সাবিত্রীবাই ফুলে বিশ্বাস করতেন, “শিক্ষাই নারীমুক্তির একমাত্র পিথ” আলোচনা করো। গোঁড়া রক্ষণশীল সমাজের বিরুদ্ধে প্রগতি ও উন্নয়নের বাহক সাবিত্রীবাইয়ের কর্মজীবন সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো

সাবিত্রীবাই মনে করতেন, যদি একজন মানুষকে শিক্ষিত করা হয়, তবে শুধুমাত্র একজন ব্যক্তিই শিক্ষিত হয়। আর যদি একজন নারীকে শিক্ষিত করা যায় তবে গোটা পরিবার শিক্ষিত হতে পারে। তিনি নিজে অত্যন্ত কষ্টের জীবনযাপন করে যেভাবে শিক্ষার্জন করেছিলেন তাতে তিনি উপলব্ধি করেন যে, ভারতবর্ষের ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তিত হতে পারে যদি নারীসমাজকে সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করা যায়। তাঁর মতে, নারী মুক্তির একমাত্র পথ হল নারীসমাজকে শিক্ষিত করে তোলা। তিনি মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন, শিক্ষা হল এমন এক শক্তিশালী হাতিয়ার যা শুধু নারীসমাজ নয় সমগ্র জাতি ও দেশকে মুক্তির দিশা দেখাতে পারে।
কর্মজীবন
1849 সালে যখন সাবিত্রীবাই ও জ্যোতিবা ফুলে-কে মনুস্মৃতি ও ব্রাহ্মণ্য ধর্মগ্রন্থের বিরুদ্ধে কথা বলার অভিযোগে চূড়ান্তভাবে অভিযুক্ত করে গোঁড়া রক্ষণশীল ভারতীয় সমাজ। তখন তারা তাদের পিতার বাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য হন। পরবর্তীকালে সাবিত্রীবাই তাঁর স্বামীর সঙ্গে মোট 1৪টি স্কুল খোলেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন বর্ণের শিক্ষার্থীদের পড়াতেন। ধর্ষণের শিকার এবং গর্ভবতী নারীদের জন্য এই স্কুলগুলিতে বিশেষ ধরনের শিক্ষার ব্যবস্থাও ছিল।
আরও পড়ুন – মধ্যযুগীয় ভারতের শিক্ষা প্রশ্ন উত্তর