সিসেরোর রাষ্ট্রদর্শন সম্পর্কে আলোচনা করো

সিসেরো রচিত গ্রন্থগুলিতে রাষ্ট্রদর্শনের বিভিন্ন বিষয়ের উল্লেখ মেলে। প্লেটোর মতো সিসেরোও তাঁর গ্রন্থ De Republica-তে এক আদর্শ রাষ্ট্রব্যবস্থার অনুসন্ধানে ব্রতী হয়েছেন। তবে প্লেটোকে অনুসরণ করে সিসেরো এক আদর্শ জনকল্যাণকর রাষ্ট্র গঠনের কথা বললেও তা বাস্তবভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল। মূলত আদর্শ রাষ্ট্রব্যবস্থাকে তিনি বিশ্বসমাজের এক বৃহত্তম পরিসরে প্রতিষ্ঠা করতে উদ্যত হয়েছিলেন। তাঁর মতে, নাগরিকদের সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক চাহিদা বিকাশের উপযোগী ক্ষেত্র হিসেবে আদর্শ রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে উঠবে।
রাষ্ট্রের উৎপত্তি
- সিসেরোর মতানুসারে, মানুষ সহজাতভাবেই যূথবদ্ধ (জোটবদ্ধ) জীবনযাপনে আগ্রহী। স্বাভাবিক প্রবৃত্তি থেকেই মানুষ অন্যের সঙ্গ কামনা করে। দলবদ্ধ হওয়ার জন্য মানুষ নির্দিষ্ট ভূখন্ডের উপর কর্তৃত্ব কায়েম করে। যৌথ শ্রম দিয়ে তারা ঐ ভূখণ্ডকে বাসযোগ্য ও নিরাপদ করে তোলে। এইভাবে দলবদ্ধ মানুষের শ্রম ও ইচ্ছায় গড়ে উঠেছে রাষ্ট্র।
- তবে যে-কোনোভাবে দলবদ্ধ হওয়া মানুষের সংযুক্তিই রাষ্ট্র নয়। রাষ্ট্র হল ন্যায়বিচার সম্পর্কে সহমতের অংশীদার এবং সাধারণ মানুষের মঙ্গলসাধনের লক্ষ্যে যূথবদ্ধ মানুষের সংগঠন।
- সিসেরোর রাষ্ট্রব্যবস্থার দুটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হল ন্যায়বিচার ও যথার্থ আইনের প্রতি আনুগত্য।
শাসনব্যবস্থার স্বরূপ
সিসেরো রাজতন্ত্র, অভিজাততন্ত্র বা গণতন্ত্র- যে-কোনো একটি শাসনব্যবস্থা রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব পেতে পারে বলে মনে করেন। তবে এই সকল শাসনপদ্ধতির কোনোটিই এককভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ বা ত্রুটিমুক্ত নয়। যেমন-
- রাজতন্ত্রে রাজার একক শাসন কায়েম থাকে। তিনি স্বেচ্ছাচারী হলে সাধারণের সমাজজীবন দুঃসহ হয়ে ওঠে। আবার রাজা সদাচারী, প্রজানুরঞ্জক হলেও, রাজনীতিতে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের কোনও সুযোগ থাকে না।
- একইভাবে অভিজাততন্ত্র হল মুষ্টিমেয় এবং সমাজের ধনী ও প্রভাবশালী ব্যক্তির শাসন। এক্ষেত্রেও শাসকদের মধ্যে গোষ্ঠীস্বার্থ, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ইত্যাদি প্রবল হলে শাসনব্যবস্থার নিরপেক্ষতা ও গতিশীলতা ব্যাহত হয়।
- তুলনামূলকভাবে উন্নত ও গ্রহণযোগ্য শাসনব্যবস্থা হল গণতন্ত্র। এখানে সর্বসাধারণের ইচ্ছা শাসনতন্ত্রে প্রকাশিত হয়। কিন্তু এই ব্যবস্থাও ত্রুটিমুক্ত নয়। সাধারণ মানুষের অজ্ঞতা বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের অক্ষমতা গণতন্ত্রকে দুর্বল করে। তখন গণতন্ত্র একদল উচ্ছৃঙ্খল মানুষের অপশাসনে পরিণত হয় -এই ছিল সিসেরোর অভিমত।
মিশ্র সরকার
