Case Study পদ্ধতির ধাপসমূহ সংক্ষেপে আলোচনা করো

Case Study পদ্ধতির ধাপসমূহ সংক্ষেপে আলোচনা করো

আধুনিককালে Case Study পদ্ধতি বিভিন্ন জটিল বাস্তব সমস্যাসমাধানের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয় বলে এর সর্বক্ষেত্রে যথাসম্ভব বিজ্ঞানসম্মত মান বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়। সুশৃঙ্খল ও ধারাবাহিক কাজ করার ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিতে যেসব সাধারণ ধাপ অনুসরণ করা হয় তা হল-

(1) প্রয়োজনীয় কেস নির্বাচন: কেস স্টাডির কাজ শুরু হয় যে-কোনো সমস্যা বা বিষয় নির্বাচন করে নয়, বরং উপযুক্ত কেস নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যা গবেষকের নির্দিষ্ট সমস্যার দৃষ্টান্ত হিসেবে অনুমিত হয়। উদাহরণ- কোনো বসতি এলাকার চিত্তবিনোদন সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক একজন সমাজ গবেষক নির্দিষ্ট কোনো একটি বসতি নির্বাচন করে তার সার্বিক বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করতে পারেন।

(2) সাময়িক অনুমান গঠন: কেস স্টাডিতে সঠিক তথ্যসংগ্রহের উদ্দেশ্যে এমন কিছু অনুমান গঠন করে কাজ করা হয়, যার সম্পর্ক সাময়িক এবং কেবল গবেষকের প্রাসঙ্গিকতা বজায় রাখতে সহায়ক।

(3) উপযুক্ত তথ্যসংগ্রহের উৎস ও মাধ্যম নির্বাচন: কেস স্টাডিতে সাধারণত একাধিক সূত্র হতে বিভিন্ন উপকরণ বা মাধ্যম ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় তথ্যসংগ্রহ করা হয়। তথ্যসংগ্রহের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উৎসের পাশাপাশি সেসব কৌশল তথ্যসংগ্রহকল্পে ব্যবহার করা হয়।

(4) কেস স্টাডি পরিচালনা: কেস স্টাডিকে পর্যবেক্ষক যথাযথভাবে পরিচালনা করবেন।

(5)  তথ্যসংগ্রহ: বিভিন্ন উৎস হতে একাধিক কৌশল ব্যবহার করে গ্রহণযোগ্য তথ্যসংগ্রহের ক্ষেত্রে গবেষক বা তার নিয়োজিত তথ্য া সংগ্রহকারীদের কেস স্টাডির উদ্দেশ্য ও পদ্ধতি, তথ্যসংগ্রহের কৌশল হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

(6) তথ্য বিশ্লেষণ: কেস স্টাডির এই পর্যায়ে প্রাপ্ত তথ্যাবলি বর্ণনাত্মক উপায়ে বিশ্লেষণ উপযোগী করে গবেষকের উদ্দেশ্য অনুযায়ী উপস্থাপন করা হয়।

(7) সমাধান প্রদান ও অনুসরণ করা: কেস স্টাডির এই পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট কেসের সমস্যা কীভাবে দূর করা যাবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তাছাড়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রদত্ত সেবাকর্ম অনুসরণ বা Follow Up-এর দিকনির্দেশনাও এখানে থাকবে।

(8) রিপোর্ট প্রস্তুতি: কেস স্টাডি বিশ্লেষণের পরে বিশ্লেষণজাত তথ্যকে যথাযথভাবে রিপোর্ট গঠন করবেন। সেই রিপোর্ট ব্যক্তি বা সংগঠন বা সংস্থাকে জানাবেন। উপরোক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, সমাজ গবেষণার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হল কেস স্টাডি। এর মূল লক্ষ্য হল নির্দিষ্ট সমস্যার স্বরূপ উন্মোচন করে তার সুষ্ঠু সমাধান পরিকল্পনার সম্যক সহায়তা করা।

আরও পড়ুন –

১। অনুসন্ধান পদ্ধতি কী? মনোবৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান পদ্ধতির লক্ষ্যগুলি কী কী?

২। অনুসন্ধানের পর্যায়গুলি আলোচনা করো।

৩। সংক্ষেপে মনোবৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান পদ্ধতিগুলি আলোচনা করো। মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধান পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা লেখো।

৪। পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।

৫। পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির প্রকারভেদ সংক্ষেপে আলোচনা করো।

৬। অংশগ্রহণকারী পর্যবেক্ষণের সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা করো।

৭। অংশগ্রহণকারী নয় পর্যবেক্ষণের সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা করো।

৮। পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিকে উন্নত করার জন্য কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন?

৯। একটি আদর্শ পর্যবেক্ষণের বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলি সম্পর্কে লেখো।

১০। পর্যবেক্ষণের তথ্য সংগ্রহকারী উপকরণগুলি (Tools of Observation) উল্লেখ করো।

১১। পর্যবেক্ষণমূলক অনুসন্ধানের গুরুত্ব সংক্ষেপে আলোচনা করো।

১২। পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধাগুলি বর্ণনা করো।

১৩। পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি কাকে বলে? পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির ব্যবহার লেখো।

১৪। পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহের কৌশলগুলি সংক্ষেপে ‘আলোচনা করো।

১৫। নিজস্ব মতামত প্রকাশের পদ্ধতি কী? নিজস্ব মতামত প্রকাশের পদ্ধতিতে তথ্যসংগ্রহের কৌশলগুলি আলোচনা করো।

১৬। সাক্ষাৎকার পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধাগুলি লেখো।

১৭। নিজস্ব মতামত প্রকাশের পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা করো।

১৮। পরীক্ষামূলক পদ্ধতি কাকে বলে? এই পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য লেখো।

১৯। পরীক্ষণের স্তরগুলি সংক্ষেপে আলোচনা করো।

২০। শিক্ষাক্ষেত্রে পরীক্ষণ পদ্ধতির একটি নমুনা দাও।

২১। পরীক্ষামূলক পদ্ধতির সুবিধাগুলি লেখো।

২২। পরীক্ষামূলক পদ্ধতির অসুবিধাগুলি লেখো।

২৩। পরীক্ষণমূলক পদ্ধতিতে শিক্ষকের ভূমিকা লেখো।

২৪। শিক্ষাক্ষেত্রে পরীক্ষণ পদ্ধতির প্রয়োগ লেখো।

২৫। Case Study পদ্ধতি কী? এর বৈশিষ্ট্য লেখো।

২৬। কেস স্টাডির উদ্দেশ্য সম্পর্কে লেখো।

২৭। কোনো ব্যক্তির জন্য কেস স্টাডিতে সংগৃহীত তথ্যসমূহগুলি সম্পর্কে আলোচনা করো

Leave a Comment