সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো

সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্যসমূহ
আদর্শগত ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শগুলির মধ্যে পার্থক্য থাকলেও এরূপ গণতন্ত্রের কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। সেগুলি হল-
(1) ব্যক্তিগত মালিকানার অস্বীকৃতি
সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্রের মূল বৈশিষ্ট্য হল এরূপ গণতন্ত্রে উৎপাদনের উপকরণগুলির উপর ব্যক্তিগত মালিকানার পরিবর্তে সামাজিক মালিকানা প্রতিষ্ঠা করার প্রচেষ্টা করা হয়, যা অর্থনৈতিক সাম্যকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য একান্ত প্রয়োজনীয়। তাছাড়া সম্পত্তির ব্যক্তিগত মালিকানাই শ্রেণিশোষণের জন্য মূলত দায়ী। তাই এরূপ অধিকারকে কখনোই স্বীকার করা যায় না। সমাজতন্ত্রে উৎপাদন ও বণ্টনব্যবস্থার উপর সামাজিক নিয়ন্ত্রণ কায়েম করাকে উৎসাহ প্রদান করা হয়। সামাজিক সম্পদের ন্যায়সংগত বরাদ্দবন্টন এবং সুষ্ঠু ও সামঞ্জস্যপূর্ণ অর্থনৈতিক পরিকল্পনার মাধ্যমে জনসাধারণের সার্বিক অর্থনৈতিক কল্যাণসাধন ও উন্নতির প্রচেষ্টা করা হয়।
(2) অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সাম্য
মার্কসবাদী চিন্তাবিদরা মনে করেন, গণতন্ত্র হল সেই সমাজব্যবস্থা, যেখানে আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক সাম্য বিদ্যমান। উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সামাজিক ও রাজনৈতিক সাম্য প্রতিষ্ঠা করার প্রচেষ্টা করা হয় ঠিকই, কিন্তু অর্থনৈতিক সাম্যকে কখনোই গুরুত্ব দেওয়া হয় না। অথচ অর্থনৈতিক সাম্য ব্যতীত সামাজিক কিংবা রাজনৈতিক কোনো সাম্যই প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। কারণ, ধনবৈষম্যমূলক রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে মুষ্টিমেয় শাসকগোষ্ঠীর হাতে গণতান্ত্রিক আদর্শ কুক্ষিগত হয় এবং বিশেষ কিছু শ্রেণির স্বার্থেই গণতন্ত্র পরিচালিত হয়। অর্থনৈতিক সাম্যই একমাত্র শ্রেণিহীন, শোষণহীন, বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে আদর্শ গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম।
(3) শ্রেণিদ্বন্দ্বহীন সমাজ
সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্রই হল একমাত্র সমাজব্যবস্থা যেখানে একটি শ্রেণি অর্থাৎ, সর্বহারা (Proletariat) শ্রমিক ও কৃষক শ্রেণির অস্তিত্ব বিদ্যমান। এরূপ গণতন্ত্রে একটিমাত্র শ্রেণি থাকায় – শ্রেণিশোষণ কিংবা শ্রেণিদ্বন্দ্ব থাকে না, যা উদার গণতন্ত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য বলে বিবেচিত হয়।
(4) সমানাধিকারের স্বীকৃতি
এরূপ গণতন্ত্রে রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকারগুলিকে সমভাবে সংরক্ষণ ও স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। এখানে রাষ্ট্রের প্রতিটি ব্যক্তির শিক্ষার অধিকার, কর্মের অধিকার, ধর্মাচরণের অধিকার, স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে সমপরিমাণ কাজের জন্য সমপারিশ্রমিকের অধিকার, অক্ষম অবস্থায় ভরণপোষণের অধিকার ইত্যাদি পৌর অধিকারগুলির পাশাপাশি নির্বাচিত হওয়ার ও নির্বাচনে ভোটদান করার মতো রাজনৈতিক অধিকারও স্বীকৃত পেয়েছে। নাগরিকদের এই সকল অধিকারগুলি স্ত্রী-পুরুষ, জাতি, বর্ণ, ধর্ম, ধনী-নির্ধন, অভিজাত-অভাজন নির্বিশেষে সকলের জন্যই সমভাবে সংরক্ষিত হয়। রাষ্ট্র এই অধিকারগুলিকে যথাযথভাবে বলবৎ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাসমূহ গ্রহণ করে থাকে।
