উড-এর ডেসপ্যাচে শিক্ষক-শিক্ষণ পদ্ধতি, বৃত্তিশিক্ষা, মুসলিম শিক্ষা ও নারীশিক্ষা সম্পর্কিত সুপারিশসমূহ সম্পর্কে আলোচনা করো

উড-এর ডেসপ্যাচে শিক্ষক-শিক্ষণ পদ্ধতি, বৃত্তিশিক্ষা, মুসলিম শিক্ষা ও নারীশিক্ষা সম্পর্কিত সুপারিশসমূহ সম্পর্কে আলোচনা করো

উড-এর ডেসপ্যাচে শিক্ষক-শিক্ষণ পদ্ধতি, বৃত্তিশিক্ষা, মুসলিম শিক্ষা ও নারীশিক্ষা সম্পর্কিত সুপারিশসমূহ সম্পর্কে আলোচনা করো
উড-এর ডেসপ্যাচে শিক্ষক-শিক্ষণ পদ্ধতি, বৃত্তিশিক্ষা, মুসলিম শিক্ষা ও নারীশিক্ষা সম্পর্কিত সুপারিশসমূহ সম্পর্কে আলোচনা করো

উড-এর ডেসপ্যাচে শিক্ষক-শিক্ষণ সংক্রান্ত সুপারিশসমূহ

(1) এখানে বলা হয়, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাদানের জন্য পৃথক পৃথক শিক্ষক-প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে।

(2) শিক্ষার্থীরা যারা ‘সর্দার পড়ো’ প্রথার মাধ্যমে যোগ্য হিসেবে প্রমাণিত হবে তাদেরকে শিক্ষক-শিক্ষণ বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠিয়ে সুযোগ্য শিক্ষক হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

(3) উডের ডেসপ্যাচে শিক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষকদের বিশেষভাবে উৎসাহিত করতে বৃত্তিদানের প্রস্তাব রাখা হয়।

(4) এই প্রতিবেদনে অন্যান্য সরকারি চাকরির মতোই শিক্ষকতাও যাতে আকর্ষণীয় হয়, তাই এর মধ্য দিয়ে নৈতিক, আদর্শপরায়ণ শিক্ষক গড়ে তোলার সুপারিশ করা হয়।

বৃত্তিশিক্ষা সংক্রান্ত সুপারিশ

উডের প্রতিবেদনে শিক্ষাকে কেবলমাত্র সাহিত্য ও দর্শনশাস্ত্র অধ্যয়নের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে

বৃত্তিশিক্ষা অনুশীলনের উপরও গুরুত্ব আরোপ করা হয়। এই উদ্দেশ্যে আইন, চিকিৎসাবিদ্যা, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রভৃতি বৃত্তিমূলক শিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে প্রতিষ্ঠান স্থাপনের সুপারিশ করা হয়। এগুলি ছাড়া শিল্পশিক্ষার জন্যও পৃথক বিদ্যালয় স্থাপনের কথা বলা হয়।

মুসলিম শিক্ষা সংক্রান্ত সুপারিশ

শিক্ষায় অনগ্রসর সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য উডের ডেসপ্যাচে শিক্ষা প্রদানের বিশেষ উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া বলা হয়, মুসলিমদের পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রতি বিশেষ আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে। এ ছাড়া শিক্ষাক্ষেত্রে তাদের সরকারি অনুদান প্রদানের কথাও বলা হয়।

নারীশিক্ষা সংক্রান্ত সুপারিশ

উনিশ শতকে ভারতবর্ষে নারীশিক্ষা বিশেষভাবে অবহেলিত ছিল। উডের ডেসপ্যাচে নারীসমাজের শিক্ষার জন্য সরকারি প্রচেষ্টাকে একান্ত আবশ্যিক বলে উল্লেখ করা হয়। অনুদান প্রথার মাধ্যমে নারীশিক্ষা বিস্তারে উৎসাহ প্রদানের কথা বলা হয়। নারীশিক্ষা দ্রুত বিস্তারের জন্য পৃথক বালিকা বিদ্যালয় স্থাপনের কথা বলা হয়। বালিকাদের জন্য পৃথক পাঠ্যসূচি গঠনেরও সুপারিশ করা হয়। ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে উডের ডেসপ্যাচের নানান সমালোচনা সত্ত্বেও বলা যায়, শিক্ষক-শিক্ষণ, বৃত্তিশিক্ষা, মুসলিম শিক্ষা, নারীশিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলি স্থান পেয়েছিল যা নবযুগের দাবিকে মর্যাদা দিয়েছিল।

আরও পড়ুন – মধ্যযুগীয় ভারতের শিক্ষা প্রশ্ন উত্তর

Leave a Comment