প্রতিজ্ঞাসাধনম পাঠ্যাংশ একাদশ শ্রেণি সংস্কৃত

প্রতিজ্ঞাসাধনম পাঠ্যাংশ একাদশ শ্রেণি সংস্কৃত

প্রতিজ্ঞাসাধনম পাঠ্যাংশ একাদশ শ্রেণি সংস্কৃত
প্রতিজ্ঞাসাধনম পাঠ্যাংশ একাদশ শ্রেণি সংস্কৃত

প্রথম অংশ – शिववीरस्य … प्रावृणीत् ।

মূল পাঠ

বাংলা লিপিতে পাঠ: শিববীরস্য কোহপি সেবকঃ শ্রীরঘুবীরসিংহঃ তস্যাবশ্যকং পত্রং চাদায় মহতা ক্লেশেন সিংহদুর্গাৎ তোরণদুর্গং প্রয়াতি। মাসোহয়মাষাঢ়স্যাস্তি সময়শ্চ সায়ম্ অস্তং জিগমিষুর্ভগবান্ ভাস্করঃ, সিন্দুর-দ্রব-স্নাতানামিব বরুণদিগবলম্বিনামরূণবারিবাহানামভ্যন্তরং প্রবিষ্টঃ। কলবিঙ্কাঃ নীড়েষু প্রতিনিবর্তন্তে। বনানি প্রতিক্ষণমধিকাধিকাং শ্যামতাং কলয়ন্তি। অথাকস্মাৎ পরিতো মেঘমালা পর্বতশ্রেণিরিব প্রাদুর্ভূয় সমস্তং গগনতলং প্রাবৃণোৎ।

সন্ধি ভেঙে পাঠ ও শব্দার্থ

শিববীরস্য (শিববীরের), কঃ অপি (কোনো এক), সেবকঃ (সেবক), শ্রীরঘুবীরসিংহঃ (শ্রীরঘুবীরসিংহ), তস্য (সেই শিববীরের), আবশ্যকং (জরুরি), পত্রং চ (এক চিঠি), আদায় (নিয়ে), মহতা (খুব), ক্লেশেন (কষ্ট করে), সিংহদুর্গাৎ (সিংহদুর্গ থেকে), তোরণদুর্গং (তোরণদুগে), প্রয়াতি (যাচ্ছিলেন)। মাসঃ অয়ম্ (এই মাস ছিল), আষাঢ়ঃ (আষাঢ়), অস্তি সময়ঃ চ (আর সময় ছিল), সায়ম্ (সন্ধ্যা), অস্তং জিগমিষুঃ (অস্তগমনেচ্ছু), ভগবান্ (ভগবান), ভাস্করঃ (ভাস্কর), সিন্দুর-দ্রব-স্নাতানামিব (সিঁদুর জলে স্নাত), বরুণদিগবলম্বিনাম্ (পশ্চিম দিকে জড়ো হওয়া), অরুণ-বারিবাহানাম্ (রক্তবর্ণ মেঘাবলির), অভ্যন্তরং (মধ্যে), প্রবিষ্টঃ (প্রবেশ করল)। কলবিষ্কাঃ (চড়াই পাখিরা), নীড়েষু (বাসায়), প্রতিনিবর্তন্তে (ফিরে আসছিল)। বনানি (বনরাজি), প্রতিক্ষণম্ (ক্ষণে ক্ষণে), অধিকাধিকাং (আরও আরও), শ্যামতাং (কালিমা), কলয়ন্তি (ধারণ করছিল)। অথ (এমন সময়), অকস্মাৎ (হঠাৎ), পরিতঃ (চারদিকে), মেঘমালা (মেঘমালা), পর্বতশ্রেণিঃ (পাহাড়ের সারির), ইব (মতো), প্রাদুর্ভূয় (আবির্ভূত হয়ে), সমস্তং গগনতলং (সমস্ত আকাশ), প্রাবৃণোৎ (ঢেকে ফেলল)।

বাংলা অনুবাদ

শিববীরের কোনো এক সেবক শ্রীরঘুবীরসিংহ সেই শিববীরের জরুরি এক চিঠি নিয়ে খুব কষ্ট করে সিংহদুর্গ থেকে তোরণদুর্গে যাচ্ছিলেন। তখন মাস ছিল আষাঢ় আর সময় ছিল সন্ধ্যা, অস্তগমনেচ্ছু ভগবান ভাস্কর, সিঁদুর জলে স্নাত পশ্চিম দিকে জড়ো হওয়া রক্তবর্ণ মেঘাবলির মধ্যে প্রবেশ করল। চড়াই পাখিরা বাসায় ফিরে আসছিল। বনরাজি ক্ষণে ক্ষণে আরও আরও কালিমা ধারণ করছিল। এমন সময় হঠাৎ চারদিকে মেঘমালা পাহাড়ের সারির মতো আবির্ভূত হয়ে সমস্ত আকাশ ঢেকে ফেলল।

