পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিকে উন্নত করার জন্য কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন
পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিকে উন্নত করতে হলে যে যে বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন, সেগুলি হল-
(1) উপযুক্ত নমুনা
পর্যবেক্ষণের জন্য নমুনা উপযুক্ত হওয়া প্রয়োজন।
(2)উদ্দেশ্য
পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্য পূর্বনির্দিষ্ট হওয়া প্রয়োজন।
(3) লিপিবদ্ধকরণ পদ্ধতি
যাদের পর্যবেক্ষণ করা হবে, তাদের আচরণ লিপিবদ্ধকরণ পদ্ধতি সহজসরল হওয়া প্রয়োজন।
(4) মতপার্থক্য দূরীকরণ
পর্যবেক্ষকের সংখ্যা একাধিক হলে বিভিন্ন বিষয়ে মতপার্থক্য যাতে না আসে, সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।
(5) প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক
যে ব্যক্তি কোনো দলকে পর্যবেক্ষণ করবেন, তিনি অবশ্যই যথাযথ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হবেন।
(6) পর্যবেক্ষণের শর্তসমূহ
পর্যবেক্ষণের শর্তসমূহ সকলের জন্য একই অর্থাৎ সর্বজনীন হবে।
(7) পর্যবেক্ষণ সংখ্যা
কোনো ব্যক্তি বা দল সম্পর্কে যথাযথ ধারণা পেতে হলে পর্যবেক্ষণ সংখ্যা সন্তোষজনক হতে হবে।
(৪) প্রাপ্ত তথ্য
পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য যথেষ্ট সংখ্যায় হতে হবে, তা না হলে পর্যবেক্ষণজাত সিদ্ধান্ত ত্রুটিপূর্ণ হতে পারে।
(9)পশ্চাৎপট
পর্যবেক্ষক সর্বদা পর্যবেক্ষণের পশ্চাৎপট সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকবেন।
(10) পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার তীব্রতা
পর্যবেক্ষক অবশ্যই সঠিক অনুসন্ধানের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করবেন অর্থাৎ তার পর্যবেক্ষণ শক্তি তীব্র হবে।
(11) প্রতিক্রিয়ার পার্থক্য করার ক্ষমতা অর্জন
পর্যবেক্ষণে বিভিন্ন নে ব্যক্তি বা দল বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া করে। এই প্রতিক্রিয়াসমূহের পার্থক্য করার ক্ষমতা পর্যবেক্ষকের থাকা উচিত।
আরও পড়ুন –
১। অনুসন্ধান পদ্ধতি কী? মনোবৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান পদ্ধতির লক্ষ্যগুলি কী কী?
২। অনুসন্ধানের পর্যায়গুলি আলোচনা করো।
৪। পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।
৫। পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির প্রকারভেদ সংক্ষেপে আলোচনা করো।
৬। অংশগ্রহণকারী পর্যবেক্ষণের সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা করো।
৭। অংশগ্রহণকারী নয় পর্যবেক্ষণের সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা করো।