প্রাথমিক শিক্ষার সমস্যার সমাধানে গৃহীত কর্মসূচিগুলি কী কী? প্রাথমিক শিক্ষায় অঙ্গনওয়াড়ির অবদান লেখো

প্রাথমিক শিক্ষার সমস্যার সমাধানে গৃহীত কর্মসূচিগুলি কী কী? প্রাথমিক শিক্ষায় অঙ্গনওয়াড়ির অবদান লেখো

প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে গৃহীত কর্মসূচি

(1) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বৃদ্ধি: প্রতি 1 বর্গকিমির মধ্যে অন্তত একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় বর্তমানে রয়েছে। তা ছাড়া দুর্গম অঞ্চল, যেখানে জনঘনত্ব বেশি, সেইসব অঞ্চলে । বর্গকিমির কম দূরত্বে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে।

(2)  বাধ্যতামূলক ও অবৈতনিক শিক্ষা : প্রাথমিক শিক্ষাকে বর্তমানে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

(3) স্কুলছুট কমানো: স্কুলছুট-এর সংখ্যা কমানোর জন্য অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাস-ফেল প্রথা রদ করা হয়েছে। মিড-ডে মিলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিশুদের বিনামূল্যে বই, খাতা, জুতো, ব্যাগ ইত্যাদি দেওয়া হচ্ছে।

(4) প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক: প্রতিটি বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ করা হচ্ছে। বর্তমানে প্রতিটি প্রাথমিক শিক্ষকের DEIEd প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

(5) অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি: পরিকাঠামো, শিক্ষা উপকরণের জন্য সরকারি অর্থ বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।

(6)  আর্থ-সামাজিক উন্নতি : মানুষজনের বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটেছে।

(7)  শিশুশ্রমিকের হার কমানো : প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক হওয়ায় শিশুশ্রমিকের সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক কমেছে। সুতরাং সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প, মানুষজনের সচেতনতা, আর্থ- সামাজিক ব্যবস্থার মানোন্নয়ন, বাধ্যতামূলক ও অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বজনীন করতে সাহায্য করছে। তবে আমরা আশা রাখি অদূর ভবিষ্যতে আমাদের দেশের প্রতিটি শিশু ন্যূনতম প্রাথমিক শিক্ষা পাবে।

প্রাথমিক শিক্ষায় অঙ্গনওয়াড়ির অবদান 

(1) প্রাথমিক শিক্ষার উন্নতিকল্পে 1975 সালে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের মাধ্যমে গ্রামে, শহরে বা উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চলে 6 বছরের কমবয়সি শিশুদের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়।

(2) প্রাক্-প্রাথমিক শিক্ষার উন্নতির জন্য ICDS (Integrated Child Development Services) প্রকল্পের মাধ্যমে ECCE-তে (Early Childhood Care and Education) সরকারি সাহায্যে ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে এই স্তরের শিক্ষার দায়িত্ব বেশ কিছু সংস্থার উপর দেওয়া হয়।

(3) অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে জনসাধারণের সহায়তা-সহ 50 শতাংশ পর্যন্ত আর্থিক ব্যবস্থা করা হয়েছে।

(4) শিক্ষা সম্পর্কে বিশেষ করে বালিকাদের শিক্ষা সম্পর্কে পঞ্চায়েত পুরসভার মহিলা সদস্য, ওয়ার্ড শিক্ষা কমিটি, শিক্ষক সমিতি, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী প্রভৃতির সাহায্যে বিদ্যালয়ে ভরতি ও ধরে রাখার ব্যবস্থা করা হয়।

(5) অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে শিশুর পুষ্টি, স্বাস্থ্য, সামাজিক, মানসিক, দৈহিক, নৈতিক এবং অনুভূতি ইত্যাদির উপর গুরুত্ব দিয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন – আজব শহর কলকেতা প্রশ্ন উত্তর

Leave a Comment