কেস স্টাডির অসুবিধাগুলি লেখো
কেস স্টাডির অসুবিধা
কেস স্টাডির ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে তথ্যসংগ্রহ করা হয় ও তথ্যগুলিকে বিশ্লেষণ করা হয়। এক্ষেত্রে অসুবিধাগুলি হল-
(1) পর্যবেক্ষকের নিরপেক্ষতা : পর্যবেক্ষক যদি নিরপেক্ষ ও অভিজ্ঞ না হন, তবে পদ্ধতিটি ব্যক্তিগত দোষে দুষ্ট হয়।
(2) নিখুঁত তথ্য: ব্যক্তি বা সংস্থার সদস্যরা যদি নিখুঁত তথ্য না দেন তবে কেস স্টাডি থেকে সিদ্ধান্ত যথাযথ হবে না।
(3) ইচ্ছাকৃত প্রকৃতি: যে বিষয়ে তথ্য চাওয়া হচ্ছে কেউ যদি সেই তথ্য ইচ্ছাকৃতভাবে লুকিয়ে যায় বা ভুলক্রমে বিকৃত তথ্য দেয় বা দুর্বল স্মৃতিশক্তি ইত্যাদির মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য যথাযথ না হয় তবে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না।
(4) সঠিক বিশ্লেষণ: তথ্য সঠিক বিশ্লেষণের জন্য প্রয়োজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও অভিজ্ঞ পর্যবেক্ষক নতুবা বিশ্লেষিত তথ্য থেকে যথাযথ সিদ্ধান্ত ত্রুটিপূর্ণ হবে।
(5) প্রয়োগযোগ্যতা: ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে প্রয়োগযোগ্যতা থাকলেও অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রয়োগযোগ্যতা অনেক কম।
(6) সাফল্যনির্ভর প্রক্রিয়া: শিক্ষার্থীদের মনের উপর এই পদ্ধতির সাফল্য নির্ভরশীল।
(7) সময়সাপেক্ষ : এই পদ্ধতিতে কোনো একক সম্পর্কে অনুসন্ধানে অনেক বেশি সময়ের প্রয়োজন হয়।
(8) বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রয়োগের সুযোগ কম: এই পদ্ধতিতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রয়োগের সুযোগ কম থাকে।
(9) ভথ্য পক্ষপাতদুষ্ট: এখানে অপ্রাসঙ্গিক, মূল্যবোধ বিবর্জিত ও পক্ষপাতদুষ্ট তথ্য সংগৃহীত হতে পারে।
(10) সকল ক্ষেত্রে প্রাযাজ্য নয়: সবক্ষেত্রে কেস স্টাডি পদ্ধতি সুফল প্রদান করে না।*1
সুতরাং কেস স্টাডির বেশ কিছু সংখ্যক সীমাবদ্ধতা থাকলেও এই পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে সমস্যাসমাধান ব্যক্তিগত বা সমাজগত ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
(11) সাধারণীকরণ ও তুলনার সুযোগ কম : প্রাপ্ত তথ্যে সাধারণীকরণ ও তুলনাকরণের সুযোগ কম থাকে।
(12) গভীর জ্ঞান ও দক্ষতার অভাব: এই পদ্ধতির জন্য যে গভীর জ্ঞান ও দক্ষতা গবেষকের প্রয়োজন, তা অনেকেরই থাকে না।
(13) গুণগত তথ্য: কেস স্টাডির মাধ্যমে কেবলমাত্র গুণগত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এর মাধ্যমে তথ্যের কার্যকারণ সম্পর্ক নির্ণয় এবং সংখ্যাগত দিক থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যায় না
(14) ব্যয়সাপেক্ষ: বিভিন্ন পদ্ধতি প্রয়োগে বিপুল তথ্য সংগ্রহ করার কাজে আগ্রহী হওয়ার কারণে এই পদ্ধতি বেশি সময়সাপেক্ষ হয়ে থাকে। এই কারণে ব্যয়বহুলও হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন –
১। অনুসন্ধান পদ্ধতি কী? মনোবৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান পদ্ধতির লক্ষ্যগুলি কী কী?
২। অনুসন্ধানের পর্যায়গুলি আলোচনা করো।
৪। পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।
৫। পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির প্রকারভেদ সংক্ষেপে আলোচনা করো।
৬। অংশগ্রহণকারী পর্যবেক্ষণের সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা করো।
৭। অংশগ্রহণকারী নয় পর্যবেক্ষণের সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা করো।
৮। পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিকে উন্নত করার জন্য কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন?
৯। একটি আদর্শ পর্যবেক্ষণের বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলি সম্পর্কে লেখো।
১০। পর্যবেক্ষণের তথ্য সংগ্রহকারী উপকরণগুলি (Tools of Observation) উল্লেখ করো।
১১। পর্যবেক্ষণমূলক অনুসন্ধানের গুরুত্ব সংক্ষেপে আলোচনা করো।
১২। পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধাগুলি বর্ণনা করো।
১৩। পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি কাকে বলে? পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির ব্যবহার লেখো।
১৪। পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহের কৌশলগুলি সংক্ষেপে ‘আলোচনা করো।
১৫। নিজস্ব মতামত প্রকাশের পদ্ধতি কী? নিজস্ব মতামত প্রকাশের পদ্ধতিতে তথ্যসংগ্রহের কৌশলগুলি আলোচনা করো।
১৬। সাক্ষাৎকার পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধাগুলি লেখো।
১৭। নিজস্ব মতামত প্রকাশের পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা করো।
১৮। পরীক্ষামূলক পদ্ধতি কাকে বলে? এই পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য লেখো।
১৯। পরীক্ষণের স্তরগুলি সংক্ষেপে আলোচনা করো।
২০। শিক্ষাক্ষেত্রে পরীক্ষণ পদ্ধতির একটি নমুনা দাও।
২১। পরীক্ষামূলক পদ্ধতির সুবিধাগুলি লেখো।
২২। পরীক্ষামূলক পদ্ধতির অসুবিধাগুলি লেখো।
২৩। পরীক্ষণমূলক পদ্ধতিতে শিক্ষকের ভূমিকা লেখো।
২৪। শিক্ষাক্ষেত্রে পরীক্ষণ পদ্ধতির প্রয়োগ লেখো।
২৫। Case Study পদ্ধতি কী? এর বৈশিষ্ট্য লেখো।
২৬। কেস স্টাডির উদ্দেশ্য সম্পর্কে লেখো।
২৭। কোনো ব্যক্তির জন্য কেস স্টাডিতে সংগৃহীত তথ্যসমূহগুলি সম্পর্কে আলোচনা করো।
২৮। Case Study পদ্ধতির ধাপসমূহ সংক্ষেপে আলোচনা করো।