দ্বিতীয় অংশ अस्मिन् समये … प्रयाति स्म।

মূল পাঠ

বাংলা লিপিতে পাঠ: অস্মিন্ সময়ে একঃ ষোড়শবর্ষ-দেশীয়ো গৌরো যুবা হয়েন পর্বতশ্রেণীরূপর্যুপরি গচ্ছতি স্ম। এষ সুঘটিতদৃঢ়শরীরঃ শ্যাম- শ্যামৈগুচ্ছ-গুচ্ছেঃ কুঞ্চিত-কুঞ্চিতৈঃ কচকলাপৈঃ কমনীয়- কপোলপালিঃ দূরাগমনায়াসবশেন স্বেদবিন্দুব্রজেন সমাচ্ছাদিত- ললাট-কপোল-নাসাগ্রোত্তরোষ্ঠঃ প্রসন্ন-বদনান্তোজঃ হরিতোয়ীষশোভিতঃ, হরিতেনৈব চ কঞ্জুকেন প্রকটীকৃত-ব্যূঢ়গূঢ়চরতা-কার্যঃ, কোহপি শিববীরস্য বিশ্বাসপাত্রং সিংহদুর্গাৎ তস্যৈব পত্রমাদায় তোরণদুর্গং প্রয়াতি স্ম।

সন্ধি ভেঙে পাঠ ও শব্দার্থ

অস্মিন্ সময়ে (এমন সময়), একঃ ষোড়শবর্ষ-দেশীয়ঃ গৌরঃ যুবা (বছর ষোলোর এক ফরসা ছেলে), হয়েন (ঘোড়ায় চড়ে), পর্বতশ্রেণীঃ (পর্বতমালার), উপর্যুপরি (ওপর দিয়ে), গচ্ছতি স্ম (যাচ্ছিল)। এষঃ (এই ছেলেটি), সুঘটিতদৃঢ়শরীরঃ (সুন্দর অঙ্গের গঠনে সুঠাম শরীর), শ্যাম-শ্যামৈঃ (কালো-কালো), গুচ্ছ-গুচ্ছৈঃ (গুচ্ছ-গুচ্ছ), কুঞ্চিত-কুঞ্চিতৈঃ (কোঁকড়ানো), কচকলাপৈঃ (চুল), কমনীয়কপোলপালিঃ (সুশোভিত গাল), দূরাগমনায়াসবশেন (দূর থেকে আসার পরিশ্রমের ফলে), স্বেদবিন্দুব্রজেন (ঘামের বিন্দুগুলি দিয়ে), সমাচ্ছাদিত-ললাট-কপোল- নাসাগ্রোত্তরোষ্ঠঃ (কপাল, গাল, নাকের অগ্রভাগ, আর ওপরের ঠোঁট আচ্ছাদিত হয়েছে), প্রসন্ন-বদনান্তোজঃ (প্রসন্ন মুখপদ্ম), হরিতোয়ীষ- শোভিতঃ (সবুজ উল্লীষে শোভিত), হরিতেন এব চ কঞ্জুকেন (সবুজ বর্মের দ্বারা), প্রকটীকৃত-ব্যূঢ়গূঢ়চরতা-কার্যঃ (জানা যাচ্ছে যে সে গুপ্তচরবৃত্তিতে রত), কঃ অপি (কোনও এক), শিববীরস্য (শিববীরে), বিশ্বাসপাত্রং (বিশ্বস্ত যুবক), সিংহদুর্গাৎ (সিংহদুর্গ থেকে), তস্য এব (তারই), পত্রম্ (একটি চিঠি), আদায় (নিয়ে), তোরণদুর্গং (তোরণদুর্গে), প্রয়াতি স্ম (যাচ্ছিল)।