(5) সার্বিক প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকার
গণতন্ত্রের মূল আদর্শ গণসার্বভৌমত্বের ধারণার বাস্তব ও যথাযথ প্রয়োগ সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্রেই একমাত্র সম্ভব বলে মার্কসীয় তাত্ত্বিকরা মনে করেন। এরূপ শাসনব্যবস্থায় সংবিধানিক নিয়মানুসারে নির্দিষ্ট সময় অন্তর প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকারের ভিত্তিতে নির্বাচন প্রক্রিয়া সংঘটিত হয়। তাই জনগণকেই যাবতীয় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার উৎস বলে মনে করা হয়। এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন তথা সমষ্টিমূলক প্রতিনিধিত্ব সাফল্যলাভ করে এবং নাগরিকদের ভোটাধিকার সার্থক হয়। ফলে, রাষ্ট্রপরিচালনার যাবতীয় কার্যাবলিতে নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
(6) ব্যক্তিস্বাধীনতার উপর গুরুত্ব
সমাজতন্ত্রে অর্থনৈতিক সাম্য সামাজিক এবং রাজনৈতিক সাম্যের পথকে সুগম ও সাফল্যমণ্ডিত করে তোলে। ফলে রাষ্ট্রের প্রত্যেকটি ব্যক্তি তার নিজ নিজ ক্ষেত্রে সর্বাধিক স্বাধীনতা ও অধিকার ভোগের পর্যাপ্ত সুযোগ লাভ করে। তাই মনে করা হয় যে, ব্যক্তিস্বাধীনতার যথার্থ উপলব্ধি একমাত্র সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্রেই সম্ভব।
(7) একদলীয় ব্যবস্থার অস্তিত্ব
সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্রের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হল একদলীয় ব্যবস্থার উপস্থিতি। আর এই একটিমাত্র দল হল কমিউনিস্ট দল (Communist Party)। এরূপ শাসনব্যবস্থা মূলত শ্রেণিহীন, ফলত বিবিধশ্রেণির ভিন্ন ভিন্ন স্বার্থ, শ্রেণিস্বার্থভিত্তিক দ্বন্দ্ব বা সংঘাত, শ্রেণিশোষণ ইত্যাদি না থাকায় সমাজের সামগ্রিক লক্ষ্য ও জনসাধারণের ইচ্ছা-অনিচ্ছার মধ্যে কোনোরূপ দ্বিমত পরিলক্ষিত হয় না। একটিমাত্র শ্রেণি তথা সর্বহারা শ্রেণির অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে এখানে একদলীয় ব্যবস্থাই যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর এই দলের লক্ষ্যই হল শ্রমিক ও কৃষক শ্রেণির স্বার্থরক্ষা করা। রাষ্ট্রপরিচালনার যাবতীয় প্রশাসনিক কার্যাবলি এবং জনকল্যাণকামী রাষ্ট্র হিসেবে যাবতীয় সামাজিক কার্যাবলি এই একটিমাত্র দলই (কমিউনিস্ট দল) সম্পাদন করে থাকে। শ্রমিকশ্রেণি কৃষকশ্রেণি স্বার্থরক্ষার জন্য অন্য কোনো দলেরই কোনো প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয় না। সমাজতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় গণতান্ত্রিক কেন্দ্রীকতার আলোকে রাষ্ট্রের সকল কার্য সম্পাদিত হয়।
(8) সমগ্র জনগণের গণতন্ত্র
সর্বহারা শ্রেণির একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্র এক সম্পূর্ণ নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থার জন্ম দেয়। রাষ্ট্রের সমগ্র জনসাধারণের সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হয় এই শাসনব্যবস্থা। এই গণতন্ত্র ক্রমশ অগ্রসর হয় সাম্যবাদী সমাজ গঠনের লক্ষ্যে। সর্বশেষে রাষ্ট্রের অবলুপ্তির মধ্য দিয়ে সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্র সাফল্য লাভ করে।
