বিধবাবিবাহ প্রচলনে ঈশ্বরচন্দ্রের অবদান সংক্ষেপে আলোচনা কিরো। “শিক্ষাসংস্কারক বিদ্যাসাগর বাংলা ভাষা সাহিত্য ও অনুবাদ সাহিত্যে এক নতুন দিশা দেখিয়েছিলেন”- ব্যাখ্যা করো

বিধবাবিবাহ প্রচলনে ঈশ্বরচন্দ্রের অবদান সংক্ষেপে আলোচনা কিরো। “শিক্ষাসংস্কারক বিদ্যাসাগর বাংলা ভাষা সাহিত্য ও অনুবাদ সাহিত্যে এক নতুন দিশা দেখিয়েছিলেন”- ব্যাখ্যা করো

বিধবাবিবাহ প্রচলনে ঈশ্বরচন্দ্রের অবদান সংক্ষেপে আলোচনা কিরো। "শিক্ষাসংস্কারক বিদ্যাসাগর বাংলা ভাষা সাহিত্য ও অনুবাদ সাহিত্যে এক নতুন দিশা দেখিয়েছিলেন"- ব্যাখ্যা করো
বিধবাবিবাহ প্রচলনে ঈশ্বরচন্দ্রের অবদান সংক্ষেপে আলোচনা কিরো। “শিক্ষাসংস্কারক বিদ্যাসাগর বাংলা ভাষা সাহিত্য ও অনুবাদ সাহিত্যে এক নতুন দিশা দেখিয়েছিলেন”- ব্যাখ্যা করো

বিধবা-বিবাহ প্রচলনে বিদ্যাসাগরের অবদান 

1855 খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর মাসে বিধবাবিবাহ বিরোধী মতের কণ্ঠরোধ করার পর্যাপ্ত শাস্ত্রীয় প্রমাণসহ ‘বিধবাবিবাহ প্রচলিত হওয়া উচিত কি না এতদ বিষয়ক প্রস্তাব’ নিয়ে- দ্বিতীয় পুস্তক প্রকাশ করেন। বিধবাবিবাহ আইনসম্মত করাতে ভারতে নিযুক্ত ব্রিটিশ সরকারের নিকট বহুসাক্ষর সংবলিত এক আবেদনপত্রও পাঠান। 1856 খ্রিস্টাব্দের 16 ই জুলাই বিধবাবিবাহ আইন পাস হয়। এই বছরের 7 ডিসেম্বর কলকাতায় প্রথম বিধবাবিবাহ আয়োজিত হয় সুকিয়া স্ট্রিটে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বন্ধু রাজকৃয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে। পাত্র ছিলেন প্রসিদ্ধ কথক রামধন তর্কবাগীশের কনিষ্ঠ পুত্র তথা সংস্কৃত কলেজের কৃতি ছাত্র ও অধ্যাপক, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বন্ধু শ্রীশচন্দ্র বিদ্যারত্ন। পাত্রী ছিলেন বর্ধমান জেলার পলাশডাঙা গ্রামের অধিবাসী ব্রহ্মানন্দ মুখোপাধ্যায়ের দ্বাদশ বর্ষীয়া বিধবা কন্যা কালীমতী।

শিক্ষাসংস্কারক বিদ্যাসাগর

শিক্ষাসংস্কারক ও শিক্ষাবিদ হিসেবে বিদ্যাসাগরের অবদান সুদুরপ্রসারী। প্রাসঙ্গিকতার বিচারে সকল শিক্ষার্থীর কাছে বিদ্যাসাগর একান্ত আপন। শিক্ষায় নিবেদিত প্রাণপুরুষ হলেন বিদ্যাসাগর, যিনি বাংলার শিক্ষাক্ষেত্রে প্রেরিত এক আজন্ম শিক্ষক। সমাজসেবার ভূমিকা থেকেই সাহিত্যক্ষেত্রে তাঁর অবাধ বিচরণ। তাঁর প্রণীত গ্রন্থের অধিকাংশই বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তক বা ভাবানুবাদ। বিদ্যাসাগরের অনুবাদ শুধু সার্থক নয়, অভিনব রূপান্তর। তাঁর হাতে কাব্যের অনুবাদ অপূর্ব সুষমা লাভ করেছে। তার মধ্যে দিয়েই বিদ্যাসাগরের সাহিত্য রসোত্তীর্ণ হয়েছে। বিতর্কমূলক গ্রন্থ ‘বিধবাবিবাহ বিষয়ক প্রস্তাব’, ‘রত্নপরীক্ষা’ ইত্যাদি নানা রচনা তিনি প্রকাশ করেন। বাংলায় সাহিত্য ভাষাকে বিদ্যাসাগর এক নতুন রূপ দেন। এর ফলে সাহিত্যের ভাষা ‘শুষ্ক কাষ্ঠের দুর্ভেদ্যতা থেকে মুক্তি পেয়ে এক স্বচ্ছন্দ গতি পেয়েছিল।

আরও পড়ুন – মধ্যযুগীয় ভারতের শিক্ষা প্রশ্ন উত্তর

Leave a Comment