বাংলা অনুবাদ

এমন সময় বছর ষোলোর এক ফরসা ছেলে ঘোড়ায় চড়ে পর্বতমালার ওপর দিয়ে যাচ্ছিল। এই ছেলেটির অঙ্গের গঠন সুন্দর, শরীর সুঠাম, কালো-কালো গুচ্ছ-গুচ্ছ কোঁকড়ানো চুল, সুশোভিত গাল, দূর থেকে আসার পরিশ্রমের ফলে ঘামের বিন্দুগুলি দিয়ে কপাল, গাল, নাকের, অগ্রভাগ, আর ওপরের ঠোঁট আচ্ছাদিত হয়েছিল, প্রসন্ন মুখপদ্ম মাথায় সবুজ উল্লীষ সবুজ বর্মের দ্বারা জানা যাচ্ছে যে, সে গুপ্তচরবৃত্তিতে রত, শিবাজীর কোনো এক বিশ্বস্ত যুবক সিংহদুর্গ থেকে তারই চিঠি নিয়ে তোরণদুর্গে যাচ্ছিল।

তৃতীয় অংশ  तावद ….. प्रस्खलन्ति ।

মূল পাঠ

বাংলা লিপিতে পাঠ: তাবদকস্মাদুখিতো মহান্ ঝঞ্ঝাবাতঃ, একঃ সায়ংসময়প্রযুক্তঃ স্বভাববৃত্তোহন্ধকারঃ, চ স দ্বিগুণিতো মেঘমালাভিঃ। ঝঞ্ঝাবাতোশূতৈঃ রেণুভিঃ শীর্ণপত্রৈঃ কুসুমপরাগৈঃ শুষ্কপুষ্পেশ্চ পুনরেষ দ্বৈগুণ্যং প্রাপ্তঃ। ইহ পর্বত-শ্রেণীতঃ পর্বতশ্রেণীঃ, বনাদ বনানি, শিখরাচ্ছিখরাণি প্রপাতাৎ প্রপাতাঃ, অধিত্যকাতোহধিত্যকাঃ, উপত্যকাত উপত্যকাঃ, ন কোহপি সরলঃ মার্গঃ, পন্থাঃ অপি নাবলোক্যতে। ক্ষণে-ক্ষণে হয়স্য খুরাশ্চিক্কণ-পাষাণ-খণ্ডেযু প্রস্থলন্তি।

সন্ধি ডেঙে পাঠ ও শব্দার্থ

তাবৎ (তক্ষণি), অকস্মাৎ (হঠাৎ), উত্থিতঃ (উঠল), মহান্ (ভীষণ), ঝঞ্ঝাবাতঃ (ঝড়), একঃ (একটা), সায়ংসময়প্রযুক্তঃ (সন্ধ্যাকালের), স্বভাববৃত্তঃ (স্বাভাবিক), অন্ধকারঃ (অন্ধকার), সঃ চ (আর সেটা), দ্বিগুণিতঃ (দ্বিগুণ হয়ে গেল), মেঘমালাভিঃ (মেঘমালার দ্বারা)। ঝঞ্ঝাবাতোদ্ভূতৈঃ (ঝড়ে ওঠা), রেণুভিঃ (ধুলোয়), শীর্ণপত্রৈঃ (ঝরেপড়া পাতায়), কুসুমপরাগৈঃ (ফুলের পরাগে), শুষ্কপুষ্পেঃ চ (আর শুকনো ফুলে), পুনঃ (আরও), এষঃ (এই অন্ধকার), দ্বৈগুণ্যং (দ্বিগুণ), প্রাপ্তঃ (হয়ে উঠল)। ইহ (এখানে), পর্বত-শ্রেণীতঃ (পর্বতশ্রেণি থেকে), পর্বতশ্রেণীঃ (পর্বতশ্রেণি), বনাৎ (বন থেকে), বনানি (বন), শিখরাৎ (শৃঙ্গ থেকে), শিখরাণি (শৃঙ্গ), প্রপাতাৎ (ঝরনা থেকে), প্রপাতাঃ (ঝরনা), অধিত্যকাতঃ (অধিত্যকা থেকে), অধিত্যকাঃ (অধিত্যকা), উপত্যকাতঃ (উপত্যকা থেকে), উপত্যকাঃ (উপত্যকা), (চলেছে) ন কঃ অপি (নেই কোনো), সরলঃ (সরল), মার্গঃ (পথ), পন্থাঃ অপি (পথও), ন অবলোক্যতে (দেখা যাচ্ছে না)। ক্ষণেক্ষণে (একটু বাদে বাদে), হয়স্য (ঘোড়ার), খুরাঃ (খুর), চিক্কণ-পাষাণ-খণ্ডেষু (মসৃণ পাথরের টুকরোতে), প্রস্খলন্তি (স্খলিত হচ্ছে/ পিছলে যাচ্ছে)।