(9) সর্বহারা শ্রেণির স্বার্থ সংরক্ষণ
সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্রই একমাত্র সর্বহারা শ্রেণির স্বার্থ সংরক্ষণ করতে পারে বলে মার্কসবাদীরা মনে করেন। সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ মেহনতী বা পরিশ্রমী মানুষের স্বার্থরক্ষার উদ্দেশ্যেই এরূপ গণতন্ত্রের উদ্ভব ঘটেছে। আর এই উদ্দেশ্যকে সফল করতেই রাষ্ট্রের যাবতীয় কার্যাবলিতে কমিউনিস্ট দলের নেতৃত্বে জনগণের নিয়ন্ত্রণ কায়েম হয়। ফলত, বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী রাষ্ট্রীয় কার্যাবলিতে খুব একটা প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয় না।
(10) শ্রমদান ও পারিশ্রমিক রাষ্ট্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত
এই শাসনব্যবস্থায় নাগরিকদের শ্রমদানের পরিমাণ এবং পারিশ্রমিক ভোগের বিষয়টি রাষ্ট্র কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। সমাজস্থ প্রত্যেক মানুষ তার সামর্থ্য অনুযায়ী শ্রমদান করবে এবং সেই ভিত্তিতে পারিশ্রমিক লাভ করবে- এই নীতির ভিত্তিতেই সমাজতন্ত্রে রাষ্ট্র ব্যয়বরাদ্দবন্টন সীমিত করে থাকে। তাই সমাজের সকলকেই বাধ্যতামূলকভাবে রাষ্ট্রের সামগ্রিক উন্নয়নে অংশগ্রহণ করতে হয়। যেহেতু এরূপ সমাজে পরশ্রমভোগী কোনো শ্রেণির অস্তিত্ব থাকে না, তাই সকলেই সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে বিবেচিত হয়।
(11) জনগণের নিয়ন্ত্রণ
এরূপ গণতন্ত্রে আমলাতন্ত্রের প্রাধান্যকে স্বীকৃতি দেওয়া হয় না। রাষ্ট্রব্যবস্থার যে-কোনো ক্ষেত্রে জনগণ এবং কমিউনিস্ট দলের সক্রিয় নিয়ন্ত্রণ আমলাতন্ত্রের প্রাধান্যকে খর্ব করে। এখানে একদলীয় ব্যবস্থা প্রচলিত থাকায় চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর ভূমিকাও যথেষ্ট সীমিত। এককথায় বলা যায়, ব্যাপক গণতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ আমলাতন্ত্রের সীমাবদ্ধতাকে সুনিশ্চিত করে।
(12) বিচার বিভাগের ভূমিকা
সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্রকে সর্বহারা শ্রেণির স্বার্থরক্ষার উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগের উপস্থিতিকে অস্বীকার করা হয়। এরূপ শাসনতন্ত্রে বিচার বিভাগের প্রধান উদ্দেশ্যই হল সমাজতন্ত্রকে রাষ্ট্রব্যবস্থার মধ্যে সুপ্রতিষ্ঠিত করা।
(13) ধর্মনিরপেক্ষতার স্বীকৃতি
সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শে ধর্মীয় অন্ধবিশ্বাসের কোনো স্থান নেই। এই মতাদর্শ দেশের জনসাধারণের মধ্যে এমন এক মূল্যবোধ সৃষ্টি করে, যা তাদের মধ্যে কুসংস্কারাচ্ছন্নতাকে দূরীভূত করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। এই শাসনব্যবস্থায় বিজ্ঞানসম্মত দৃষ্টিভঙ্গি, জাগ্রত রাজনৈতিক চেতনাশক্তি এবং উন্নয়নশীল মানসিকতার আলোকে জনগণ নিজের ব্যক্তিত্ব বিকাশের সুযোগ পায়, যা এক ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র তথা সমাজ গঠনে অনুপ্রেরণা জোগায়।
(14) সাংস্কৃতিক বিকাশ
