বেগম রোকেয়া পিছিয়ে পড়া মুসলিম মহিলাদের কীভাবে সামাজিক অগ্রগতিতে নিয়ে এসেছিল

বেগম রোকেয়া পিছিয়ে পড়া মুসলিম মহিলাদের কীভাবে সামাজিক অগ্রগতিতে নিয়ে এসেছিল

বেগম রোকেয়া পিছিয়ে পড়া মুসলিম মহিলাদের কীভাবে সামাজিক অগ্রগতিতে নিয়ে এসেছিল
বেগম রোকেয়া পিছিয়ে পড়া মুসলিম মহিলাদের কীভাবে সামাজিক অগ্রগতিতে নিয়ে এসেছিল

বেগম রোকেয়ার সমাজচিন্তা ছিল সামগ্রিক। তিনি পরুষ জাতির উন্নতির পাশাপাশি নারী জাতির উন্নয়নেরও কথা বলেছেন। নারীর সামাজিক অবস্থা নিরুপণে তার দূরদর্শিতা ছিল। তিনি নারী পুরুষকে পরস্পর পরস্পরের সহযোগী হিসেবে দেখেছেন। নারীশিক্ষাকে সামাজিক নিয়মে পরিণত করার ধারণা কারোর মধ্যে ছিল না। মেয়েদের স্কুল করতে গিয়ে তাকে প্রচুর লোকের মুখোমুখি হতে হয়েছিল, তারা তার স্কুল বন্ধ করতে চেয়েছিল। কিন্তু তার অটল মানসিকতার জন্য তারা তার স্কুল বন্ধ করতে পারেনি। তিনি ঘরে ঘরে গিয়ে মুসলিম মেয়েদেরকে বুঝিয়ে বিদ্যালয়ে নিয়ে এসেছেন। 

বেগম রোকেয়া নারীদের প্রতি অবহেলা অত্যন্ত কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করেছেন। তাঁর নিজ পরিবারের মেয়েদের চলাফেরা ও শিক্ষায় কোনো স্বাধীনতা ছিল না। তিনি নারীর মর্মবেদনা ও চাহিদা গভীরভাবে উপলব্ধি করেছেন। 1916 সালে তিনি “অঞ্জুমান-ই-খাওয়াতিন-এ ইসলাম বা মুসলিম মহিলা সমিতি গঠন করেন। নিরক্ষর ও দরিদ্র নারীদের আত্মনির্ভর করতে বহুমুখী কর্মকাণ্ড পরিচালনাই ছিল এই সমিতির উদ্দেশ্য। সরাসরি অর্থ সাহায্য না করে এই সমিতি সুস্থ নারীর স্থায়ী পুনর্বাসনে জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হত। উপরিউক্ত আলোচনা থেকে আমরা বলতে পারি সমাজ সংস্কারক হিসেবে নারী উন্নয়নই তাঁর মূল লক্ষ্য। নারীকে তার সম্মানজনক অবস্থানে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করাই ছিল তার লক্ষ্য। এই কারণে তিনি মহিলা সমিতি গঠন করেছিলেন।

আরও পড়ুন – মধ্যযুগীয় ভারতের শিক্ষা প্রশ্ন উত্তর

Leave a Comment