বিজ্ঞানীরা কেন যৌবনাগম কালকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলেছেন? বয়সসীমা-সহ জীবনবিকাশের স্তরগুলি ও তাদের প্রাসঙ্গিক প্রথাগত। শিক্ষান্তরগুলির নাম তালিকাবদ্ধ করো

বিজ্ঞানীরা কেন যৌবনাগম কালকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলেছেন? বয়সসীমা-সহ জীবনবিকাশের স্তরগুলি ও তাদের প্রাসঙ্গিক প্রথাগত। শিক্ষান্তরগুলির নাম তালিকাবদ্ধ করো

যৌবনাগম কাল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ

(1) বৃদ্ধির পরিপূর্ণতা: যৌবনাগম কালে শিক্ষার্থীদের দৈহিক দিক দিয়ে বৃদ্ধি পরিপূর্ণতা লাভ করে। পেশিশক্তি-সহ দেহের অন্যান্য শক্তিও বৃদ্ধি পায়। খেলাধুলা, যোগব্যায়াম ইত্যাদির মাধ্যমে তারা নিজেকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তোলে। তাই তারা অনেক বেশি পরিশ্রম করতে পারে, কষ্টসাধ্য কাজগুলি করতে পারে। তাই বলা হয় এই স্তরটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

(2) সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা: বাবা-মা ও শিক্ষক-শিক্ষিকার সঠিক পথনির্দেশের মাধ্যমে তারা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

(3) ন্যায় প্রতিষ্ঠা: এই সময় তাদের নীতিবোধ জাগ্রত হয়। তাদের মধ্যে আদর্শবোধ তৈরি হয়। ফলে তারা অন্যায়ের প্রতিবাদ করে। কেউ অন্যায় করলে তার প্রতিবাদ করে বা বিদ্রোহ করে।

(4) সামাজিকীকরণের সামর্থ্য: এইসময় তারা সামাজিক আদর্শ থেকে কোনোভাবে বিচ্যুত হয় না, তা ছাড়া নিজেদের কাজের জন্য সামাজিক স্বীকৃতিও পেতে চায়। সমাজসেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করে। তাই সামাজিকীকরণের দিক দিয়ে এই স্তরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

(5) জ্ঞানার্জন: কৈশোরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্ঞানপিপাসা বৃদ্ধি পায়। সেইজন্য তারা তাৎক্ষণিক বক্তৃতা, কুইজ, বিতর্কসভায় অংশগ্রহণ করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে, প্রমাণ করতে চায়, যা অন্য বয়সে দেখা যায় না। তাই জ্ঞানার্জনের দিক দিয়েও বলা যায় এই স্তরটি খুব গুরুত্বপূর্ণ।

(6) আত্মপ্রতিষ্ঠার সুযোগে বৃদ্ধি করা: কৈশোরকালেই ছেলেমেয়েরা আত্মপ্রতিষ্ঠার চাহিদা অনুভব করে, যা তাকে ভবিষ্যতে আত্মনির্ভর হয়ে উঠতে সাহায্য করে। এই বয়স থেকেই শিক্ষার্থীরা তাদের কেরিয়ার সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠে। এইসময় থেকেই জীবনের লক্ষ্য স্থির করে নিতে পারে। তারা জীবনের কোন্ দিকে অগ্রসর হবে তা নিয়ে এই বয়সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য মনোবিদরা বলেছেন, যৌবনাগমের স্তরটি মানবজীবন বিকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তর।

আরও পড়ুন – আজব শহর কলকেতা প্রশ্ন উত্তর

Leave a Comment