নারীশিক্ষার পথপ্রদর্শক ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর” ব্যাখ্যা করো। শিশুপাঠ্য গ্রন্থের রচনাকার হিসেবে বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা করো

নারীশিক্ষার পথপ্রদর্শক ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর” ব্যাখ্যা করো। শিশুপাঠ্য গ্রন্থের রচনাকার হিসেবে বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা করো

নারীশিক্ষার পথপ্রদর্শক ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর" ব্যাখ্যা করো। শিশুপাঠ্য গ্রন্থের রচনাকার হিসেবে বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা করো
নারীশিক্ষার পথপ্রদর্শক ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর” ব্যাখ্যা করো। শিশুপাঠ্য গ্রন্থের রচনাকার হিসেবে বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা করো

নারীশিক্ষার জন্য বিদ্যাসাগর উপযুক্ত পাঠক্রম, শিক্ষাপদ্ধতি ও শিক্ষার উপকরণ, বিদ্যালয়ে যাতায়াতের জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে গাড়ি বা পালকির ব্যবস্থা করেন। যা নারীদের জন্য ইংরেজি ভাষা শিক্ষারও ব্যবস্থা করেন। আধুনিক শিক্ষার আলোকে বিদ্যাসাগর ছিলেন নারীশিক্ষার পথপ্রদর্শক। অস্পৃশ্য নীচুজাতির মানুষের ব্যথায় সমব্যাথী হয়ে মৌলবাদী ঘৃণ্য ধারণাকে দূরে ঠেলে দিয়ে, জাতপাতের সংকীর্ণতা থেকে মুক্ত হয়ে জনমানসে নারীর মর্যাদাকে প্রতিষ্ঠিত করেন বিদ্যাসাগর। কেবল উচ্চশিক্ষাদর্শের ক্ষেত্রেই নয়, শিশুপাঠ্য গ্রন্থের রচনাকার হিসেবেও এই মানবপ্রেমিক ছিলেন আপন অনুভবে পরিচ্ছন্ন, আপন পরিকল্পনা রূপায়ণে সর্বশ্রেষ্ঠ। বিদ্যাসাগর বর্ণপরিচয় লেখেন অনবদ্য সহজ সুললিত ছন্দে। শব্দ গঠনের মধ্যে সহজ সরল মানবিক চিন্তার উন্মেষ ঘটান। বাংলা গদ্যসাহিত্যের জনক বিদ্যাসাগর গদ্যরীতির যে ধারা প্রবর্তন করেন সেখানেও ছিল তাঁর মানবিক অনুভবের গভীর পরিচ্ছন্নতা, ভাষাবিজ্ঞানের সুগভীর জ্ঞান।

বিদ্যাসাগরের সমগ্র জীবন সাধনায় যে ধ্রুব বিশ্বাস কাজ করেছে তা হল ‘জগতের হিতসাধন’। তাই ছিল সর্বগরিষ্ঠ ব্রত। তাই জনদেবতার এই সেবক- বহুক্ষেত্রে একাকী, আপন শক্তিতে দৃঢ় মানবিক প্রত্যয়ের সঙ্গে কাজ করেছেন।

আরও পড়ুন – মধ্যযুগীয় ভারতের শিক্ষা প্রশ্ন উত্তর

Leave a Comment