রাষ্ট্রীয় শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, প্রযুক্তিবিদ্যা, বৈজ্ঞানিক কার্যকলাপ প্রভৃতির উপর সমাজতান্ত্রিক সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকে। গণমাধ্যমগুলির উপরও সরকার নিয়ন্ত্রণ কায়েম করে। তবে, সমাজতান্ত্রিক আদর্শ অনুযায়ী এই নিয়ন্ত্রণ জনগণের সুষ্ঠু, স্বাভাবিক সংস্কৃতির বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
(15) প্রলেতারিয়েত আন্তর্জাতিকতাবাদ
এই রূপ গণতন্ত্র জাতীয়তাবাদের সংকীর্ণ ধারণাকে স্বীকৃতি প্রদান করে না। সমাজতন্ত্র বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সাম্রাজ্যবাদী ও ঔপনিবেশিকতাবাদী আগ্রাসনের বিরোধিতা করে এবং যে-কোনো দেশের জাতীয় মুক্তি আন্দোলনকে আন্তরিকভাবে সমর্থন জানায়। মার্কসবাদের মূল কথা ‘দুনিয়ার মজদুর এক হও’ সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্রের আদর্শ বা ভিত্তিস্বরূপ। এরূপ গণতন্ত্রের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হল-সর্বহারা শ্রেণির আন্তর্জাতিকতাবাদ।
উপসংহার
মার্কসবাদ গণতন্ত্রকে সমর্থন জানায়। তবে উদারনৈতিক গণতন্ত্রের আদর্শের বিরোধিতা করেই সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্রের আবির্ভাব। মার্কসবাদীদের মতে, সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্রই হল প্রকৃত গণতন্ত্র (Real Democracy)। এ প্রসঙ্গে আবার লেনিন মন্তব্য করেছিলেন, সর্বহারা শ্রেণির গণতন্ত্রই প্রকৃত সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্রের আদর্শের ভিত্তিতে রাষ্ট্র গঠন করতে সক্ষম। অনেকে আবার এরূপ গণতন্ত্রকে ‘বৈপ্লবিক গণতন্ত্র’ (Revolutionary Democracy) বলেও অভিহিত করেছেন। পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থার ধ্বংসের মধ্য দিয়ে সমাজতান্ত্রিক সমাজকে প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করে প্রলেতারিয়েত শ্রেণি এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই সফলতা আসে বিপ্লব ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে।
গণসার্বভৌমিকতা, শোষণ মুক্ত সমাজ গঠন, অর্থনৈতিক গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা ইত্যাদির মধ্য দিয়ে এক নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থার সূত্রপাত ঘটে সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্রে। তবে সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্র কখনই সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত নয়। এই গণতন্ত্রের সমালোচনা করে বলা হয় যে, রাষ্ট্রপরিচালনার সকল ক্ষেত্রে সরকারের ব্যাপক ও সক্রিয় নিয়ন্ত্রণ ব্যক্তির ব্যক্তিস্বার্থের ও ব্যক্তিত্ব বিকাশের পরিপন্থী। আবার অনেকে মনে করেন, ব্যক্তিস্বাধীনতাকে যথেষ্ট পরিমাণে কোণঠাসা করে রাখা হয় সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্রে। তাছাড়া কেন্দ্রিকতার নীতিতে সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়া (Centralized Decision-making Process) জনসাধারণের ইচ্ছা- অনিচ্ছাকে অনেক ক্ষেত্রে মূল্য দিতে পারে না। তবুও উপরোক্ত দোষ-ত্রুটি সত্ত্বেও জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্র গঠনের জন্য সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্রের কার্যকারিতা অনস্বীকার্য।
Read More – The Garden Party Question Answer