প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সমন্বয়ে রামমোহন দূরদর্শী ছিলেন- আলোচনা করো। সতীদাহ প্রথা উচ্ছেদে রামমোহন রায়ের ভূমিকা সংক্ষেপে আলোচনা করো

প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সমন্বয়ে রামমোহন দূরদর্শী ছিলেন- আলোচনা করো। সতীদাহ প্রথা উচ্ছেদে রামমোহন রায়ের ভূমিকা সংক্ষেপে আলোচনা করো

প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সমন্বয়ে রামমোহন দূরদর্শী ছিলেন- আলোচনা করো। সতীদাহ প্রথা উচ্ছেদে রামমোহন রায়ের ভূমিকা সংক্ষেপে আলোচনা করো
প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সমন্বয়ে রামমোহন দূরদর্শী ছিলেন- আলোচনা করো। সতীদাহ প্রথা উচ্ছেদে রামমোহন রায়ের ভূমিকা সংক্ষেপে আলোচনা করো

প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সমন্বয়ে রামমোহনের দূরদর্শীতা 

পাশ্চাত্য জ্ঞান, রীতিনীতি ও চিন্তাধারার সঙ্গে ভারতীয় জ্ঞান, রীতিনীতি ও চিন্তাধারার সমন্বয় ও পথনির্দেশ রামমোহনের প্রধান কীর্তি। তিনি চিন্তায় ও কর্মে সার্বভৌমিক ছিলেন। তিনি মনে করতেন, এক জাতির আচার- ব্যবহার অন্য জাতির মধ্যে জোর করে প্রবর্তন করা সম্ভব নয়, উচিতও নয়। তাই সংস্কারের প্রয়োজন হলে প্রত্যেক জাতিরই তা জাতীয়ভাবে করা উচিত। সেজন্য একেশ্বরবাদকেও রামমোহন উপনিষদ ও বেদান্তের সাহায্যেই প্রচার করার চেষ্টা করেন। রামমোহনের পর যেসব মহাপুরুষ ভারতের সামাজিক জীবনে বা ধর্মজীবনে, সাহিত্যে বা শিল্পকলায় নতুন ধারার প্রবর্তন করেন তাঁদের প্রায় সকলেই তাঁর প্রদর্শিত পথ অনুসরণ করে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সমন্বয়ের চেষ্টা করেন। 

সতীদাহ প্রথা উচ্ছেদে রামমোহন রায়ের ভূমিকা

প্রাচীনকাল থেকেই সতীদাহ প্রথার চল ছিল। এই নিষ্ঠুর প্রথা দূরীকরণের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে 1818 খ্রিস্টাব্দ থেকেই রাজা রামমোহন রায় এই প্রথার বিরুদ্ধে প্রবল জনমত গড়ে তুলতে প্রয়াসী হন। তিনি বিভিন্ন হিন্দুশাস্ত্র উদ্ধৃত করে এই মত প্রচার করেন যে, সতীদাহ প্রথা ধর্মবিরুদ্ধ এবং এর বিরুদ্ধে তিনি প্রবল জনমত গড়ে তোলেন। তাঁর প্রচেষ্টায় বড়োলাট লর্ড বেন্টিঙ্ক 1829 খ্রিস্টাব্দে ‘সপ্তদশ-বিধি’ নামে আইন পাস করে এই বর্বর { ‘সতীদাহ প্রথা’ নিষিদ্ধ করেন।

আরও পড়ুন – মধ্যযুগীয় ভারতের শিক্ষা প্রশ্ন উত্তর

Leave a Comment