বঞ্চনা প্রতিরোধে পিতা-মাতা ও বিদ্যালয়ের ভূমিকা আলোচনা করো

বঞ্চনা প্রতিরোধে পিতা-মাতা ও বিদ্যালয়ের ভূমিকা আলোচনা করো

বঞ্চনা প্রতিরোধে পিতা-মাতা ও বিদ্যালয়ের ভূমিকা

শিশুদের বিকাশ যথাযথ হওয়ার জন্য তারা যাতে বঞ্চিত না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। সেজন্য-

(1) জীবনবিকাশের প্রতিটি স্তরে পিতা-মাতা শিশুদের ওপর অধিক মনোযোগী ও যত্নবান হবেন।

(2) শিশুদের মানসিক পরিস্থিতিকে বুঝে সেই অনুযায়ী পিতা-মাতা চাহিদা পূরণ করতে পারেন। তাতে শিশুর মানসিক স্থিতি ঠিক থাকবে।

(3) পিতা-মাতাদের উচিত শিশুদের জন্য নিজস্ব গৃহপরিবেশকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখা।

(4) গৃহপরিবেশে শিশুর কোনো চাহিদা যাতে অপূর্ণ না থাকে, সেদিকে বাবাকে লক্ষ রাখতে হবে। 

(5) বিদ্যালয়ে শিশুর গ্রহণযোগ্যতাকে ঠিক রাখার জন্য শিক্ষকগণ শিশুর প্রতি বিশেষ যত্নবান হবেন।

(6) শ্রেণিকক্ষে শিশু যাতে কোনোভাবেই বঞ্চিত না হয়, সেজন্য শিক্ষকগণ সমস্ত শিশুর প্রতি সমমনোভাব পোষণ করবেন। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের প্রতি মা-বাবা ও শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ বিশেষ যত্নবান হবেন। শিশুদের বঞ্চনার প্রতিরোধে সমাজেরও কিছু ভূমিকা রয়েছে। যেমন- যে-সমস্ত শিশুরা গৃহহীন, নিঃস্ব ও সহায়সম্বলহীন, তাদের জন্য আবাসস্থল, নিরাপত্তা, শিক্ষা, চিকিৎসা ও আহারের ব্যবস্থা করা সমাজেরই দায়িত্ব।

আরও পড়ুন – মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতিসমূহ প্রশ্ন উত্তর

Leave a Comment