ্রমী (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।
তুমি নও পরিশ্রমী (E) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
তুমি নও মি নও এমন যে পরীক্ষায় পাস করে (E) সিদ্ধান্ত।
দোষ: কোনো দোষ হয়নি।
দ্বিতীয় সংস্থান
বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি বৈধ। কারণ, এখানে হেতুপদ ‘পরিশ্রমী’ প্রধান আশ্রয়বাক্যে বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি কারণ A বচন বিধেয় পদকে ব্যাপ্য করে না। কিন্তু অপ্রধান আশ্রয়বাক্য E বচন হওয়ায় হেতুপদ ব্যাপ্য হয়েছে। কারণ, E বচনের উভয় পদ ব্যাপ্য। তা ছাড়া এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই যেখানে সাধ্যপদ ‘পরীক্ষায় পাস করে’ ও পক্ষপদ ‘তুমি’ এই পদ দুটি আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য না হয়ে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয়েছে। ফলে যুক্তিটিতে ন্যায়ের কোনো নিয়ম লঙ্ঘন হয়নি। সুতরাং, যুক্তিটি দ্বিতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AEE একটি শুদ্ধ মূর্তি। যার নাম CAMESTRES |
খবরটি এত ভালো যে সত্য হতে পারে না।
এই যুক্তিটি সংক্ষিপ্ত ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। এখানে প্রধান আশ্রয়বাক্যটি অব্যক্ত বা উহ্য আছে। সেটি হল, ‘কোনো অতিরিক্ত ভালো খবর নয় সত্য’। এই আশ্রয়বাক্যটি সংযুক্ত করলে সম্পূর্ণ ন্যায় আকারটি হবে-
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
কোনো অতিরিক্ত ভালো খবর নয় সত্য (E) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।
খবরটি হয় অতিরিক্ত ভালো খবর (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
খবরটি নয় সত্য (E) – সিদ্ধান্ত।
দোষ: কোনো দোষ হয়নি।
প্রথম সংস্থান
বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত সংক্ষিপ্ত ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি বৈধ। কারণ, বৈধ ন্যায়ের নিয়ম অনুসারে এখানে হেতুপদ ‘অতিরিক্ত ভালো খবর’ প্রধান আশ্রয়বাক্য E বচনের উদ্দেশ্য স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। আবার এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই যেখানে পক্ষপদ ‘খবরটি’ ও সাধ্যপদ ‘সত্য’ উভয় আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য না হয়ে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয়েছে। ফলে এক্ষেত্রে ন্যায় অনুমানের কোনো নিয়ম লঙ্ঘিত হয়নি। তাই যুক্তিটি বৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অন্তর্গত EAE একটি শুদ্ধ মূর্তি। যার নাম CELARENT ।
সে এতই দুর্বল যে হাঁটতে পারে না।
এই যুক্তিটি সংক্ষিপ্ত ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। এখানে প্রধান আশ্রয়বাক্যটি অব্যক্ত বা উহ্য আছে। সেটি হল, ‘কোনো অতিরিক্ত দুর্বল ব্যক্তি নয় এমন যে হাঁটতে পারে’। এই আশ্রয়বাক্যটি যুক্ত করলে সম্পূর্ণ ন্যায় আকারটি হবে –
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
কোনো অতিরিক্ত দুর্বল ব্যক্তি নয় এমন যে হাঁটতে পারেন (E) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।
সে হন অতিরিক্ত দুর্বল ব্যক্তি (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
সে নন এমন যে হাঁটতে পারেন (E) – সিদ্ধান্ত।
প্রথম সংস্থান
দোষ: কোনো দোষ হয়নি।
বিচার : যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত সংক্ষিপ্ত ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি বৈধ। কারণ, বৈধ ন্যায়ের নিয়ম অনুসারে এখানে হেতুপদ ‘অতিরিক্ত দুর্বল ব্যক্তি’ প্রধান আশ্রয়বাক্য E বচনের উদ্দেশ্য স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। আবার এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই যেখানে সাধ্যপদ ‘এমন যে হাঁটতে পারেন’ ও পক্ষপদ ‘সে’ উভয় আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য না হয়ে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয়েছে। ফলে এক্ষেত্রে ন্যায় অনুমানের কোনো নিয়ম লঙ্ঘিত হয়নি। তাই যুক্তিটি বৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অন্তর্গত EAE একটি শুদ্ধ মূর্তি। যার নাম CELARENT I
আরও পড়ুন | Link |
নৈতিক প্রত্যয়সমূহ প্রশ্ন উত্তর | Click Here |
চার্বাক সুখবাদ প্রশ্ন উত্তর | Click Here |
পাশ্চাত্য নীতিবিদ্যা প্রশ্ন উত্তর | Click Here |