সংস্কৃত শিক্ষা সম্পর্কে বিদ্যাসাগরের অভিমত কী ছিল

সংস্কৃত শিক্ষা সম্পর্কে বিদ্যাসাগরের অভিমত কী ছিল

সংস্কৃত শিক্ষা সম্পর্কে বিদ্যাসাগরের অভিমত কী ছিল
সংস্কৃত শিক্ষা সম্পর্কে বিদ্যাসাগরের অভিমত কী ছিল

সংস্কৃত শিক্ষা সম্পর্কে বিদ্যাসাগরের অভিমত

সংস্কৃত ভাষাকে সহজভাবে শিক্ষার্থীদের কাছে তুলে ধরার জন্য তিনি সহজভাবে বাংলায় সংস্কৃত ব্যাকরণ রচনা করেন। সেগুলি হল- সংস্কৃত ব্যাকরণের উপক্রমণিকা এবং সমগ্র ব্যাকরণ কৌমুদী। অন্যদিকে তিনি পুরোনো সংস্কৃত গ্রন্থগুলির সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। সংস্কৃত কলেজে যোগদানের পর তিনি সংস্কৃত শিক্ষার সংস্কারসাধনে সচেষ্ট হন। তিনি পণ্ডিতদের জন্য উচ্চমানের সংস্কৃত শিক্ষা বজায় রেখে সাধারণ মানুষদের জন্য মাতৃভাষার মাধ্যমে পাঠদানের ব্যবস্থা করেন। তিনি মনে করতেন মাতৃভাষার উপযুক্ত বিকাশ সংস্কৃত ভাষার মাধ্যমেই সম্ভব। সাধারণ মানুষের জন্য সংস্কৃত শিক্ষাকে তিনি নিছক পুঁথিসর্বস্ব, ব্যাকরণ ও দর্শনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে যুগোপযোগী করে তুলতে চেয়েছিলেন। তিনি সহজ, সরল ও বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতির সাহায্যে সংস্কৃত শিক্ষার পক্ষপাতী ছিলেন।

তিন-চার বছরের মধ্যে যাতে সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য সম্বন্ধে মোটামুটি জ্ঞান অর্জন করা যায়, তার জন্য তিনি কতকগুলি বই প্রকাশ করেন। তাঁর এই সমস্ত কর্মপ্রচেষ্টার মূল উদ্দেশ্য ছিল হাজার বছর ধরে সঞ্চিত সংস্কৃত সাহিত্যের জ্ঞানভাণ্ডার ও পাশ্চাত্য ইংরেজি ভাষার জ্ঞানভান্ডারের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে নতুন যুগের উপযোগী বাংলা সাহিত্যের বুনিয়াদ রচনা করা। তাঁর এই চিন্তাধারাটির বাস্তব রূপায়ণের ক্ষেত্র ছিল সংস্কৃত কলেজ। তিনি সংস্কৃত কলেজটিকে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সংস্কৃতির মিলনক্ষেত্র হিসেবে পরিগণিত করতে চেয়েছিলেন। হিতোপদেশ; পঞ্চতন্ত্র, রামায়ণ, মহাভারত ইত্যাদি থেকে বিভিন্ন অংশ সংকলন করে সংস্কৃত পাঠ্য ও বই রচনা করেন এবং এগুলিকে কলেজের পাঠ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন।

আরও পড়ুন – মধ্যযুগীয় ভারতের শিক্ষা প্রশ্ন উত্তর

Leave a Comment