সিসেরো তিন প্রকার সরকারের সমস্ত দিক বিবেচনা করে মিশ্র সরকারকে শ্রেষ্ঠ সরকার বা শাসনব্যবস্থার শ্রেষ্ঠ রূপ বলে মনে করেছেন। তাঁর মতে, সব সরকারের ভালো দিক ও খারাপ দিক দুই-ই আছে। সর্বশ্রেষ্ঠ শাসনব্যবস্থা হল- রাজতন্ত্র, অভিজাতন্ত্র ও গণতন্ত্রের ভালো দিকগুলি নিয়ে গঠিত এক মিশ্র শাসনব্যবস্থা। আবার এই শাসনব্যবস্থা যাতে কোনও একদিকে ঝুঁকে না পড়ে সেই জন্য তিনি নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য বজায় রাখার কথা বলেছেন।
আইনের গুরুত্ব
সিসেরোর রাষ্ট্রদর্শন বিষয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে তাঁর আইন সম্পর্কিত ধারণা কীরূপ ছিল, তা উল্লেখ করা বিশেষ প্রয়োজন। আইনের উপর তিনি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। De Republica গ্রন্থে যেমন রাষ্ট্র প্রসঙ্গে তাঁর অভিমত উল্লিখিত আছে, তেমনই আইন বিষয়ক ভাবনার পরিচয় মেলে সিসেরোর De Legibus (On the Laws) গ্রন্থে। উক্ত গ্রন্থে তিনি মূলত দুধরনের আইনের কথা বলেছেন- প্রাকৃতিক আইন ও রাষ্ট্রীয় আইন বা স্বাভাবিক আইন।
প্রাকৃতিক আইন
সিসেরোর মতে, সমগ্র বিশ্বে একটি প্রাকৃতিক আইন আছে, যার দ্বারা সমগ্র বিশ্ব পরিচালিত হয়। বস্তুত যে নিয়ম বা আইনের সাহায্যে ঈশ্বর বিশ্বব্র্যান্ড পরিচালনা করেন, তাকে বলা হয় প্রাকৃতিক আইন। রাষ্ট্র হল এই আইনের এক অংশীদারি ব্যবস্থা। তাছাড়া এই আইন কেউ লঙ্ঘন করতে পারে না। রাষ্ট্র-সহ সমস্ত মানুষ এই প্রাকৃতিক আইন দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত। এই আইন অপরিবর্তনীয়, অভ্রান্ত ও শাশ্বত। প্রাকৃতিক আইন রাষ্ট্র ও মানুষকে মানবিকতা, সাম্য, মৈত্রী, স্বাধীনতা প্রভৃতি আদর্শ গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে।
সিসেরো দেখিয়েছেন যে, প্রাকৃতিক আইন হল রাষ্ট্রের উৎস। তাই রাষ্ট্র প্রণীত বিভিন্ন আইনকে প্রাকৃতিক আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। এর উপরেই রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিকের আনুগত্য নির্ভর করে। প্রাকৃতিক আইনবিরোধী কোনোরকম রাষ্ট্রীয় আইনকে আইন বলা যায় না।
রাষ্ট্রীয় আইন বা স্বাভাবিক আইন
তবে প্রাকৃতিক আইন সবসময় সমাজের সকল চাহিদা পূরণ করতে পারে না। আর তাই রাষ্ট্রপরিচালনার উদ্দেশ্যে আইন তৈরির প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। রাষ্ট্রীয় আইন মনুষ্যসৃষ্ট এবং মানুষ ও সমাজের কল্যাণের জন্যই রাষ্ট্রীয় আইনগুলি রচিত হয়। সিসেরোর তত্ত্ব অনুযায়ী, রাষ্ট্রের শাসক দুধরনের আইনের সাহায্য নিয়েই দেশ শাসন করবেন। আইনের প্রতি মানুষের অকৃত্রিম আনুগত্য থাকা প্রয়োজন।
ন্যায়বিচার
