পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধাগুলি বর্ণনা করো
পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির সুবিধা
(1) আচরণগত পরিবর্তন : শিক্ষার্থীদের পুঁথিগত জ্ঞান ছাড়াও অন্যান্য আচরণ সম্পর্কে জানার জন্য পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির প্রয়োজন হয়।
(2) নির্ভরযোগ্যতা: পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য।
(3) যথার্থতা: পর্যবেক্ষণ যে উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়, তা সফল হলে বলা হয় পর্যবেক্ষণটি যথার্থ হয়েছে।
(4) মানসিক অবস্থা সম্পর্কে অবগত হওয়া: একমাত্র পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির সাহায্যে আমরা অপরের মানসিক অবস্থা ও প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে পারি।
পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির অসুবিধা
(1) ধৈর্য ও সময়সাপেক্ষ : পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির জন্য অনেক বেশি ধৈর্য ও সময়ের প্রয়োজন হয়।
(2) প্রশিক্ষণপ্রাপ্তশিক্ষকের অভাব: পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিকে কার্যকর করে তুলতে উপযুক্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকের প্রয়োজন হয়, যা অনেকসময়ই থাকে না।
(3) প্রান্ত তথ্য ভ্রান্ত হতে পারে: পর্যবেক্ষণ থেকে প্রাপ্ত তথ্য ভ্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, কারণ পর্যবেক্ষক এখানে ব্যক্তির বাহ্যিক আচরণ দেখে সিদ্ধান্তে পৌঁছোন।
(4)পর্যবেক্ষকের পক্ষপাতিত্ব: পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিতে পর্যবেক্ষকের পক্ষপাতিত্বের প্রভাব থাকতে পারে।
আরও পড়ুন –
১। অনুসন্ধান পদ্ধতি কী? মনোবৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান পদ্ধতির লক্ষ্যগুলি কী কী?
২। অনুসন্ধানের পর্যায়গুলি আলোচনা করো।
৪। পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।
৫। পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির প্রকারভেদ সংক্ষেপে আলোচনা করো।
৬। অংশগ্রহণকারী পর্যবেক্ষণের সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা করো।
৭। অংশগ্রহণকারী নয় পর্যবেক্ষণের সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা করো।
৮। পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিকে উন্নত করার জন্য কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন?
৯। একটি আদর্শ পর্যবেক্ষণের বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলি সম্পর্কে লেখো।
১০। পর্যবেক্ষণের তথ্য সংগ্রহকারী উপকরণগুলি (Tools of Observation) উল্লেখ করো।