কোনো ব্যক্তির জন্য কেস স্টাডিতে সংগৃহীত তথ্যসমূহগুলি সম্পর্কে আলোচনা করো
কোনো ব্যক্তির জন্য Case Study-তে যে যে ধরনের তথ্যসংগ্রহ করা হয়, সেগুলি হল-
(1) পরিবারের অতীত ও বর্তমান অবস্থা:
- পরিবারের সদস্য সংখ্যা,
- পরিবারের ব্যক্তিদের সাধারণ স্বাস্থ্য,
- পরিবারের প্রধানের শিক্ষাগত যোগ্যতা,
- পরিবারের পুরুষ ও মহিলার সংখ্যা পরিবারের প্রধানের পেশাগত যোগ্যতা,
- পরিবারের প্রধান কোন্ বৃত্তিতে যুক্ত রয়েছেন,
- পরিবারের অন্যান্য,সদস্যদের শিক্ষাগত ও বৃত্তিগত যোগ্যতা ইত্যাদি।
(2) ব্যক্তির বিকাশগত দিক ও বর্তমান অবস্থা:
- ব্যক্তির নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, লিঙ্গ ইত্যাদি,
- ব্যক্তির দৈহিক তথ্য যেমন- উচ্চতা, ওজন, দৈহিক বৃদ্ধি ইত্যাদি সম্পর্কিত তথ্য, ব্যক্তির মানসিক ক্ষমতা অর্থাৎ বুদ্ধি, প্রবণতা, আগ্রহ, সৃজনশীলতা ইত্যাদি সম্পর্কিত তথ্য,
- ব্যক্তির মানসিক ক্ষমতা অর্থাৎ বুদ্ধি, প্রবণতা, আগ্রহ, সৃজনশীলতা ইত্যাদি সম্পর্কিত তথ্য,
- প্রাক্ষোভিক বিকাশ অর্থাৎ ঈর্ষা, ভালোবাসা, সহানুভূতি, সহমর্মিতাবোধ, সহযোগিতা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যক্তির অবস্থান সম্পর্কিত তথ্য, ব্যক্তির সামাজিক বিকাশ অর্থাৎ পরিবারে ব্যক্তির অবস্থান, পরিবারে তার প্রতি স্নেহ, ভালোবাসা, সহপাঠীদের তার প্রতি আচরণ ইত্যাদি বিভিন্ন সামাজিক বিকাশ সম্পর্কিত তথ্য,
- ব্যক্তির আদর্শভাব অর্থাৎ রুচিবোধ, নৈতিকতাবোধ, আদর্শ ইত্যাদি সম্পর্কিত তথ্য,
- ব্যক্তির নিজের পরিবারের প্রতি, বিদ্যালয়ের প্রতি, সহপাঠীদের প্রতি মনোভাব সংক্রান্ত তথ্যসমূহ।
(3) প্রাকৃতিক পরিবেশ : ব্যক্তির প্রতিবেশীদের প্রকৃতি-যেখানে সে বড়ো হয়েছে। অর্থাৎ গ্রাম না শহর, সেখানে শিক্ষিত না অশিক্ষিতদের সংখ্যা বেশি, সেটি ফ্ল্যাট না নিজস্ব বাড়ি ইত্যাদি সংক্রান্ত তথ্যসংগ্রহ করা হয়।
(4) আর্থসামাজিক পরিবেশ: যে সমাজে ব্যক্তি বাস করে, তার প্রকৃতি অর্থাৎ সেখানে কোন্ ধরনের মানুষজন বেশি বাস করে- কৃষিজীবী, চাকুরিজীবী, শ্রমিক, শিক্ষক, ডাক্তার ইত্যাদি বিভিন্ন পেশার মানুষজন
(5) সাংস্কৃতিক পরিবেশ : ব্যক্তি যে পরিবেশে বাস করে সেখানকার মানুষজনের জীবনধারা, আদর্শ দৃষ্টিভঙ্গি, শিক্ষাদীক্ষা ইত্যাদি; সাংস্কৃতিক • দিকের যথাযথ চর্চার জন্য খেলার মাঠ, ক্লাব, বিনোদনমূলক ব্যবস্থা ইত্যাদি রয়েছে কি না-এই বিষয়ে নানাবিধ তথ্যসংগ্রহ করা। সুতরাং কেস স্টাডি পদ্ধতি অনুযায়ী কোনো ব্যক্তিকে জানতে উপরোক্ত বিভিন্ন তথ্যসংগ্রহ করতে হয়। প্রাপ্ত তথ্যগুলির প্রেক্ষিতে ব্যক্তিকে সমস্ত দিক থেকে বিশ্লেষণ করা হয়।
আরও পড়ুন –
১। অনুসন্ধান পদ্ধতি কী? মনোবৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান পদ্ধতির লক্ষ্যগুলি কী কী?
২। অনুসন্ধানের পর্যায়গুলি আলোচনা করো।
৪। পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।
৫। পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির প্রকারভেদ সংক্ষেপে আলোচনা করো।
৬। অংশগ্রহণকারী পর্যবেক্ষণের সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা করো।
৭। অংশগ্রহণকারী নয় পর্যবেক্ষণের সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা করো।
৮। পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিকে উন্নত করার জন্য কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন?
৯। একটি আদর্শ পর্যবেক্ষণের বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলি সম্পর্কে লেখো।
১০। পর্যবেক্ষণের তথ্য সংগ্রহকারী উপকরণগুলি (Tools of Observation) উল্লেখ করো।
১১। পর্যবেক্ষণমূলক অনুসন্ধানের গুরুত্ব সংক্ষেপে আলোচনা করো।
১২। পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধাগুলি বর্ণনা করো।
১৩। পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি কাকে বলে? পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির ব্যবহার লেখো।
১৪। পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহের কৌশলগুলি সংক্ষেপে ‘আলোচনা করো।
১৫। নিজস্ব মতামত প্রকাশের পদ্ধতি কী? নিজস্ব মতামত প্রকাশের পদ্ধতিতে তথ্যসংগ্রহের কৌশলগুলি আলোচনা করো।
১৬। সাক্ষাৎকার পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধাগুলি লেখো।
১৭। নিজস্ব মতামত প্রকাশের পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা করো।
১৮। পরীক্ষামূলক পদ্ধতি কাকে বলে? এই পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য লেখো।
১৯। পরীক্ষণের স্তরগুলি সংক্ষেপে আলোচনা করো।
২০। শিক্ষাক্ষেত্রে পরীক্ষণ পদ্ধতির একটি নমুনা দাও।
২১। পরীক্ষামূলক পদ্ধতির সুবিধাগুলি লেখো।
২২। পরীক্ষামূলক পদ্ধতির অসুবিধাগুলি লেখো।
২৩। পরীক্ষণমূলক পদ্ধতিতে শিক্ষকের ভূমিকা লেখো।
২৪। শিক্ষাক্ষেত্রে পরীক্ষণ পদ্ধতির প্রয়োগ লেখো।