বাংলা অনুবাদ

তক্ষুনি হঠাৎ ভীষণ ঝড় উঠল, একটা সন্ধ্যাকালের স্বাভাবিক অন্ধকার, আর সেটা দ্বিগুণ হয়ে গেল মেঘমালার দ্বারা। ঝড়ে ওঠা ধুলোয় ঝরেপড়া পাতায় ফুলের পরাগে আর শুকনো ফুলে আরও এই অন্ধকার দ্বিগুণ হয়ে উঠল। এখানে পর্বতশ্রেণি থেকে পর্বতশ্রেণি, বন থেকে বন, শৃঙ্গ থেকে শৃঙ্গ, ঝরনা থেকে ঝরনা, অধিত্যকা থেকে অধিত্যকা, উপত্যকা থেকে উপত্যকা চলেছে, কোনো সরল পথ নেই, পথও দেখা যাচ্ছে না। একটু বাদে বাদে ঘোড়ার খুর মসৃণ পাথরের টুকরোতে পিছলে যাচ্ছে।

চতুর্থ অংশ कदाचित् … चलयंश्चलति

মূল পাঠ

বাংলা লিপিতে পাঠ: কদাচিৎ কিংচিদ্ ভীত ইব ঘোটকঃ পাদাভ্যামুত্তিষ্ঠতি, কদাচিচ্চলন্নকস্মাৎ পরিবর্ততে, কদাচিদুস্পুত্য চ গচ্ছতি। পরমেষ বীরো বল্লাং সম্ভালয়ন, মধ্যে মধ্যে সৈন্ধবস্য স্কন্ধৌ কন্ধরাং চ করতলেনাস্ফোটয়ন, চুচুত্কারেণ সান্ত্বয়ংশ্চ ন স্বকার্যাদ্ বিরমতি। যাবদেকস্যাং দিশি নয়নে বিক্ষিপন্তী, কর্ণো স্ফোটয়ন্তী, অবলোচকান্ কম্পয়ন্তী, বন্যাংস্ত্রাসয়ন্তী, গগনং কর্তয়ন্তী, মেঘান্ সৌবর্ণকর্ষৈবরন্ডী, অন্ধকারমগ্নিনা দহন্তী ইব চপলা চমৎকরোতি, তাবদন্যস্যামপি দিশি জ্বালাজালেন বলাহকানাবৃণোতি, স্ফুরণোত্তরং স্ফুরণং গর্জনোত্তরং গর্জনমিতি পরঃ শতঃ শতঘ্নী-প্রচার-জন্যেনেব, মহাশব্দেন পর্যপূর্যত সারণ্যানী। পরমধুনাপি ‘কার্যং বা সাধয়েয়ম্, দেহং বা পাতয়েয়ম্’ ইতি কৃতপ্রতিজ্ঞোহসৌ শিববীরচরো ন নিজকার্যান্নিবর্ততে। যস্যাধ্যক্ষঃ স্বয়ং পরিশ্রমী, কথং স ন স্যাৎ স্বয়ং পরিশ্রমী? যস্য প্রভুঃ স্বয়ং অদ্ভুতসাহসঃ, কথং স ন ভবেৎ স্বয়ং তথা? যস্য স্বামী স্বয়মাপদো ন গণয়তি, কথং স গণয়েদাপদঃ? যস্য চ মহারাজঃ স্বয়ংসংকল্পিতং নিশ্চয়েন সাধয়তি, কথং স ন সাধয়েৎ স্ব-সংকল্পিতম্? অস্ত্যেষ মহারাজ শিববীরস্য দয়াপাত্রং চরঃ, তৎকথমেষঃ ঝঞ্ঝা-বিভীষিকাভির্বিভোষিতঃ প্রভুকার্যং বিগণয়েৎ? তদিতোহপ্যেষ তথৈব ত্বরিতমশ্বং চালয়ংশলতি।

