পরোক্ষ বা প্রতিনিধিত্ব মূলক গণতন্ত্রের দুটি সুবিধা লেখো

পরোক্ষ বা প্রতিনিধিত্ব মূলক গণতন্ত্রের দুটি সুবিধা লেখো? পরোক্ষ গণতন্ত্রের দুটি সুবিধা হল- জনগণের শাসন: পরোক্ষ গণতন্ত্রে জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ সরকারি কার্যাবলিতে অংশগ্রহণ করে এবং যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। জনগণের স্বার্থে জনগণের প্রতিনিধিরা যে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেন, প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রের তুলনায় তা অনেকসময় অধিকতর কার্যকরী ও ফলপ্রদ হয়ে থাকে। স্বৈরাচার প্রতিরোধ: প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রে সরকার স্বৈরাচারী … Read more

পরোক্ষ বা প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র সম্পর্কে জন স্টুয়ার্ট মিলের মত কী

পরোক্ষ বা প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র সম্পর্কে জন স্টুয়ার্ট মিলের মত কী? পরোক্ষ গণতন্ত্র সম্পর্কে মিলের অভিমত: জন স্টুয়ার্ট মিল মনে করেন, পরোক্ষ বা প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র হল এমন একটি শাসনব্যবস্থা, যেখানে সমাজের সকল জনগণ বা তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ নিজেদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে শাসনক্ষমতা প্রয়োগ করে থাকে। অর্থাৎ, পরোক্ষ গণতন্ত্রে জনগণ পরোক্ষ পদ্ধতিতে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা শাসনকার্যে অংশগ্রহণ … Read more

পরোক্ষ বা প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্যসমূহ লেখো

পরোক্ষ বা প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্যসমূহ লেখো। পরোক্ষ বা প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য হল-  জনসাধারণ শাসনকার্যে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকে: পরোক্ষ গণতন্ত্রে সরকার পরিচালিত হয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে, এর ফলে জনসাধারণ প্রত্যক্ষভাবে শাসন পরিচালনা করতে পারে না। তারা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে শাসনকার্যে অংশগ্রহণ করে। জনসাধারণের কাছে দায়িত্বশীল: পরোক্ষ গণতন্ত্রে জনপ্রতিনিধিরা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্বাচিত হয় এবং তারা … Read more

পরোক্ষ গণতন্ত্র কী ধরনের গণতন্ত্র এবং কেন

পরোক্ষ গণতন্ত্র কী ধরনের গণতন্ত্র এবং কেন? পরোক্ষ গণতন্ত্র হল প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র। পরোক্ষ গণতন্ত্র হল এমন একটি শাসনব্যবস্থা, যেখানে জনসাধারণ প্রত্যক্ষভাবে শাসনকার্যে অংশগ্রহণ করে না। বরং জনগণ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কিছু ব্যক্তিকে নির্বাচিত করে এবং সেই জনপ্রতিনিধিরাই দেশ শাসন করে। তাই পরোক্ষ গণতন্ত্রকে প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র বলা হয়।

ভারতে প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি কী? পরোক্ষ গণতন্ত্রে সার্বভৌম ক্ষমতার প্রকৃত অধিকারী কারা

ভারতে প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি কী? পরোক্ষ গণতন্ত্রে সার্বভৌম ক্ষমতার প্রকৃত অধিকারী কারা? ভারতে প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি: ভারতে প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রের ভিত্তি হল-নির্বাচন, ভোটাধিকার ও প্রতিনিধিত্ব। সার্বভৌম ক্ষমতার প্রকৃত অধিকারী: পরোক্ষ গণতন্ত্রের সার্বভৌম ক্ষমতার প্রকৃত অধিকারী হল জনগণ।

সংক্ষেপে গণতন্ত্রের উদ্ভব সম্পর্কে লেখো

সংক্ষেপে গণতন্ত্রের উদ্ভব সম্পর্কে লেখো। গণতন্ত্রের উদ্ভব: ঐতিহাসিকদের মতে, প্রাচীন গ্রিসের নগরাষ্ট্রগুলি ছিল প্রাচীন গণতন্ত্রের জন্মভূমি বা পীঠস্থান। সোলান কর্তৃক ৫৯৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে রচিত এক সংবিধান থেকে গণতন্ত্রের আবির্ভাব ঘটেছিল। পামার-এর (Palmer) মতে, অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষার্ধে এসে গণতান্ত্রিক ধারণা পশ্চিম ইউরোপের কতকগুলি দেশে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে শুরু করে, ষোলো শতকে ফ্রান্সকোস হটম্যান (Francois Hotman), জর্জ বুচানন … Read more

চিরায়ত গণতন্ত্র বলতে কী বোঝো

চিরায়ত গণতন্ত্র বলতে কী বোঝো? চিরায়ত গণতন্ত্র: চিরায়ত গণতন্ত্রে নাগরিকের রাজনৈতিক সমতার উপর জোর দেওয়া হয়েছে এবং আশা করা হয়েছে সকল নাগরিকই পর্যায়ক্রমে শাসন করবে ও শাসিত হবে। এখানে নাগরিক সভাই (Assembly of Citizen) হল সার্বভৌম ক্ষমতার উৎস; আইনগত ও বিচারবিভাগীয় কাজে নাগরিকের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের কথা বলা হয়েছে। ক্ষুদ্র নগররাষ্ট্রই এই গণতন্ত্রের ক্ষেত্র। গণতন্ত্রের সমর্থক … Read more

আইনগত গণতন্ত্র বলতে কী বোঝো

আইনগত গণতন্ত্র বলতে কী বোঝো? আইনগত গণতন্ত্র: আইনগত গণতন্ত্রের মূল কথা হল সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন, নাগরিকদের আর্থিক ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা সবকিছুই প্রতিষ্ঠিত হবে আইনের শাসনের মাধ্যমে। উদারনীতির ভিত্তিতে কার্যকরী রাজনৈতিক নেতৃত্ব আমলাতান্ত্রিকতা রোধ এবং সমষ্টিতান্ত্রিকতার বিপদ থেকে নাগরিকদের রক্ষা করাই হল এই ব্যবস্থার প্রধান শর্ত। আইনগত গণতন্ত্রের প্রবক্তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন রবার্ট নজিক ও হায়েক।

বহুত্ববাদী গণতন্ত্র বলতে কী বোঝো

বহুত্ববাদী গণতন্ত্র বলতে কী বোঝো? বহুত্ববাদী গণতন্ত্র: সংখ্যালঘুর স্বাধীনতা ও শাসন, প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন, বাধা ভারসাম্যের নীতি, স্বার্থগোষ্ঠীর প্রভাব ইত্যাদি বহুত্ববাদী গণতন্ত্রের মূল বিষয়। ম্যাডিসন, ট্রুম্যান, রবার্ট ডাল এই মডেলের মুখ্য প্রচারক ছিলেন।

অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র কাকে বলে

অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র কাকে বলে? অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র: অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র হল এমন এক ধরণের শাসনপ্রণালী, যেখানে রাষ্ট্রের কার্যকলাপে জনগণের অংশগ্রহণের বিষয়টিই হল মুখ্য বিষয়। এই গণতন্ত্র প্রথম প্রাচীন গ্রিক নগররাষ্ট্রে আত্মপ্রকাশ করলেও অষ্টাদশ শতকে রুশোর হাত ধরে তা পুনরায় জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।