কেস স্টাডির সুবিধাগুলি লেখো
কেস স্টাডির সুবিধা
ব্যক্তি বা সংগঠন বা সংস্থা সম্বন্ধে এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন তথ্যসংগ্রহ করে সেগুলিকে বিশ্লেষণ করাই হল কেস স্টাডি। এর সুবিধাগুলি হল-
(1) গভীরভাবে অধ্যয়ন: কোনো ব্যক্তি বা ঘটনা বা সংস্থাকে গভীরভাবে অধ্যয়ন করা যায় এবং এর ফলে ওই ব্যক্তি বা ঘটনা বা সংস্থা সম্পর্কে যথাযথ মন্তব্য করা যায় অর্থাৎ ভালো দিক, মন্দ দিক, সমস্যাগত দিক ইত্যাদি।
(2) অন্তর্দৃষ্টি জাগ্রত করা: কেস স্টাডি ব্যক্তি বা কোনো সংগঠন বা সংস্থার ব্যক্তিদের আচরণ জানতে যথাযথ অন্তর্দৃষ্টি জাগাতে সাহায্য করে।
(3) শিক্ষা সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান: শিক্ষাক্ষেত্রে বিভিন্ন শিক্ষা সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে।
(4) চিন্তাশক্তি, যুক্তিশক্তির বিকাশ: কেস স্টাডি পর্যবেক্ষকের পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা, যুক্তিশক্তি ও চিন্তাশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
(5) শিক্ষাগত ও বৃত্তিগত নির্দেশনা: ব্যক্তিকে শিক্ষাগত ও বৃত্তিগত নির্দেশদানে সাহায্য করে।
(6) শিক্ষাগঠন ও পরিচালনা সংক্রান্ত জ্ঞানলাভ : কেস স্টাডিতে বর্ণিত তথ্যাবলি বিশ্লেষণ করে একজন ব্যক্তি শিক্ষা সংগঠন ও পরিচালনা সংক্রান্ত জ্ঞানলাভ করতে পারে।
(7) নির্দিষ্ট সমস্যা সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা: কেস স্টাডি পদ্ধতিতে কোনো নির্দিষ্ট সমস্যার প্রকৃতি, প্রভাব, গভীরতা এবং এর উন্মেষ ও বিকাশ সম্পর্কিত বিষয় খুঁজে বের করা সহজ।
(8) সুগভীর ও সুবিস্তৃত ধারণা: এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন ব্যক্তি, দল, সমষ্টি, প্রতিষ্ঠান, ঘটনা ও অবস্থা সম্পর্কে সুগভীর ও সুবিস্তৃত ধারণা লাভ করা যায়।
(9) নমুনা অপ্রয়োজনীয় : এই পদ্ধতিতে তেমন কোনো নমুনায়নের প্রয়োজন হয় না।
(10) একক সম্পর্কে ধারণা গঠন: এই পদ্ধতির মাধ্যমে একক সম্পর্কে নতুন ধারণা, অন্তর্দৃষ্টি ও নির্দেশনা লাভ করা যায়।
(11) অন্তর্নিহিত সম্পর্ক সম্বাল্ব জ্ঞানলাভ : ‘কেস স্টাডির মাধ্যমে এককের অন্তর্নিহিত (Subjective) সম্পর্ক জানা যায়। যেমন-ব্যক্তিত্ব, আবেগ, মানসিকতা, দৃষ্টিভঙ্গি ইত্যাদি।
(12) জ্ঞানার্জনের পথ প্রশস্তকরণ: এই পদ্ধতিতে উল্লিখিত ঘটনার। আলোচনাকালে শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে পারস্পরিক মত বিনিময় হয় যা জ্ঞানার্জনের পথকে প্রশস্ত করে।
(13) নমনীয় প্রকৃতির: এই পদ্ধতি হল একটি নমনীয় পদ্ধতি। কারণ এখানে বিভিন্ন কৌশল যেমন-সাক্ষাৎকার, প্রশ্নাবলি, পর্যবেক্ষণ, দলিল, ডায়েরি, চিঠিপত্র ইত্যাদি প্রয়োগ করে তথ্য সংগ্রহ করা যায়।
(14) সামাজিক পরিবর্তন অনুধাবান উপযোগী:সামাজিক পরিবর্তন অনুধাবনের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি উপযোগী।
আরও পড়ুন –
১। অনুসন্ধান পদ্ধতি কী? মনোবৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান পদ্ধতির লক্ষ্যগুলি কী কী?
২। অনুসন্ধানের পর্যায়গুলি আলোচনা করো।
৪। পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।
৫। পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির প্রকারভেদ সংক্ষেপে আলোচনা করো।
৬। অংশগ্রহণকারী পর্যবেক্ষণের সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা করো।
৭। অংশগ্রহণকারী নয় পর্যবেক্ষণের সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা করো।
৮। পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিকে উন্নত করার জন্য কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন?
৯। একটি আদর্শ পর্যবেক্ষণের বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলি সম্পর্কে লেখো।
১০। পর্যবেক্ষণের তথ্য সংগ্রহকারী উপকরণগুলি (Tools of Observation) উল্লেখ করো।
১১। পর্যবেক্ষণমূলক অনুসন্ধানের গুরুত্ব সংক্ষেপে আলোচনা করো।
১২। পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধাগুলি বর্ণনা করো।
১৩। পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি কাকে বলে? পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির ব্যবহার লেখো।
১৪। পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহের কৌশলগুলি সংক্ষেপে ‘আলোচনা করো।
১৫। নিজস্ব মতামত প্রকাশের পদ্ধতি কী? নিজস্ব মতামত প্রকাশের পদ্ধতিতে তথ্যসংগ্রহের কৌশলগুলি আলোচনা করো।
১৬। সাক্ষাৎকার পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধাগুলি লেখো।
১৭। নিজস্ব মতামত প্রকাশের পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা করো।
১৮। পরীক্ষামূলক পদ্ধতি কাকে বলে? এই পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য লেখো।
১৯। পরীক্ষণের স্তরগুলি সংক্ষেপে আলোচনা করো।
২০। শিক্ষাক্ষেত্রে পরীক্ষণ পদ্ধতির একটি নমুনা দাও।
২১। পরীক্ষামূলক পদ্ধতির সুবিধাগুলি লেখো।
২২। পরীক্ষামূলক পদ্ধতির অসুবিধাগুলি লেখো।
২৩। পরীক্ষণমূলক পদ্ধতিতে শিক্ষকের ভূমিকা লেখো।
২৪। শিক্ষাক্ষেত্রে পরীক্ষণ পদ্ধতির প্রয়োগ লেখো।
২৫। Case Study পদ্ধতি কী? এর বৈশিষ্ট্য লেখো।
২৬। কেস স্টাডির উদ্দেশ্য সম্পর্কে লেখো।
২৭। কোনো ব্যক্তির জন্য কেস স্টাডিতে সংগৃহীত তথ্যসমূহগুলি সম্পর্কে আলোচনা করো।