সন্ধি ভেঙে পাঠ ও শব্দার্থ

কদাচিৎ (কখনও), কিংচিৎ ভীতঃ ইব (যেন কিছুটা ভয় পেয়েছে এমনভাবে), ঘোটকঃ (ঘোড়াটি), পাদাভ্যাম্ (দু পা), উত্তিষ্ঠতি (ওপরে উঠিয়ে নিচ্ছে), কদাচিৎ (কখনও বা), চলন্ (চলতে চলতে), অকস্মাৎ (হঠাৎ), পরিবর্ততে (রাস্তা পালটে নিচ্ছে), কদাচিৎ (কখনও বা), উত্পত্য চ (লাফিয়ে লাফিয়ে), গচ্ছতি (যাচ্ছে)। পরম্ (কিন্তু), এষঃ (এই), বীরঃ (বীর ছেলেটি), বল্লাম্ (বল্লা), সম্ভালয়ন্ (সামলে), মধ্যে মধ্যে (মাঝে মাঝে), সৈন্ধবস্য (সিন্ধুদেশের ঘোড়াটির), স্কন্ধেী (কাঁধে), কন্ধরাং চ (ঘাড়ে), করতলেন (করতল দিয়ে), আস্ফোটয়ন্ (মৃদু আঘাত করে), চুচুৎকারেণ (চু-চু শব্দ করে), সান্ত্বয়ন্ চ (সান্ত্বনা দিতে দিতে) (চলেছে, কিন্তু), ন স্বকার্যাৎ বিরমতি (নিজের কাজ ছাড়েনি)। যাবৎ (যতক্ষণ ধরে), একস্যাম্ দিশি (একদিকে), নয়নে (চোখ), বিক্ষিপন্তী (ধাঁধিয়ে), কর্ণো (কান), স্ফোটয়ন্তী (ফাটিয়ে), অবলোচকান্ (দর্শকদের), কম্পয়ন্তী (কাঁপিয়ে), বন্যান্ (বন্য প্রাণীদের), ত্রাসয়ন্তী (ভয় পাইয়ে), গগনং (আকাশ), কর্তয়ন্তী (চিরে), মেঘান্ (মেঘগুলিকে), সৌবর্ণকষৈঃ (সোনার দড়ি দিয়ে), বপ্নন্তী (বেঁধে), অন্ধকারম্ (অন্ধকারকে), অগ্নিনা (আগুন দিয়ে), দহন্তী ইব (যেন জ্বালিয়ে), চপলা (বিদ্যুৎ), চমৎকরোতি (চমকাচ্ছিল), তাবৎ (তখন), অন্যস্যাম্ অপি দিশি (অন্য দিকেও), জ্বালাজালেন (আগুনের ঝলক দিয়ে), বলাহকান্ (মেঘগুলোকে), আবৃণোতি (আবৃত করছিল), স্ফুরণোত্তরম্ (চমকের পর), স্ফুরণম্ (চমক), গর্জনোত্তরম্ (গর্জনের পর), গর্জনম্ (গর্জন), ইতি (এইভাবে), পরঃশত-শতঘ্নী-প্রচার-জন্যেন ইব (যেন শতাধিক কামানের থেকে উৎপন্ন), মহাশব্দেন (ভীষণ শব্দের দ্বারা), পর্যপূর্যত (পূর্ণ হয়ে গেল), সা (সেই), অরণ্যানী (বিরাট বন)। পরম্ (কিন্তু), অধুনা অপি (তখনও), ‘কার্যম্ বা (কাজ), সাধয়েয়ম্ (সিদ্ধ করব), দেহম্ বা (অথবা শরীর), পাতয়েয়ম্ (ত্যাগ করব)’, ইতি (এইভাবে), কৃতপ্রতিজ্ঞঃ (প্রতিজ্ঞাবান), অসৌ শিববীরচরঃ (শিবাজীর চর সেই যুবকটি), ন নিজকার্যাৎ নিবর্ততে (নিজের কাজ থেকে নিবৃত্ত হল না)। যস্য (যার), অধ্যক্ষঃ (অধ্যক্ষ), স্বয়ম্ (স্বয়ং), পরিশ্রমী (পরিশ্রমী), কথম্ সঃ (সে কি), ন স্যাৎ স্বয়ম্ পরিশ্রমী? (স্বয়ং পরিশ্রমী না হয়ে থাকতে পারে?) যস্য (যার), প্রভুঃ (প্রভু), স্বয়ম্ (স্বয়ং), অদ্ভুতসাহসঃ (অসমসাহসী), কথম্ সঃ (সে কি), ন ভবেৎ স্বয়ম্ তথা? (স্বয়ং সে রকম না হয়ে থাকতে পারে?) যস্য (যার), স্বামী (স্বামী), স্বয়ম্ (স্বয়ং), আপদঃ (বিপদকে), ন গণয়তি (গণ্য করে না), কথং সঃ (সে কি), গণয়েৎ আপদঃ (বিপদকে গণ্য করতে পারে)? যস্য চ (যার), মহারাজঃ (মহারাজ), স্বয়ংসংকল্পিতম্ (নিজের প্রতিজ্ঞাত কাজ), নিশ্চয়েন (নিশ্চিতভাবে), সাধয়তি (সাধন করেন), কথম্ সঃ (সে কি), ন সাধয়েৎ (সিদ্ধ করবে না), স্ব-সংকল্পিতম্? (নিজের প্রতিজ্ঞাত কাজকে?) অস্তি এষঃ (এই তো সেই), মহারাজ-শিববীরস্য (মহারাজ শিবাজীর), দয়াপাত্রং (বিশ্বস্ত), চরঃ (চর), তৎ (তাহলে), কথম্ (কীকরে), এষঃ (এই যুবক), ঝঞ্ঝা-বিভীষিকাভিঃ (ঝঞ্ঝার ভয়ে), বিভীষিতঃ (ভীত হয়ে), প্রভুকার্যম্ (প্রভুর কাজকে), বিগণয়েৎ (লঙ্ঘন করবে)? তৎ (তাই), ইতঃ অপি (এসবের মধ্যেও), এষঃ (এই যুবক), তথা এব (সেইভাবেই), ত্বরিতম্ (দ্রুত গতিতে), অশ্বম্ (ঘোড়া), চালয় (চালিয়ে), চলতি (এগিয়ে যেতে লাগল)।

