বৈদিক যুগে শিক্ষার পাঠক্রম সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো।  বর্ণাশ্রম প্রথা কী

বৈদিক যুগে শিক্ষার পাঠক্রম সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো।  বর্ণাশ্রম প্রথা কী

বৈদিক যুগে শিক্ষার পাঠক্রম সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো।  বর্ণাশ্রম প্রথা কী
বৈদিক যুগে শিক্ষার পাঠক্রম সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো।  বর্ণাশ্রম প্রথা কী

বৈদিক যুগে শিক্ষার পাঠক্রম

বৈদিক যুগে পাঠক্রম খুব ব্যাপক ছিল না, পাঠক্রমের অন্তর্বর্তী বেদাধ্যয়ন ছিল একমাত্র বিষয়। ‘বেদ’কে সঠিকভাবে আবৃত্তি করা, অর্থবোধ করাই ছিল একমাত্র শিক্ষা। নির্ভুলভাবে যতি, মাত্রা, ছন্দের সাহায্যে বেদ অধ্যয়ন শেখাতেন গুরু।  শিক্ষার্থীদের বেদের আবৃত্তিকে মুণ্ডক বা ব্যাঙের ডাকের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। বেদে সাত প্রকারের ছন্দ প্রচলিত ছিল। শুধু আবৃত্তি নয় চিন্তন ও মননশীলতার উপর গুরুত্ব দেওয়া হত। বৈদিক মন্ত্রের প্রত্যেকটির শব্দ এবং ভাষার মানে বোঝা ছিল বাধ্যতামূলক। তবে বৈদিক পাঠক্রমে শুধু ধর্মতত্ত্ব না, তার সঙ্গে শিক্ষা দেওয়া হত কল্প, সাধারণ শিক্ষা, ব্যাকরণ, জ্যোতিষ, নিরুক্ত, ন্যায়শাস্ত্র প্রভৃতি বিষয়। এরপর ৪ নং প্রশ্নোত্তরের ‘পরাবিদ্যা’ ও ‘অপরাবিদ্যা’ অংশটুকু লিখতে হবে।

বর্ণাশ্রম

ঋগ্বেদের সমাজে ভেদাভেদ ছিল। তবে বর্ণপ্রথা ছিল না। তখন একই পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন কাজে যুক্ত থাকতে পারতেন। ঋগ্বেদে বর্ণ বলতে গায়ের রং-কে বোঝাত। পরবর্তী বৈদিক যুগে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র এই চারটি বর্ণের উল্লেখ পাওয়া যায়। এই চার বর্ণ জন্মভিত্তিক হয়ে যায়। বর্ণের ভিত্তিতে জন্মভিত্তিক পেশা নির্ধারিত হয়।

(1) ব্রাহ্মণ: পুজো করা, যাগযজ্ঞ করা, বিভিন্ন শাস্ত্র অধ্যয়ন করা ব্রাহ্মণের কাজ। এ ছাড়া শিষ্যদের ব্যাকরণ ছন্দ, ধনিতত্ত্ব, বেদপাঠ ইত্যাদি বিষয় পাঠদান করতেন।

(2) ক্ষত্রিয়: এই বর্ণের মানুষদের কাজ ছিল যুদ্ধ করা। তাই এদের পাঠক্রমে গুরুত্ব পেত অর্থশাস্ত্র, অস্ত্রবিদ্যা, দণ্ডবিধি ইত্যাদি।

(3) বৈশ্য: কৃষিকাজ, ব্যাবসাবাণিজ্য ও কারিগরি কাজ করার দায়িত্ব ছিল বৈশ্যদের উপর। এদের পাঠক্রমে তাই পশুপালন, শস্যপালন ইত্যাদি বিষয় স্থান পেত।

(4) শূদ্র: শূদ্রদের কাজ ছিল বাকি বর্ণের মানুষদের সেবা করা। সমাজে ব্রাহ্মণদের ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি ছিল সবচেয়ে বেশি। বর্ণাশ্রম ব্যবস্থায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ছিল শূদ্রদের, এরা সামাজিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল।

আরও পড়ুন – বিকাশের স্তরসমূহ প্রশ্ন উত্তর

Leave a Comment