সিসেরো তাঁর ডি রিপাবলিকা (De Republica) গ্রন্থে ন্যায়বিচার সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বলেছেন যে, ন্যায়বিচার ও ন্যায়পরায়ণতা হল জাতির মেরুদণ্ড। ন্যায় হল প্রকৃতির দান বা প্রাকৃতিক আইনের অংশ। মানুষও যেহেতু প্রকৃতির অংশ তাই মানুষ ন্যায়নীতি সম্পর্কে সচেতন। ন্যায়বিচারের প্রতিষ্ঠা না হলে সমাজে নানা ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া সিসেরো আরও বলেছেন যে, কেবলমাত্র প্রাকৃতিক আইনের যথাযথ পালনই নয়, এর সঙ্গে সঙ্গে মনুষ্যসৃষ্ট আইনকেও মানবকল্যাণে সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারলে তবেই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে।
তাঁর মতানুসারে, যে সদ্গুণ মানবসমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে তা মানুষ পেয়েছে প্রকৃতি থেকে। এই সদ্গুণ প্রকাশিত হয় মানুষের দেশপ্রেম, আনুগত্য, সহনশীলতা, মানবিকতা ইত্যাদির মধ্য দিয়ে। সিসেরোর বক্তব্য অনুযায়ী, এই ন্যায়বিচার নির্ধারিত হয় আইনের মাধ্যমে। এই আইন হবে প্রাকৃতিক আইনের অনুসারী, যুক্তি-তথ্য দ্বারা সমর্থিত এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত। তাঁর মতে, দেশ ও কালের ঊর্ধ্বে থেকে এই আইন যুগ যুগ ধরে মানবসভ্যতা ও সমাজকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
সাম্যনীতি
সিসেরো মূলত স্টোয়িক দর্শন দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সাম্যনীতির বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর মতানুযায়ী, প্রকৃতি সকল মানুষের মধ্যে সাম্য প্রতিষ্ঠা করেছে। মনুষ্যসৃষ্ট কোনও আইনে এই সাম্য ব্যাহত হওয়া ঠিক নয়। তিনি সাম্যনীতিকে মানবজীবন ও রাষ্ট্রীয় জীবনের অপরিহার্য শর্ত বলে মনে করেন। দৈহিক গঠন, আর্থিক ক্ষমতা ও শিক্ষাদীক্ষায় মানুষের মধ্যে পার্থক্য থাকলেও প্রকৃতিগতভাবে সকল মানুষই সমান। প্রকৃতির জগতের মতো মানুষের জগতেও সৃষ্টিগতভাবে কোনও বৈষম্য নেই।
সকল মানুষ এবং একমাত্র মানুষই জীবজগতে চিন্তাশক্তি ও যুক্তিশক্তির অধিকারী। সিসেরোর মতে, মানুষের মধ্যে এই মিল আছে বলেই মানুষকে একটি সাধারণ সংজ্ঞার মধ্যে বর্ণনা করা যায়। এ ছাড়া তিনি যুক্তি প্রদান করে দেখিয়েছেন যে, রাষ্ট্র বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করে তা এমনভাবে প্রয়োগ করবে, যাতে সমাজের প্রত্যেক মানুষ সমান সুযোগসুবিধা ভোগ করতে পারে। বস্তুতপক্ষে, সিসেরোর রাষ্ট্রচিন্তায় এই সমতার আদর্শই আধুনিক উদারনৈতিক সমতাবাদী রাষ্ট্রচিন্তার মূলভিত্তি।
অসাম্যের বিরোধিতা
সিসেরো সামাজিক অসাম্যের বিরোধী ছিলেন। সমকালীন রোমান সমাজে প্রচলিত ক্রীতদাস প্রথাকে তিনি প্রাকৃতিক সাম্য ও ন্যায়বিচার বিরোধী বলে মনে করেন। কিছু সংখ্যক মানুষ স্বাভাবিকভাবেই ক্রীতদাসের জীবনযাপন করবে এ বিষয়টি সিসেরো মানতে পারেননি। ক্রীতদাস প্রথার সমালোচনা করে কার্যত তিনি প্লেটো ও অ্যারিস্টটলের নীতিরই সমালোচনা করেছেন।
বিশ্বনাগরিকত্ব
সিসেরোর মতানুসারে, সকল মানুষই সর্বজনীন প্রাকৃতিক আইনের অধীন। মানুষের মধ্যে জাতিগত ও ভাষাগত পার্থক্য থাকলেও তারা এক সাধারণ সমাজের অন্তর্গত। সমগ্র বিশ্বকে তিনি একটি রাষ্ট্র হিসেবে কল্পনা করেছেন। সিসেরো পৃথিবীর সমস্ত রাষ্ট্র নিয়ে এক রাষ্ট্র সমবায় বা কমনওয়েলথ গঠনের আদর্শ তুলে ধরেন। এই রাষ্ট্রের নাগরিকরা বিশ্বনাগরিক হিসেবে সমান সুযোগসুবিধা পাবে এবং প্রত্যেকেই প্রাকৃতিক আইন মেনে চলবে।