বাংলা অনুবাদ

কখনও যেন কিছুটা ভয় পেয়েছে এমনভাবে ঘোড়াটি দু পা ওপরে উঠিয়ে নিচ্ছে, কখনও বা চলতে চলতে হঠাৎ রাস্তা পালটে নিচ্ছে, কখনও বা লাফিয়ে লাফিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই বীর ছেলেটি বল্লা সামলে, মাঝে মাঝে সিন্ধুদেশের ঘোড়াটির কাঁধে ঘাড়ে করতল দিয়ে মৃদু আঘাত করে, চুচু শব্দ করে সান্ত্বনা দিতে দিতে চলেছে, কিন্তু নিজের কাজ ছাড়েনি। যতক্ষণ ধরে একদিকে চোখ ধাঁধিয়ে, কান ফাটিয়ে, দর্শকদের কাঁপিয়ে, বন্য প্রাণীদের ভয় পাইয়ে, আকাশ চিরে, মেঘগুলিকে সোনার দড়ি দিয়ে বেঁধে, অন্ধকারকে আগুন দিয়ে যেন জ্বালিয়ে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিল, তখন অন্য দিকেও আগুনের ঝলক দিয়ে মেঘগুলোকে আবৃত করছিল, চমকের পর চমক, গর্জনের পর গর্জন এইভাবে যেন শতাধিক কামানের থেকে উৎপন্ন ভীষণ শব্দের দ্বারা পূর্ণ হয়ে গেল সেই বিরাট বন। কিন্তু তখনও ‘কাজ সিদ্ধ করব, অথবা শরীর ত্যাগ করব’ এইভাবে প্রতিজ্ঞাবান শিবাজীর চর সেই যুবকটি নিজের কাজ থেকে নিবৃত্ত হল না। যার অধ্যক্ষ স্বয়ং পরিশ্রমী, সে কি স্বয়ং পরিশ্রমী না হয়ে থাকতে পারে? যার প্রভু স্বয়ং অসমসাহসী, সে কি স্বয়ং সে রকম না হয়ে থাকতে পারে? যার প্রভু স্বয়ং বিপদকে গণ্য করে না, সে কি বিপদকে গণ্য করতে পারে? যার মহারাজ নিজের প্রতিজ্ঞাত কাজ নিশ্চিতভাবে সাধন করেন, সে কি সিদ্ধ করবে না নিজের প্রতিজ্ঞাত কাজকে? এই তো সেই মহারাজ শিবাজীর বিশ্বস্ত চর, তাহলে কী করে এই যুবক ঝঞ্ঝার ভয়ে ভীত হয়ে প্রভুর কাজকে লঙ্ঘন করবে? তাই এসবের মধ্যেও এই যুবক ঝঞ্ঝার ভয়ে ভীত হয়ে প্রভুর কাজকে লঙ্ঘন করবে? তাই এসবের মধ্যেও এই যুবক সেইভাবেই দ্রুত গতিতে ঘোড়া চালিয়ে এগিয়ে যেতে লাগল।

আরও পড়ুন – শিক্ষাশ্রয়ী মনোবিজ্ঞানের অর্থ প্রশ্ন উত্তর

Leave a Comment