রাষ্ট্রের পরিচালক
সিসেরোর মতে, রাষ্ট্রের পরিচালকগণ হবেন প্রাজ্ঞ, ন্যায়পরায়ণ, সংযত ও বাগ্মী। তাঁরা রাষ্ট্রবিষয়ক মতবাদ ও আইন সম্পর্কে অভিজ্ঞ হবেন। সিসেরো মনে করেন যে, পরিচালকগণ জ্ঞানী হলে ন্যায়পরায়ণ হতে পারবেন। তিনি প্রচলিত আইনগুলি লিখে রাখা ও সংরক্ষণ করার কথা বলেছেন।
লোকায়ত সার্বভৌমিকতা
রাষ্ট্রকে জনগণের সম্পত্তি বলে উল্লেখ করে সিসেরো বলেছেন যে, রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বের উৎসই হল জনসাধারণ। জনগণের স্বার্থেই রাষ্ট্রকে তার ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হয়। এক্ষেত্রে বলা যায় যে, তিনিই প্রথম Popular Sovereignty বা লোকায়ত সার্বভৌমিকতার সূচনা করেন।
নাগরিকদের কর্তব্য
আদর্শ নাগরিকেরা হবে সত্যনিষ্ঠা, ন্যায়পরায়ণতা-সহ বিভিন্ন সদ্গুণের অধিকারী। তাঁরা অন্যের ক্ষতি ও পরের সম্পত্তি হরণ করবে না, কেউ বিপদে পড়লে সাহায্য করবে এবং জনসাধারণের মঙ্গলের জন্য কাজ করবে। তাছাড়া নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য হল তারা পিতৃভূমি রক্ষার জন্য যুদ্ধ করবে।
জনকল্যাণসাধন
রাষ্ট্র বিষয়ে সিসেরোর চিন্তা প্রধানত জনগণের মঙ্গলচিন্তাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে। তাঁর মতে, মানুষের মঙ্গলের উদ্দেশ্যেই রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় আইনও মানুষের কল্যাণসাধনের জন্যই রচিত হয়। তাই স্বৈরাচারী ব্যবস্থা জনকল্যাণকর রাষ্ট্র গঠনের ক্ষেত্রে অনুপযুক্ত।
সিসেরোর রাষ্ট্রচিন্তার সমালোচনা
মৌলিকত্বের অভাব
বহু ঐতিহাসিকগণই দেখিয়েছেন যে, সমকালীন রোমের বাস্তব রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপট বিচার করলে সিসেরোর চিন্তায় মৌলিকত্বের ছাপ ছিল খুবই সামান্য। তিনি প্লেটো, অ্যারিস্টটল, পলিবিয়াস ও স্টোয়িকদের রাষ্ট্রচিন্তার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন। প্লেটোর The Republic গ্রন্থের অনুকরণে সিসেরো তার De Republica গ্রন্থটি রচনা করেন। এমনকি তাঁর আইনভাবনাও নতুন ছিল না।
অবাস্তব চিন্তা
সিসেরো যে নীতি ও পদ্ধতি রোমে প্রয়োগ করতে চেয়েছিলেন তার সবকিছু বাস্তবসম্মত ছিল না। অনেকে মনে করেন যে, সিসেরোর আসল উদ্দেশ্য ছিল প্রাচীন রোমান নীতি ও পদ্ধতিগুলি ফিরিয়ে আনা। এক্ষেত্রে তাঁর উদ্দেশ্য মহৎ হলেও তৎকালীন রোমের পরিপ্রেক্ষিতে তা ছিল অবাস্তব।
বিবিধ ত্রুটিবিচ্যুতির বিচারে বহু সমালোচক মনে করেন যে, রাষ্ট্রচিন্তার জগতে সিসেরোর অবদান ছিল সামান্যই। তাঁদের মতে, তিনি তাঁর পূর্বের পন্ডিতদের রাষ্ট্রচিন্তাকে অনুকরণ করেছিলেন এবং তৎকালীন রোমের অবস্থার সঙ্গে এই চিন্তাকে সম্পকযুক্ত করেছিলেন মাত্র।
আরও পড়ুন – মধ্যযুগীয় ভারতের শিক্ষা প্রশ্ন উত্তর